মো. মোস্তফা খান :
যেসব ছাত্ররা শহীদ হয়েছে তাদের জন্যই কিন্তু দেশটা আবার স্বাধীন হয়েছে। তাদের জীবনের বিনিময়ে তারা দেশটা স্বাধিন করে গেছে। তারা আর ফিরে আসবে না। তাদের পরিবারের পাশে আমরা আছি, থাকবো। আগামীদিনে বিএনপি ক্ষমতায় আসলে ২০২৪ এর মুক্তিযোদ্ধাদের মূল্যায়ন হবে।
রবিবার সন্ধায় নরসিংদীর রায়পুরায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নিহত ৯ম শ্রেণির ছাত্র রোস্তম মিয়ার পরিবারকে নগদ আর্থিক সহায়তা প্রদান কালে বিএনপির কেন্দ্রী কার্যনির্বাহী কমিটির বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সহ-সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার আশরাফ উদ্দি বকুল এসব কথা বলেন।
তিনি আরো বলেন, মুক্তিযুদ্ধ যারা করেছে তারা যতটুকু ম্যূলায়িত হয়েছে তার চেয়ে বেশি মূল্যায়িত হবে ২০২৪ সালে যারা মৃত্যুবরণ করেছে। তারাও একজন মুক্তিযোদ্ধা বলা চলে। আমরা সেই মর্যাদাই তাদেরকে দিবো। তাদের পরিবারকে সরকারী ভাবেও করবো, ব্যক্তিগতভাবেও সাহায্য সহযোগিতা করবো, যাতে তারা সমাজে মাথা উচু করে দাড়াতে সে জায়গাটাতে নিয়ে যাবো ইনশাআল্লাহ।
নিহত রোস্তম মিয়ার বাবা মাইন উদ্দিন কথা বলতে গিয়ে কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন এবং বলেন, আমার ছেলের স্বপ্ন ছিল ফুটবল খেলোয়ার হবে। তার সে স্বপ্ন আর পূরন হলো না। আমার ছেলের মৃত্যৃতে আমার শরীরের শক্তি চলে গেছে। আমার ছেলে দেশের জন্য জীবন দিছে তাই এ দেশের জন্য আমার ছেলেকে উৎসর্গ করে দিলাম। আপনারা আমার প্রতি খেয়াল রাখবেন, সুদৃষ্টি রাখবেন সেটাই আমার চাওয়া।
নিহত মো: রোস্তম মিয়া মিরপুর-২ ন্যাশনাল বাংলা উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির ছাত্র ছিল। সে ১৮ আগস্ট বৃহস্পতিবার বিকালে আন্দোলনে গিয়ে বুকে গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হয়। বাবা মিরপুর-২ এর দর্জির কাজ করেতন। তাদের জন্মস্থান নরসিংদীর রায়পুরা উপজেলার মির্জাপুর ইউনিয়নের পিরিজকান্দি গ্রামে।
এসময় উপজেলা যুবদলের সদস্য সচিব নুর আহমেদ মানিকের সঞ্চালনায় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা বিএনপির সাধার সম্পাদক আব্দুর রহমান খোকন, সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রহমান হাবিব, পৌরসভা বিএনপির সাধারণ সম্পাক সাইফুল ইসলাম পলাশ সহ বিএনপি ও সহযোগি সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।
Leave a Reply