নরসিংদী প্রতিনিধি:
বই পড়ার জন্য মানববন্ধন। বাংলাদেশের ইতিহাসে এটাই প্রথম। বর্ণাঢ্য ও ব্যতিক্রমধর্মী এক আয়োজন করে ‘বই পড়া আন্দোলন বাংলাদেশ’ নামে একটি সামাজিক সংগঠন। মানববন্ধনে সব জায়গায় বই পড়ার সুযোগ সৃষ্টির লক্ষে সরকারের কাছে বিভিন্ন দাবি জানানো হয়।
মঙ্গলবার সকালে ‘বই পড়া আন্দোলন বাংলাদেশ’ এর সভাপতি ড. মো. মোয়াজ্জেম হোসেনের নেতৃত্বে নরসিংদী প্রেসক্লাবের সামনে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয় ।
সভাপতির বক্তব্যে তিনি ‘বই পড়া আন্দোলন বাংলাদেশ’ এর লক্ষ ও উদ্দেশ্য তুলে ধরেন। তিনি বলেন, সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী, সচিব ও জাতীয় গ্রন্থকেন্দ্রের পরিচালকসহ ১০০টি প্রতিষ্ঠানকে ইতোমধ্যে এই বিষয়ে চিঠি দেওয়া হয়েছে।
মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন প্রফেসর ফরিদ উদ্দিন মুরাদ, জাতীয় মহিলা সংস্থা নরসিংদীর সভাপতি তাহমিনা আক্তার লাইলি, বাংলাদেশ টেক্সটাইল বিশ্ববিদ্যালয় এর সহকারী অধ্যাপক ড. এএম আজমল মোর্শেদ, নরসিংদী প্রেসিডেন্সি কলেজের অধ্যক্ষ আহমাদুর রহমান, জাগরণী পাঠাগারের প্রতিষ্ঠাতা ডা. অছিউদ্দিন আহম্মদ, চেতনা বিকাশ রহিমা হক মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ ড. শফিউল আজম কাঞ্চন, বেলাব সরকারি হোসেন আলী কলেজের প্রভাষক শফিকুল ইসলাম বকুল, ইউনাইটেড কলেজের অধ্যক্ষ হাসিবুর রহমান অনিক প্রমুখ।
এ মানববন্ধনের উদ্যোক্তা বই পড়া আন্দোলন বাংলাদেশ ও নরসিংদী প্রেসিডেন্সি কলেজের প্রতিষ্ঠাতা ড. মো. মোয়াজ্জেম হোসেন তার বক্তব্যে বলেন, ‘বই পড়ার একটি পরিবেশ সৃষ্টি করা সময়ের দাবি।’ আজকের অনুষ্ঠানের দাবিগুলো ছিলো- ‘এনজিও ব্যাংক, হাসপাতাল, সকল রাজনৈতিক কার্যালয়, সকল সরকারি-বেসরকারি, স্বায়ত্তশাসিত কার্যালয়ে বই রাখা ও বই পড়ার ব্যবস্থা করা। সকল বেসরকারি গণগ্রন্থাগারে সরকারি বেতন ভুক্ত লাইব্রেরিয়ান দেওয়া, প্রত্যেক উপজেলায় সরকারি গণগ্রন্থাগার স্থাপন করা, সামাজিক অনুষ্ঠানে উপহার হিসেবে বইয়ের দেওয়ার প্রচলন করা, সর্বত্র বই পড়ার সংস্কৃতি গড়ে তোলা, শৈশব থেকে পাঠ্য বইয়ের পাশাপাশি ভালো ভালো বই পড়া, এনজিও ক্লাব সমিতি সংস্থার অনুমোদনের ক্ষেত্রে বই রাখা বাধ্যতামূলক করা, সুপার স্টোরে বই বিক্রির ব্যবস্থা করা।
Leave a Reply