নিজস্ব প্রতিবেদক
নরসিংদীর মনোহরদীতে বিয়ের কাগজ চাইলে স্কুলছাত্রীকে ৪ দিন আটকে রেখে পালাক্রমে গণধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে প্রেমিক ও তার চার বন্ধুর বিরুদ্ধে। উপজেলার চালাকচর ইউনিয়নের চেঙ্গাইন গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। ধর্ষণের শিকার ওই ছাত্রী স্থানীয় একটি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ১০ম শ্রেণির ছাত্রী। বুধবার রাতে স্কুলছাত্রীর মা বাদী হয়ে প্রেমিক শাওন মিয়াসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে মনোহরদী থানায় মামলা করেছেন।
অভিযুক্তরা হলো একই ইউনিয়নের চেঙ্গাইন গ্রামের গিয়াস উদ্দিনের ছেলে প্রেমিক শাওন মিয়া ও তার বন্ধু মো. আশিক, মো. মোবারক হোসেন, মোবারক হোসেন এবং চালাকচর গ্রামের সুমন মিয়া।
বৃহস্পতিবার ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য ওই স্কুলছাত্রীকে নরসিংদী সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
মামলার বিবরণে জানা যায়, ১০ম শ্রেণির ওই স্কুলছাত্রীর সঙ্গে অভিযুক্ত শাওন মিয়ার প্রেমের সম্পর্ক ছিল। প্রায় আড়াইমাস আগে নরসিংদী আদালতের পাশে একটি দোকানে নিয়ে দুটি সাদা স্ট্যাম্পে প্রেমিকার স্বাক্ষর নেয় শাওন। এতে তাদের দু’জনের বিয়ে হয়ে গেছে বলে প্রেমিকাকে জানায়। সেই সাথে বিষয়টি তিনমাস গোপন রাখতে বলে শাওন। সম্প্রতি ওই ছাত্রী বিয়ের কাগজপত্র চাইলে টালবাহানা করতে থাকে শাওন।
এরই জেরে গত ৩ ডিসেম্বর বগাদী পার্কে ঘুরতে যাওয়ার কথা বলে ওই ছাত্রীকে মোবাইল ফোনে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে যায় শাওন মিয়া। সারাদিন ঘুরে সন্ধ্যার পর তাকে অপহরণ করে অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে যায় শাওন ও তার চার সহযোগী। সেখানে ওই ছাত্রীকে টানা ৪ দিন আটকে রেখে প্রেমিক শাওন ও তার সহযোগীরা পালাক্রমে ধর্ষণ করে। পরে গত মঙ্গলবার রাতে নির্যাতিতা ছাত্রীকে মনোহরদীর চালাকচর বাজারের পাশে বক্ষিলার মোড়ে ফেলে রেখে যায়। পরে বাড়িতে গিয়ে ওই ছাত্রী তার পরিবারের লোকদের বিষয়টি জানালে বুধবার রাতে মনোহরদী থানায় লিখিত অভিযোগ করা হয়।
মনোহরদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মনিরুজ্জামান এ বিষয়ে সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, স্কুলছাত্রীকে গণধর্ষণের ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে। ঘটনার পর থেকে অভিযুক্তরা পলাতক রয়েছে তবে তাদের গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে। নির্যাতনের শিকার ওই স্কুলছাত্রীকে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য নরসিংদী সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
Leave a Reply