ডেস্ক রির্পোট
ফরিদপুরে পানির তোরে ধসে গেছে আলিয়াবাদ ইউনিয়নের শহর রক্ষা বাঁধ। এতে পাঁচটি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। পদ্মার পানি বিপদ সীমার ১০৪ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হয়ে পানি প্রবাহের চাপে রবিবার সকালে বাঁধটি ধসে যায়। হঠাৎ করে বাঁধটি ধসে যাওয়া আশে পাশের কয়েক গ্রামের মানুষ বেড়িবাঁধে খোলা আকাশের নিচে আশ্রয় নিয়েছে।
ফরিদপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী সুলতান মাহমুদ এ তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, বর্তমানে পদ্মার পানি গোয়ালন্দ পয়েন্টে ৯.৬৯ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। যা বিপদ সীমার ১০৪ সেন্টিমিটার ওপরে। এর ফলে প্রতিদিনই নতুন নতুন এলাকায় পানি প্রবেশ করেছে। তীব্র ভাঙন দেখা দিয়েছে মধুমতীর নদীর আলফাডাঙ্গা ও মধুখালী উপজেলার কয়েকটি ইউনিয়ন।
তিনি জানান, শহর বন্যা প্রতিরক্ষা বাঁধের আলীয়াবাদে প্রায় ১০০ ফিটের মতো জায়গা ধসে গেছে। রবিবার সকাল ৭টার দিকে এই ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। সেখানে বালুর বস্তাসহ কিভাবে বাঁধ রক্ষা করা যায় সেই ব্যবস্থা নেয়া হবে।
আলীয়াবাদ ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান আখতারুজ্জামান জানান, হঠাৎ করে শহররক্ষা বাঁধটি ভেঙে যায়। বাঁধের পাশে ৫টি গ্রামের মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। অনেকেই বাড়ি প্রয়োজনীয় মালামাল নিয়ে রাস্তায় উঠেছে।
এদিকে ফাটল দেখা দেয়ায় ফরিদপুর চরভদ্রাসন আঞ্চলিক সড়কে যান চলাচল সাময়িক বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। এই সড়কের বেশ কয়েকটি স্থান পদ্মার পানিতে নিমজ্জিত রয়েছে। ফাটলের স্থানে জিও ব্যাগ ফেলে পরিস্থিতি সামাল দেয়ার চেষ্টা করছে পানি উন্নয়ন বোর্ড।
ফরিদপুরের জেলা প্রশাসক অতুল সরকার জানান, শহররক্ষা বাঁধে পাশে পানি চাপ কমে গেলে বাঁধটি মেরামত করা হবে। আর এখন যারা খোলা আকাশের নিচে রয়েছে তাদের শুকনো খাবারসহ প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র দেয়া হচ্ছে।
জেলা প্রশাসক আরও জানান, এ পর্যন্ত জেলার ৩০টি ইউনিয়নে ২২ হাজার পরিবার এখনো পানিবন্দি হয়ে রয়েছে। তাদের জন্য সরকারি খাদ্য সহায়তা বিতরণ করা হচ্ছে। এছাড়া জেলা সদর থেকে চরভ্রদাসন ও সদরপুর উপজেলার প্রধান সড়কটি চলাচলের উপযোগী করতে সড়ক বিভাগকে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। যদিও ওই সড়কে বেশ কিছু স্থান পানিতে নিমজ্জিত।
জোনাকী টেলিভিশন/এসএইচআর/১৯ জুলাই ২০২০ইং
Leave a Reply