নরসিংদী প্রতিনিধি : নরসিংদীর মাধবদী পৌর মেয়র মোশাররফ হোসেন প্রধান মানিকের বিরুদ্ধে পৌর মার্কেটের সিড়ি কোটার পজিশন গোপনে বিক্রি করে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। গত ৩ নভেম্বর মার্কেটের ২৪ জন ব্যবসায়ী স্বাক্ষরিত সিঁড়ি কোঠা বিক্রি না করার জন্য মেয়র বরাবর আবেদন করেন। যার অনুলিপি স্থানীয় সরকার বিভাগের মন্ত্রীসহ মোট ৫টি দপ্তরে পাঠানো হয়।
জানা যায়, মাধবদী পৌরসভার অধীনে থাকা ২য় তলা মার্কেটের নীচ তলার সিড়ি কোটার পজিশন গোপনে বিক্রি করে দেয়। এতে মার্কেটের ব্যবসায়ীরা হতাশ হয়। অনেকে এতে ক্ষোভ প্রকাশ করে। মার্কেটের ব্যবসায়ীরা গত ৩ নভেম্বর সিঁড়ি কোটার পজিশন বিক্রি না করার জন্য পৌর মেয়র বরাবরে লিখিত আবেদন করেন। আবেদনে উল্লেখ করা যে মার্কেটের নিজস্ব কোন পার্কিং ব্যবস্থা না থাকায় ঐ সিড়ির কোটার নিচে ব্যবসায়ীরা মটরবাইক, বাইসাইকেল রাখার জন্য ব্যবহার করছে। তাছাড়া সিড়ির নিচে এক পাশে রয়েছে কলাপসেবল গেইট ও পুরো মার্কেটের বৈদ্যুতিক ব্রেকার সমূহ। পজিশন বিক্রি করে দিলে মার্কেটের কোন শক সার্কিট বা অন্য কোন বৈদ্যুতিক সমস্যা হলে ওই দোকানের বিদ্যুৎ সংযোগ দ্রুত বিচ্ছিন্ন করা সম্ভবপর হবেনা। তখন সমস্যাটি শুধু একটি দোকানের মদ্যে সীমাবদ্ধ না থেকে অন্যান্য দোকাল গুলোতেও ছড়িয়ে পড়বে।
সম্প্রতি মার্কেটের নিচ তলার থাকা বাথরুমটি পজিশন বিক্রি করে দেওয়ায় ব্যবসায়ীদের নানাবিধ অসুবিধা সম্মুখিন হতে হচ্ছে। কিন্তু পৌর মেয়র মোশাররফ হোসেন প্রধান মানিক ব্যবসায়ীদের সুবিদা-অসুবিদার বিষয়টি যাচাই-বাচাই না করেই সিড়ি কোটা নিচের জায়গা পজিশন বিক্রি করে দেয়। পজিশন বিক্রির বিষয়টি ব্যবসায়ীদের হতাশ করে। এ অবস্থায় ব্যবসায়ীরা সিঁড়ি কোটার পজিশন বিক্রি না করার অনুরোধ জানিয়ে মেয়র বরাবর আবেদন করেন। যার অনুলিপি স্থানীয় সরকার বিভাগের মন্ত্রী, সচিব, বিভাগীয় কমিশনার, জেলা প্রশাসক ও নরসিংদী প্রেস ক্লাবের সভাপতি, সাধারণ সম্পাদকসহ সকল সদস্যদের।
এ ব্যাপারে মার্কেটের এক ব্যবসায়ীর সাথে যোগাযোগ করলে নাম প্রকাশ না করা শর্তে তিনি জানান, আমরা সিঁড়ি কোটার পজিশন বিক্রি না করার জন্য বিচারের ভারটা মেয়রের কাছে দিয়ে প্রথমে তার বরাবরই আবেদন করলাম। তার দিক থেকে আশারূপ ফল না পেলে পরবর্তীতে এর প্রতিকার চেয়ে মন্ত্রী, সচিব, বিভাগীয় কমিশনার ও জেলা প্রশাসক বরাবর আবেদন করবো।
মাধবদী পৌর মেয়র মোশাররফ হোসেন প্রধান মানিকের সাথে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, ‘পৌরসভার উন্নয়নের স্বার্থেই আমি পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি দিয়ে সিড়ি কোটা পজিশন বিক্রি করেছি।’
Leave a Reply