ডেস্ক রির্পোট
উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢল ও টানা বৃষ্টির ফলে দেশের উত্তর ও পূর্ব অঞ্চলের নদ-নদীর পানি হু হু করে বাড়ছে। বিপৎসীমার উপরে প্রবাহিত হচ্ছে ব্রহ্মপুত্র, তিস্তা, যমুনা, সুরমাসহ দেশের বিভিন্ন নদনদীর পানি। ফলে সার্বিক বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে। প্লাবিত হচ্ছে নদী তীরবর্তী বাড়িঘর-দোকানপাট ও নিম্নাঞ্চল। এতে চরম দুর্ভোগে পড়েছেন পানিবন্দি লাখ লাখ মানুষ।
বিপৎসীমার উপরে প্রবাহিত হচ্ছে ব্রহ্মপুত্র, তিস্তা, যমুনা, সুরমাসহ দেশের বিভিন্ন নদনদীর পানি। পানি বাড়তে থাকায় লালমনিরহাট, কুড়িগ্রাম, গাইবান্ধা, সিরাজগঞ্জ, বগুড়া, জামালপুরের বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে। অপরিবর্তিত রয়েছে সুনামগঞ্জে বন্যা পরিস্থিতি। দফায় দফায় বন্যায় চরম দুর্ভোগে পড়েছেন দুর্গতরা।
আবহাওয়ার পূর্বাভাস বলছে, মৌসুমি বায়ু বাংলাদেশের ওপর সক্রিয় এবং উত্তর বঙ্গোপসাগরে প্রবল অবস্থায় বিরাজ করায় বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকবে। ফলে বন্যা পরিস্থিতির আরো অবনতির আশঙ্কা রয়েছে। এদিকে দ্বিতীয় দফা বন্যার পাশাপাশি কোথাও কোথাও প্রবল হয়েছে নদীভাঙন। বন্যা ও ভাঙনকবলিত এলাকায় দুর্গতদের পাশে দাঁড়িয়েছে স্থানীয় প্রশাসন। বন্যা পরিস্থিতি নিয়ে বিভিন্ন জেলার প্রতিনিধিদের তথ্যের ভিত্তিতে ডেস্ক রির্পোট:
কুড়িগ্রাম: কুড়িগ্রামে ব্রহ্মপুত্র, তিস্তাসহ সব কটি নদনদীর পানি বাড়তে থাকায় অবনতি হয়েছে বন্যা পরিস্থিতি। প্রথম দফা বন্যার রেশ কাটতে না কাটতেই আবারও বন্যার আশংকায় দুশ্চিন্তায় রয়েছে বানভাসি মানুষ। এরই মধ্যে অনেকে উঁচু বাঁধ ও নিরাপদ স্থানে আশ্রয় নিয়েছেন।
লালমনিরহাট: ভারী বৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢলে লালমনিরহাটের বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে। জেলার সদর, হাতিবান্ধা, কালীগঞ্জ, আদিতমারী উপজেলার অন্তত ২০টি গ্রামের ৬০ হাজার মানুষ পানিবন্দী হয়ে পড়েছেন। দুর্গত এলাকায় দেখা দিয়েছে শুকনো খাবার ও বিশুদ্ধ পানির সংকট ।
গাইবান্ধা: অবনতি হয়েছে গাইবান্ধায় বন্যা পরিস্থিতি। ইতোমধ্যে নদী তীরবর্তী চরাঞ্চল ও নিম্নাঞ্চল পানিতে তলিয়ে গেছে । দফায় দফায় বন্যায় খাবার, সুপেয় পানিসহ নানা সংকটে বানভাসি মানুষ।
সিরাজগঞ্জ: সিরাজগঞ্জে যমুনা পানি বাড়ছে। কাজীপুর, সদর, বেলকুচি, শাহজাদপুর ও চৌহালী উপজেলার চরাঞ্চল ও নিম্নাঞ্চলে পানি প্রবেশ করতে শুরু করছে। আতংকে অনেকের নির্ঘুম রাত কাটছে।
বগুড়া: প্রথম দফা বন্যায় এখনো পানিবন্দী বগুড়ার সারিয়াকান্দি, সোনাতলা ও ধুনট উপজেলার হাজার হাজার পরিবার। এরই মধ্যে আবারও নদীর পানি বাড়তে থাকায় চরম ভোগান্তিতে পানিবন্দী মানুষ।
সুনামগঞ্জ: সুনামগঞ্জে অপরিবর্তিত রয়েছে বন্যা পরিস্থিতি। এখনো বিপৎসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে সুরমাসহ সব শাখা নদীর পানি। গুরুত্বপূর্ণ সড়কগুলো পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন রয়েছে জেলার ১১ উপজেলার বিভিন্ন গ্রামের ৪ লাখেরও বেশি মানুষ।
জামালপুর: জামালপুরে আবারও বন্যা দেখা দিয়েছে। নদী তীরবর্তী এলাকায় পানি ঢুকতে শুরু করেছে। এতে চরম দুর্ভোগে পড়েছেন বন্যাদুর্গত এলাকাবাসী। আগামী কয়েক দিনের মধ্যে বন্যা পরিস্থিতির আরও অবনতি হতে পারে বলে জানিয়েছে জামালপুর পানি উন্নয়ন বোর্ড।
জোনাকী টেলিভিশন/এসএইচআর/১২ জুলাই ২০২০ইং
Leave a Reply