ডেস্ক রির্পোট
ভুতুড়ে বিদ্যুৎ বিল (অতিরিক্ত বিল) করার সাথে জড়িতদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেবে বিদ্যুৎ বিভাগ। এ জন্য একজন অতিরিক্ত সচিবের নেতৃত্বে টাস্কফোর্স গঠন করা হয়েছে। আগামী ৭ দিনের মধ্যে জড়িতদের শাস্তির আওতায় আনতে কাজ করবে টাস্কফোর্স।
বৃহস্পতিবার (২৫ জুন) বিদ্যুৎ বিভাগের এক ভার্চুয়াল সভায় এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
সভায় সভাপতিত্ব করেন বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ। তিনি বলেন, কোনও অবস্থায় অতিরিক্ত বিল গ্রহণ করা যাবে না। এছাড়া কোনো গ্রাহককে অতিরিক্ত বিল পরিশোধ করতে হবে না বলেও আশ্বস্ত করেন তিনি।
সভায় অতিরিক্ত বিদ্যুৎ বিল প্রদানের বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হয় এবং কোম্পানিগুলোর ব্যবস্থাপনা পরিচালকরা দুঃখ প্রকাশ করে বলেন, অতিরিক্ত বিদ্যুৎ বিল প্রদান সংক্রান্ত বিষয়টি নিয়ে সংস্থাগুলো পৃথক পৃথক ভাবে গণমাধ্যমের মাধ্যমে গ্রাহকদের কাছে ব্যাখ্যা করবেন।
বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী ছাড়া সভায় আরও যারা অংশ নেন তারা হলেন- বিদ্যুৎ বিভাগের সচিব ড. সুলতান আহমেদ, বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড-পিডিবির চেয়ারম্যান মো. বেলায়েত হোসেন, পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ড-আরইবির চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল মঈন উদ্দিন (অব.), পাওয়ার সেলের মহাপরিচালক মোহাম্মদ হোসেন এবং বিভিন্ন দপ্তর ও কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালকেরা।
সভায় এডিপি বাস্তবায়নে অগ্রগতি পর্যালোচনায় বলা হয়, বিদ্যুৎ বিভাগ ২০১৯-২০ অর্থবছরে বিনিয়োগ বা জিওবি খাতে ৮৭ টি, প্রকল্প সহযোগিতা খাতে ১১ টি ও নিজস্ব অর্থায়নে ৬ টি সহ মোট ১০৪ টি প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে। মে ২০২০ পর্যন্ত বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি বাস্তবায়নে আর্থিক ৭২.৩৬ শতাংশ ও ভৌত ৭০.৬১ শতাংশ অগ্রগতি হয়েছে। যা জুন ২০২০ এর মধ্যে ৯০ শতাংশ ছাড়িয়ে যাবে বলে আশা করা হচ্ছে বলে জানানো হয়।
এর আগে গতকাল বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) একটি সংলাপে অংশ নিয়ে ভুতুড়ে বিদ্যুৎ বিলের অভিযোগ স্বীকার করেন বিদ্যুৎ ও জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ। এর জন্য বিদ্যুতের ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানিগুলোকে দায়ী করেন তিনি। এ সময় প্রতিমন্ত্রী জানান, অতিরিক্ত বিল নিয়ে দুচিন্তার কিছু নেই। কাউকে অতিরিক্ত বিল পরিশোধ করতে হবে না। মিটার দেখে সবার বিল সমন্বয় করে নেয়া হবে।
উল্লেখ্য দেশে যখন করোনা মহামারি চলছে তখন বিদ্যুতের বিভিন্ন গ্রাহকের নামে গত কয়েক মাসে ভুতুড়ে বিল করার অভিযোগ ওঠেছে। করোনাকালে এই বিল পরিশোধ করতে গিয়ে হিমশিম খাচ্ছে গ্রাহক। বিষয়টি নিয়ে ব্যাপক সমালোচনার মুখে অবশেষে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ মন্ত্রণালয়।
জোনাকী টেলিভিশন/এসএইচআর/২৫-০৬-২০ইং
Leave a Reply