ডেস্ক রির্পোট
রাজধানীর সদরঘাটের শ্যামবাজার এলাকায় বুড়িগঙ্গা নদীতে ঢাকা-চাঁদপুর রুটের ময়ূর ২ লঞ্চের ধাক্কায় ঢাকা-মুন্সিগঞ্জ রুটের মর্নিং বার্ড লঞ্চটি অর্ধশতাধিক যাত্রী নিয়ে ডুবে গেছে। সোমবার (২৯ জুন) সকাল সাড়ে নয়টার দিকে এই দুর্ঘটনা ঘটে। তবে স্থানীয়দের দাবি, লঞ্চে আড়াইশ’ থেকে তিনশ’ যাত্রী ছিল। দু’টি লঞ্চের সংঘর্ষের পর এ দুর্ঘটনা ঘটে। এখন পর্যন্ত অন্তত ১৭টি লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। বাকিদের সন্ধানে উদ্ধার তৎপরতা চালাচ্ছেন ফায়ার সার্ভিসের তিনটি ইউনিট।
সোমবার বেলা সাড়ে ১১টা পর্যন্ত তল্লাশি চালিয়ে লাশগুলো উদ্ধার করে ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল ও কোস্টগার্ড। উদ্ধার হওয়া ১৭ জনের মধ্যে ১১ জন পুরুষ, চারজন নারী এবং দুটি শিশু।
ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স সদর দপ্তরের ডিউটি অফিসার রোজিনা আক্তার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, উদ্ধার হওয়া ১৭ জনের পরিচয় এখনও জানা যায়নি। লঞ্জডুবির ঘটনায় নিখোঁজদের উদ্ধারে এখনও অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
উদ্ধার কাজে অংশ নিতে নারায়ণগঞ্জ থেকে বিআইডব্লিউটিএর উদ্ধারকারী জাহাজ রওনা দিয়েছে। ডুবে যাওয়া যাত্রীদের স্বজনরা ভিড় করছেন নদী তীরে।
ডুবে যাওয়া লঞ্চটি থেকে কয়েকজন যাত্রী সাঁতরে পাড়ে উঠলেও বেশ কয়েকজন নিখোঁজ রয়েছে বলে জানান স্থানীয়রা। নিখোঁজদের উদ্ধারে ইতোমধ্যেই ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল বুড়িগঙ্গায় উদ্ধার অভিযান শুরু করেছে। অপরদিকে উদ্ধার কাজে যোগ দিয়েছে নৌবাহিনী ডুবুরি দল।
স্থানীয়রা জানান, সকাল ৯টায় মুন্সিগঞ্জ থেকে ছেড়ে আসা দুই তলা মর্নিং বার্ড লঞ্চটি সদরঘাট কাঠপট্টি ঘাটে ভেড়ানোর আগ মুহূর্তে চাঁদপুরগামী ময়ূর-২ লঞ্চটি ধাক্কা দেয়। এতে সঙ্গে সঙ্গে তুলনামূলক ছোট মর্নিং বার্ড লঞ্চটি ডুবে যায়।
জোনাকী টেলিভিশন/এসএইচআর/২৯-০৬-২০ইং
Leave a Reply