1. mostafa0192@gmail.com : admin2024 :
শুক্রবার, ০৪ অক্টোবর ২০২৪, ০২:২৪ পূর্বাহ্ন

বিশ্ব ইজতেমার দ্বিতীয় পর্ব শুরু

রিপোর্টারের নাম
  • আপডেট টাইম : শুক্রবার, ১৭ জানুয়ারি, ২০২০
  • ২৪৪ বার পঠিত

আম বয়ানের মধ্য দিয়ে টঙ্গীর তুরাগ তীরে শুরু হয়েছে তবলিগ জামাতের ৫৫তম বিশ্ব ইজতেমার দ্বিতীয় পর্বের আনুষ্ঠানিকতা। আজ শুক্রবার ফজরের নামাজের পর ইজতেমার কার্যক্রম শুরু হয়। ইজতেমার এ পর্বে অংশ নিচ্ছেন মাওলানা সা’দ অনুসারি দেশি-বিদেশি মুসল্লিরা।

আগামী রবিবার (১৯ জানুয়ারি) আখেরি মোনাজাতের মধ্য দিয়ে শেষ হবে এবারের ২০২০ সালের বিশ্ব ইজতেমা।

বাদ ফজর দিল্লির মুফতি ওসমান বয়ান শুরু করেন। তার বয়ান তরজমা করেন বাংলাদেশের মুফতি আব্দুল্লাহ মুনসুরী। আজ ইজতেমা ময়দানে জুমার নামাজ অনুষ্ঠিত হবে। জুমার নামাজের ইমামতি করবেন শূরা সদস্য বাংলাদেশের মাওলানা মোশারফ।

বিশ্ব ইজতেমায় সাধারণত বাংলাদেশ, ভারত ও পাকিস্তানের তবলিগ মারকাজের শূরা সদস্য ও বুজর্গরা মূল বয়ান পেশ করেন। মূল বয়ান উর্দুতে হলেও বাংলা, ইংরেজি, আরবি, তামিল, মালয়, তুর্কি ও ফরাসিসহ বিভিন্ন ভাষাভাষী মুসল্লিদের জন্য ওই বয়ান স্ব স্ব ভাষায় তাৎক্ষণিক অনুবাদ করা হয়।

দ্বিতীয় পর্বের ইজতেমায় দেশের বিভিন্ন জেলার অংশগ্রহণকারী মুসল্লিদের জন্য পুরো ময়দানকে ৮৭ খিত্তায় (ভাগে) ভাগ করা হয়েছে। তবে জেলাভিত্তিক মুসল্লিদের জন্য নির্ধারিত করা হয়েছে ৮৪টি খিত্তা। বাকি তিনটি খিত্তা রিজার্ভ রাখা হয়েছে। এ ছাড়া ময়দানের পশ্চিম-উত্তর পাশে বিদেশি মুসল্লিদের জন্য নির্মাণ করা হয়েছে বিদেশি নিবাস।

ইতোমধ্যে বিপুল সংখ্যক মুসল্লি ইজতেমা ময়দানে অবস্থান নিয়েছেন। তারা ইজতেমার শীর্ষ মুরব্বিদের বয়ান শুনছেন। মুসল্লিদের আসা অব্যাহত রয়েছে। তবে প্রথম পর্বের তুলনায় দ্বিতীয় পর্বে মুসল্লি সমাগম কম লক্ষ করা গেছে।

ভোরে টঙ্গীতে কুয়াশা থাকলেও শীতের তীব্রতা কম। বেলা বাড়ার সাথে সাথে কুয়াশা কেটে গিয়ে ইজতেমাস্থল ও আশপাশ এলাকায় রোদ উঠেছে।

আগত মুসল্লিদের টঙ্গীর শহীদ আহসান উল্যাহ মাস্টার জেনারেল হাসপাতালসহ বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি সংস্থা ও সেবামূলক প্রতিষ্ঠান ময়দানের উত্তর পাশে নিউ মন্নু কটন মিলের অভ্যন্তরে মেডিক্যাল ক্যাম্প স্থাপন করেছে। তারা মুসুল্লিদের বিনামূল্যে স্বাস্থ্যসেবা দিচ্ছে।

গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার মো. আনোয়ার হোসেন বলেন, দ্বিতীয় পর্বেও প্রথম পর্বের মতো নিরাপত্তা ব্যবস্থায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর প্রায় আট হাজার সদস্য নিয়োজিত রয়েছে।

গাজীপুর সিটি করপোরেশনের মেয়র মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম বলেন, সরকার মুসল্লিদের জন্য ইজতেমা মাঠে ব্যাপক উন্নয়ন করেছে। ১৩টি গভীর নলকূপের মাধ্যমে ২য় পর্বেও প্রায় সাড়ে ৩ কোটি গ্যালন খাবার পানি ও ওজু-গোসলের পানি সরবরাহ করা হবে। ৮ হাজারের বেশি মুসল্লি একসঙ্গে টয়লেট ব্যবহার করতে পারবেন। দেশ-বিদেশের ধর্মপ্রাণ মুসল্লিরা এ পর্বেও সিটি করপোরেশনের সব ধরনের সুযোগ-সুবিধা পাবেন।

গত ১০, ১১ ও ১২ জানুয়ারি একই ময়দানে অনুষ্ঠিত হয় বিশ্ব ইজতেমার প্রথম পর্ব। ওই পর্বে মাওলানা জুবায়ের অনুসারীরা অংশ নেন।

এবিএন

নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর..
© All rights reserved © 2019 Jonaki Media and Communication Limited
Design By Khan IT Host