হৃদয় খান, নিজস্ব প্রতিবেদক:
‘মিস্টার এন্ড মিস গ্লামার লুকস-২০২৪ সিজন ফোরের গ্র্যান্ড ফিনালে অনুষ্ঠিত হয়েছে।
ষ্টার মাল্টিমিডিয়ার চেয়ারম্যান সোহেল আফসানের উদ্যোগ এবং সার্বিক তত্তাবধানে রাজধানীর মিরপুরের দারুস সালাম রোডের ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সেন্টারে এই আয়োজনটি সুসস্পন্ন হয়েছে।
শুক্রবার মিস্টার এন্ড মিস গ্লামার লুকস সিজন ফোরের গ্র্যান্ড ফিনালে প্রধান বিচারক ছিলেন নির্মাতা ও মিডিয়া ব্যক্তিত্ব রাজীব মণি দাস।
বিচারকের আসনে আরো ছিলেন চিত্রনায়িকা অপু বিশ্বাস, নাট্যকার ও নির্মাতা নাজনীন হাসান খান, চিত্রনায়ক জয় চৌধুরী, মাহবুদ, সিফাত নুসরাত ও মারিয়া কিসপট্রা। ফাইনাল রাউন্ড ছাড়াও অন্যান্য রাউন্ডে সম্মানীয় বিচারকের দায়িত্ব পালন করেন আয়োজনের উদ্যোক্তা সোহেল আফসান।
এবার ‘মিস্টার. এন্ড মিস গ্লামার লুকস’ প্রতিযোগিতায় এবার ৬ জন প্রতিযোগিকে বিজয়ী ঘোষণা করাা হয়েছে। বিজয়ীরা হলেন- (নারী) চ্যাম্পিয়ন- প্রিয়াঙ্কা বারই, প্রথম রানারআপ- মুসকান চৌধুরী, দ্বিতীয় রানার আপ টাজরুবা নওশিন, (পুরুষ) চ্যাম্পিয়ন- রায়ান মুকিত আলভি, প্রথম রানার আপ- আদনান করিম, দ্বিতীয় রানার আপ-আরিয়ান সোহাগ। আয়োজক কর্তৃপক্ষ জানান বিজয়ীরা দেশ ও আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতায় বাংলাদেশকে প্রতিনিধিত্ব করবেন।
এ আয়োজন প্রসঙ্গে প্রধান বিচারক, নির্মাতা ও মিডিয়া ব্যক্তিত্ব রাজীব মণি দাস বলেন, দেশের বিভিন্ন জায়গায় ছড়িয়ে-ছিটিয়ে থাকা প্রতিভাগুলোকে তুলে ধরতে একটা প্ল্যাটফর্ম দরকার। আর সেই সুযোগ করে দিচ্ছে ‘মিস্টার এন্ড মিস গ্লামার লুকস’। বিচারকার্যের মতো গুরুদায়িত্ব পালনের মাধ্যমে সুদর্শন নারী-পুরুষ খুঁজে বের করেছেন তারা। বিশেষ করে দ্বিতীয়বার এমন অভিজ্ঞতার মুখোমুখি হতে হয়েছে তাকে।
রাজীব মণি দাস বলেন, যখন আমাকে ফাইনাল রাউন্ডের জাজমেন্টের জন্য আমন্ত্রণ জানানো হয় আমি সারপ্রাইজড হয়েছি, থ্রিল অনুভব করেছি!
রাজিব বলেন দীর্ঘ বছর উপন্যাস, নাটক, গান নিয়ে কাজ করছি। নিশ্চয়ই আমার অভিজ্ঞতা মূল্যায়ন করে আয়োজক কর্তৃপক্ষ আমাকে জাজমেন্টের জন্য ডেকেছেন। এজন্য সম্মানিত বোধ করে ফাইনাল রাউন্ডেও থেকেছি। আয়োজনটি শেষ পর্যন্ত খুব ভালোভাবে সুসম্পন্ন হওয়ায় সংশ্লিষ্টদের ধন্যবাদ জানাই।
উদ্যোক্তা সোহেল আফসান বলেন, আমরা চেষ্টা করেছি সুন্দও একটি আয়োজন করার। সংস্কৃতি অঙ্গনের অতি পরিচিত মুখদের মধ্যে অনেকেই আমাদের সঙ্গে ছিলেন। এই প্রতিযোগিতায় যারা বিজয়ী হয়েছেন তাদের অভিনন্দন শুভেচ্ছা ও শুভকামনা রইলো। আশা করি তারা এই সাফল্যের ধারাবাহিকতায় বজায় রেখে দেশের সংস্কৃতি উন্নয়ন ও সমৃদ্ধিকরণে বিশেষ ভূমিকা রাখবেন। অদুর ভবিষ্যতে আমরা এই ধরণের আয়োজন নিয়মিত করতে চাই। এ জন্য সংশ্লিষ্ট সবার সহযোগিতা ও সমর্থ চাই।
প্রসঙ্গত চলতি বছরের আগস্ট মাস থেকে অনলাইনে রেজিস্ট্রেশনের মাধ্যমে পুরুষ ও নারীরা উভয়ই এই প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করেন। সেখান থেকে একাধিক ধাপ অতিক্রমের মাধ্যমে শুক্রবার ফাইনাল রাউন্ড অনুষ্ঠিত হয়।
Leave a Reply