ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) দ্বিতীয় বর্ষের এক ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। রোববার (৫ জানুয়ারি) বিকেল ৫টায় রাজধানীর কুর্মিটোলায় এ ঘটনা ঘটে।
ধর্ষণের শিকার ওই ছাত্রী বর্তমানে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। সোমবার (৬ জানুয়ারি) সকালে তার স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হবে বলে ঢামেক সূত্রে জানা গেছে।
জানা গেছে, রোববার সন্ধ্যা সাড়ে ৫টার দিকে ঢাবির নিজস্ব বাসে রওনা দেন তিনি। সন্ধ্যা ৭টার দিকে তিনি কুর্মিটোলা বাসস্ট্যান্ডে বাস থেকে নামেন। এরপর একজন অজ্ঞাত ব্যক্তি তার মুখ চেপে ধরে সড়কের পেছনে নির্জন স্থানে নিয়ে যায়। ধর্ষণের পাশাপাশি তাকে নির্যাতনও করা হয়। তার শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতের ক্ষতচিহ্ন পাওয়া গেছে। ধর্ষণের এক পর্যায়ে তিনি অজ্ঞান হয়ে যান। রাত ১০টার দিকে নিজেকে একটি নির্জন জায়গায় আবিষ্কার করেন ওই ছাত্রী। পরে সিএনজি নিয়ে ঢামেকে আসেন। রাত ১২টার দিকে ওই ছাত্রীকে ঢামেক হাসপাতালের ওয়ান-স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে (ওসিসি) ভর্তি করান তার সহপাঠীরা।
এ ঘটনার পর ভুক্তভোগী ছাত্রীকে দেখতে ঢাবি প্রক্টর অধ্যাপক গোলাম রাব্বানী, শিক্ষক সাদেকা হালিমসহ তার সহপাঠীরা ঢামেক হাসপাতালে ভিড় করেন। ঢাবি প্রক্টরিয়াল বোর্ডের কয়েকজন এসে তার সঙ্গে কথা বলেছেন।
প্রক্টর অধ্যাপক গোলাম রাব্বানী বলেন, এ ঘটনায় খুবই মর্মাহত হয়েছি। এটার লিগ্যাল ব্যবস্থা নেয়া হবে।
বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন তদন্ত করবে কি-না জানতে চাইলে তিনি বলেন, যেহেতু বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে না, সেহেতু এটা পুলিশ ব্যবস্থা নেবে। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন সবকিছু দিয়ে তদন্তে সাহায্য করবে।
Leave a Reply