নিজস্ব প্রতিবেদক:
আলহাজ্ব আবদুল হান্নান মুসাফির জীবিকার তাগিদে ২০০১ সালে পাড়ি জমায় মরুর দেশ সৌদি আরব। নিজের কর্মদক্ষতায় ধিরে ধিরে শুরু করেন নিজ ব্যবসা প্রতিষ্ঠান।আবদুল হান্নান মুসাফিরের বাড়ী চাঁদপুর জেলার হাজীগঞ্জ থানার দিকচাইল গ্রামে। দেশে থাকা অবস্থায় বিভিন্ন সামাজিক সংগঠনের সাথে জড়িত ছিলেন। সম্প্রতি মদিনা আওয়ামী যুবলীগ এর পক্ষ থেকে তাকে সম্মাননা প্রদান করা হয়।
শিক্ষা জীবন থেকে হৃদয়ে লালন করেছেন বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ ও বঙ্গবন্ধুর রাজনীতির আদর্শ। প্রবাসে এসেও তিনি থেমে নেই, কাজের ফাকে যখনই সুযোগ পেয়েছেন সময় দিয়েছেন প্রবাসে গড়ে উঠা আওয়ামী লীগ এর বিভিন্ন সংগঠনকে। শুধু তাই নয় একাধিক সামাজিক সংগঠনের বিভিন্নভাবে দায়িত্ব পালন করছেন তিনি। মহামারি করোনা পরিস্থিতিতে সারা বিশ্ব যখন অচল হয়ে পড়ে তখন তিনি জীবনের ঝুঁকি নিয়ে মদিনায় বসবাসরত প্রবাসীদের পাশে গিয়ে দাঁড়ান। প্রতিদিন তার নিজের জীবন বাজি রেখে ঝুঁকি নিয়ে ২০-৩০ কিলো ঘুরেছেন এবং খাবার সহ প্রয়োজনীয় সামগ্রী বিতরন করেছেন। শুধু তাই নয়, ওনার নিজ অর্থায়নে তিনি গড়ে তুললেন মুসাফির ফাউন্ডেশন নামে একটি অরাজনৈতিক ও অলাভজনক সংগঠন। যার চেয়ারম্যান এর দায়িত্ব পালন করছেন তিনি নিজেই। যার প্রসার এখন দেশ থেকে বিদেশে, সকলের দৌড়গোড়ায় পৌছে দিতে সর্বোচ্চ প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে, তারই ধারাবাহিকতায় ইতিমধ্যে নানা কর্মসূচি হাতে নেওয়া হয়েছে ।
ইতোমধ্যে বিভিন্ন কর্মসূচি এবং ধারাবাহিক অনুদানের ভুমিকা রাখায় তার নিজ এলাকাসহ বাংলাদেশের অনেক জেলাশহর বেশ পরিচিত হয়ে উঠেছে। এই সংগঠনের মাধ্যমে তিনি তার মুসাফির ফাউন্ডেশন এর তহবিল থেকে দেশে ও বিদেশে অসহায় মানুষের সহযোগিতা করে থাকেন। তিনি বর্তমানে মদিনা বাংলাদেশী কমিউনিটির পৃষ্ঠপোষকতায় ও মদিনা আওয়ামী যুবলীগ এর উপদেষ্টার দায়িত্ব পালন করছেন। তার মানবিকতার জন্য সম্প্রতি মদিনা আওয়ামী যুবলীগ এর পক্ষ থেকে তাকে সম্মাননা প্রদান করা হয়।
তার একান্ত ইচ্ছে সব সময় অসহায় মানুষের পাশে থাকতে, মানুষের জন্য কিছু করে অসহায় মানুষের মুখে হাসি ফুটাতে। তিনি যেমনি মানব প্রিয় তারই সাথে সমান্তরালভাবে পশু পাখিকে খুব ভালবাসেন, ভালবাসার বহিঃ প্রকাশ হিসেবে প্রবাসে বসেও লালন পালন করছেন বিভিন্ন প্রকার পশু ও পাখি। তার মধ্যে উল্লেখ্য হাস-মুরগী,গরু-ঘোড়া, কবুতর, হরিন সহ আরও অনেক কিছু, সবই ওনার সখ ও পশু-পাখীর ভালোবাসার জন্য। তিনি মানুষকে খুব ভালবাসেন, সাড়া জীবন মানুষের পাশে থাকতে, মানুষের জন্য কিছু করতে ও অসহায় মানুষের মুখে হাসি ফুটাতে এবং সকলকে নিয়ে একসাথে হাসি-খুশি ভাবে জীবন কাটাতে।
জীবনের শেষ সময় পর্যন্ত যেন দেশ ও জনগনের পাশে থাকতে পারেন সেজন্য তিনি সকলের দোয়া প্রার্থনা করেন ।
Leave a Reply