ইমন মাহমুদ লিটন, ভৈরব (কিশোরগঞ্জ) প্রতিনিধি:
ভৈরবে শুরু হয়েছে কাঁচা চামড়া সংরক্ষণ; ট্যানারির মালিকদের সিন্ডিকেটে ন্যায্যমূল্য পাওয়া নিয়ে শঙ্কায় ব্যবসায়ীরা। ঈদের দিন থেকে শুরু করে পরবর্তী দুই সপ্তাহ কুরবানির পশুর চামড়া বাণিজ্যের মৌসুম।
এ সময় চামড়া শিল্প খাতের প্রায় ৫০ ভাগ চামড়া সংগ্রহ হয়। পশু কোরবানির পর থেকেই কিশোরগঞ্জের ভৈরবের আড়তগুলোতেও শুরু হয়েছে চামড়া ব্যবসায়ীদের ব্যস্ততা। আশপাশের বেশ কয়েকটি জেলা থেকে কোরবানির পশুর চামড়া এসে জমা হয় এখানকার আড়তগুলোতে। এসব কাঁচা চামড়ার প্রক্রিয়াজাত করণে ব্যস্ত সময় পার করছে শ্রমিকরা।
চামড়া ব্যবসায়ীরা জানান, বর্তমানে চামড়া সংরক্ষণের কাজ চলছে। এই বছর গরুর চামড়া সর্বনিম্ন ৫০০ থেকে সর্বোচ্চ ৮৫০ টাকা করে কিনলেও ছাগলের চামড়া কিনছেন না তারা। এছাড়া গোডাউন ভাড়া, শ্রমিক ও লবণ মিলে প্রতি পিস চামড়া সংরক্ষণে প্রায় ২০০-২৫০ টাকা খরচ হচ্ছে। সরকারের নির্ধারিত মূল্যে চামড়া কিনলেও ন্যায্যমূল্যে বিক্রি নিয়ে শঙ্কায় রয়েছে এখানকার চামড়া ব্যবসায়ীরা।
তারা আরোও জানান, গত বছরের তুলনায় এ বছর চামড়ার দাম একটু বেশি। তবে ট্যানারি মালিকদের কাছে টাকা বকেয়া থাকায় চামড়া কিনতে পারছেন না। ট্যানারি মালিকরা সময় মত টাকা দিচ্ছে না বলে অভিযোগ করেন ব্যবসায়ীরা। ঋণ ও ধারদেনা করে গরুর চামড়া কিনছেন তারা। প্রতিবছর চামড়ার বাজারের এমন অস্থিরতার জন্য ট্যানারি অ্যাসোসিয়েশনের মালিকেদের দায়ী করছেন ভৈরবের চামড়া ব্যবসায়ীরা।
তাদের অভিযোগ, ট্যানারির মালিকদের সিন্ডিকেটে চামড়া শিল্পের এই নাজুক পরিস্থিতি। তাই চামড়া শিল্প খাতকে টিকিয়ে রাখতে সমস্যা সমাধানে জন্য সরকারের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন স্থানীয় চামড়া ব্যবসায়ীরা। এছাড়া বৃষ্টির কারণে চামড়ার কোনো ক্ষতির আশঙ্কা নেই বলেও জানান স্থানীয় চামড়া ব্যবসায়ীরা।
Leave a Reply