ডেস্ক রির্পোট
ধর্ম প্রতিমন্ত্রী শেখ মোহাম্মদ আব্দুল্লাহর দাফন সম্পন্ন হয়েছে। স্বাস্থ্যবিধি মেনে তাকে দাফন করা হয়। বাদ আসর গোপালগঞ্জের সদর উপজেলার কেকানিয়ায় পারিবারিক কবরস্থানে বাবা-মায়ের কবরের পাশে তাকে শায়িত করা হয়। এর আগে, বাড়ির মসজিদের মাঠে স্বাস্থ্যবিধি মেনে তার জানাজা অনুষ্ঠিত হয়।
এর আগে ধর্ম প্রতিমন্ত্রী শেখ মোহাম্মদ আব্দুল্লাহকে রাষ্ট্রিয় মর্যাদা দেয়া হয়। তার মৃত্যুতে রাজনৈতিক অঙ্গনসহ জেলাজুড়ে নেমে এসেছে শোকের ছায়া। সাধরণ মানুষ ভিড় করেন তার বাড়িতে। মৃত্যুর মধ্য দিয়ে অবসান ঘটলো তার সুদীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনের। প্রিয় নেতার মৃত্যুতে শোক জানিয়েছেন স্থানীয় নেতাকর্মীরা।
শনিবার (১৩ই জুন) রাত পৌনে ১২টায় হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে সিএমএইচে মৃত্যু হয় শেখ মোহাম্মদ আব্দুল্লাহর। মারা যাওয়ার পর তার নমুনা সংগ্রহ করে জানা যায় তিনি করোনা আক্রান্ত ছিলেন।
তার মরদেহ বিকাল সাড়ে ৪টায় নিজ গ্রামের বাড়িতে নিয়ে আসা হয়। পরে কেকানিয়া শাসছুল উলুম মাদ্রাসা মাঠে নেয় হয়। সেখানে তাকে রাষ্ট্রিয় সালাম ও গার্ড অব অনার প্রদান করা হয়।
পরে একই মাঠে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে নামাজের জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। জানাজা শেষে জেলা আওয়ামী লীগ ও দলীয় নেতাকর্মীরা প্রিয় নেতার মরদেহে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান।
এসময় জেলা আওয়াশী লীগের সভাপতি চৌধুরী এমদাদুল হক, সাধারণ সম্পাদক মাহাবুব আলী খানসহ দলীয় নেতাকর্মীরা ও সাধারণ মানুষ অংশ নেন।
নামাজে জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে বাবা-মায়ের কবরের পাশে তাকে সমাহিত করা হয়। এ সময় নেতাকর্মীরা তার কবরে মাটি দেন। এর আগে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের একটি দল তার কবর খোড়েন।
জেলা আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদ বদরুল আলম বদর বলেন, শেখ মোহাম্মদ আব্দুল্লাহের মৃত্যুতে গোপালগঞ্জে রাজনৈতিক শূন্যতা সৃষ্টি হয়েছে। এ শূন্যতা আর পূরণ করা সম্ভব নয়।
জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মাহাবুব আলী খান বলেন, ধর্মীয় সকল নিয়ম মেয়ে তাদের পারিবারিক কবর স্থানে মা-বাবার কবরের পাশে দাফন করা হয়। তার চলে যাওয়ার মধ্য দিয়ে গোপালগঞ্জবাসী একজন গণমানুষের রাজনৈতিক ব্যক্তিকে হারোলো।
জোনাকী টেলিভিশন/এসএইচআর/১৪-০৬-২০ইং
Leave a Reply