-মো:নাসির, বিশেষ প্রতিনিধি–
আকস্মিক মহামারীতে পর্যুদস্ত পৃথিবী। অদৃশ্য শক্তির সাথে যুদ্ধে আজ সাড়ে সাতশো কোটি মানুষ। এই যুদ্ধে কাজে আসছে না কোন মারণাস্ত্র।কাজে আসছে না ট্রিলিয়ন ডলারের যুদ্ধাস্ত্র। এই যুদ্ধে জয়ের একটিই মাত্র অস্ত্র, মানবিকতা। কঠিন কঠোর মারণাস্ত্র দিয়ে নয়, কুসুম কোমল হৃদয় দিয়েই এই যুদ্ধে জয়ী হতে হবে মানুষকে। শুধু মানুষ নয় মানুষের উপর নির্ভরশীল প্রাণিকুলের দিকেও সাহায্যের হাত বাড়াতে হবে মানুষকেই। কথাগুলো জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মীজানুর রহমানের।
সরকারি আদেশে দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ। বন্ধ জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ও। শূন্য ক্যাম্পাসে অসহায় হয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছে দশটি ক্ষুধার্ত কুকুর। গতকাল খবর পাওয়া যায় ক্ষুধার যন্ত্রণা একটি কুকুর কামড়ে দিয়েছে একজন লোককে। তাকে চিকিৎসা প্রধান করা হয়েছে। এ খবর শুনে কুকুর গুলোকে বাঁচিয়ে রাখার জন্য নিজ অর্থায়নে ওদের জন্য খাবারের বন্দোবস্ত করেছেন ড. মীজানুর রহমান।
তিনি বলেন, ‘কুকুরগুলো রাতে ক্যাম্পাস পাহারা দেয়, কোন গার্ড কাজে ফাঁকি দিলেও ওরা ওদের কাজে কখনো ফাঁকি দেয় না। ক্যাম্পাস খোলা থাকলে ক্যান্টিনের আশে পাশে বসে থাকতো ওরা, ছাত্ররাই ওদের খাওয়াতো। এখন কোথাও কোন খাবার পাচ্ছে না। এই পরিস্থিতিতেও ওদের বাঁচিয়ে রাখার জন্য কাজ করাটা আমাদের দায়িত্ব।’
ক্যাম্পাসের কাছাকাছি অবস্থানকারী বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন কর্মকর্তাকে তিনি দায়িত্ব দিয়েছেন প্রতিদিন ওদের খাবার সরবরাহ করার। খাবারের খরচ দিবেন তিনি ব্যক্তিগত অর্থায়নে।
এছাড়াও, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় মার্কেটিং এলামনাই এসোসিয়েশনের সভাপতি হিসেবে সংগঠনের পক্ষ থেকে ৫০০ প্যাকেট চাল,আটা,ডাল,আলু,তেল ও সাবান বিতরণ করবেন অভাবী মানুষের মাঝে। নিজ গ্রাম কুমিল্লার হরিপুরের দিন এনে দিন খাওয়া মানুষদের জন্যও ব্যক্তিগত উদ্যোগে জীবন বাঁচানোর জন্য প্রয়োজনীয় খাদ্যসামগ্রী সরবরাহের ব্যবস্থা করেছেন তিনি।
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের কোন শিক্ষার্থী এই সময়ে অনটনে থাকলেও, ব্যক্তিগতভাবে তাঁকে জানানোর আহবান জানান উপাচার্য।
অধ্যাপক ড. মীজানুর রহমান
উপাচার্য,
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়
Leave a Reply