ডেস্ক রির্পোট
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় গ্রেফতারি পরোয়ানাভুক্ত আসামি গ্রেফতার করতে গিয়ে ছুরিকাঘাতে সদর মডেল থানার সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) আমির হোসেন (৩৫) নিহত হয়েছেন। এঘটনায় মনি শংকর চাকমা নামের আরও এক এএসআই আহত হয়েছেন। শুক্রবার (১৭ জুলাই) বিকেল ৫টার দিকে সদর উপজেলার চানপুর বাজার এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। নিহত আমির হোসেন ময়মনসিংহ সদরের কোতোয়ালি থানা এলাকার মুনতাজ আলীর ছেলে।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, শুক্রবার বিকেলে সদর উপজেলার মাছিহাতা ইউনিয়নের চানপুরে আদালতের গ্রেফতারী পরোয়ানাভুক্ত আসামি মুছা মিয়ার ছেলে মামুনকে গ্রেফতার করতে যায় পুলিশ। চানপুর বাজার এলাকায় আসামি মামুনকে পেয়ে গ্রেফতার করতে গেলে তার সঙ্গে থাকা ছুরি এলোপাতাড়ি চালাতে থাকে। এসময় এএসআই আমির হোসেন ও এএসআই মনি শংকর চাকমাকে ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যায় মামুন। ছুরিকাহত এএসআই আমির হোসেনকে আশংকাজনক অবস্থায় ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। আহত অবস্থায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে অপর এএসআই মনি শংকর চাকমা।
২৫০ শয্যা বিশিষ্ট ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক এবিএম মুসা জানান, হাসপাতালে নিয়ে আসার আগেই আমির হোসেন মারা গেছেন। নিহতের বুকের দুই দিকে দুটি আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।
ঘটনার খবর পেয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার পুলিশ সুপার আনিসুর রহমানসহ জেলার শীর্ষ পুলিশ কর্মকর্তারা হাসপাতালে ছুটে যান। পুলিশ সুপার জানান, মাদক মামলার আসামির খোঁজ নেওয়ার সময় এএসআই আমিরকে ছুরিকাঘাত করা হয়।
এ ঘটনার পর আসামি মামুনকে ধরতে চান্দপুর গ্রামও আশপাশে বিপুলসংখ্যক পুলিশ অভিযান চালাচ্ছে। এতে এলাকায় থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে।
গ্রামবাসী জানায়, মামুন এলাকায় চোর, ছিনতাইকারী ও মাদক কারবারি বলে পরিচিত। তাকে ধরিয়ে দিতে সামাজিক যোগাযোগ মাধমে আহ্বান ও প্রচার চালাচ্ছেন তারা।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মুহাম্মদ শাহজাহান জানান, আসামিকে গ্রেফতারের জোর চেষ্টা চলছে।
জোনাকী টেলিভিশন/এসএইচআর/১৭জুলাই ২০২০ইং
Leave a Reply