জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকীতে দেশের কোনো মানুষ যেন ভূমিহীন ও গৃহহীন না থাকে এ ব্যাপারে ব্যবস্থা নিতে দলের সর্বস্তরের নেতাকর্মীদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। প্রত্যেক নেতাকর্মীকে একটি করে ঘর করে দেয়ার আবেদন জানিয়েছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি। কেউ সামর্থ্যবান না হলে বঙ্গবন্ধু কন্যা নিজে অর্থ দেবেন বলে জানিয়েছেন। আজ শনিবার বিকালে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে ঐতিহাসিক ৭ মার্চ উপলক্ষে আওয়ামী লীগ আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
দলীয় নেতাকর্মীদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমি চাই মুজিব বর্ষে একটা মানুষও গৃহহীন থাকবে না। সেখানে আমি অনুরোধ করবো, এতো নেতাকর্মী, এতো আদর্শের সৈনিক, নিজ গ্রামে, নিজেরা খোঁজ নিন, কয়টা মানুষ গৃহহীন। আপনারা খরচ না করতে পারলে আমি খরচ দেব। আপনারা একটি করে ঘরে করে দিন। এটাই আমার একান্ত দাবি। মুজিব বর্ষে বাংলার মাটিতে কোনো মানুষ ভূমিহীন-গৃহহীন থাকবে সেটা হতে পারে না।’
বঙ্গবন্ধুর সাত মার্চের ভাষণের নানা তাৎপর্য তুলে ধরে আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, ‘একটা সময় এই ভাষণ বাজানো নিষিদ্ধ ছিল। যে বয়সে এই ভাষণটা শুনলে তরুণ প্রজন্মের মধ্যে দেশপ্রেম জাগ্রত হতো, অনেক বছর চলে গেছে তারা সেই ভাষণের তাৎপর্যটা জানতেই পারেনি, বুঝতে পারেনি। ২১ বছর পর ১৯৯৬ সালে ক্ষমতায় এসে আমরা আবার সেই ভাষণ বাজানোর ব্যবস্থা করি।’ প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের দলের সব নেতাকর্মীকে ধন্যবাদ জানাই, তারা অনেক প্রতিকূলতা সত্ত্বেও ২১ বছর এই ভাষণ বাজিয়েছেন। জিয়া, এরশাদ, খালেদা সবাই বাধা দিয়েছে, তবুও জাতির পিতার আদর্শের সৈনিকরা সব বাধা অতিক্রম করে এই ভাষণ বাজিয়েছেন। যারা শুনেছেন তারাই বুঝেছেন কী অমূল্য সম্পদ এই ভাষণ।’ বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর ইতিহাস বিকৃত করা হয়েছে জানিয়েছে শেখ হাসিনা বলেন, ‘কোনো এক মেজর বাঁশিতে ফুঁ দিয়েছিল আর দেশ স্বাধীন হয়ে গেল, কী ইতিহাস বিকৃতি! সে নিজেই সরকারের অধীনে চাকরি করতো ৪০০ টাকা বেতনে। তারা বঙ্গবন্ধুর নাম মুছে ফেলতে চেয়েছিল। কিন্তু সত্যকে কেউ মুছে ফেলতে পারে না। জাতির পিতা ভাষণে বলে গেছেন, সাত কোটি মানুষকে ধাবায়ে রাখতে পারবা না। তারাও পারেনি। এখন এই ভাষণ আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি পেয়েছে, এটি এখন বিশ্ব ঐতিহ্যের প্রামাণ্য দলিল। আড়াই হাজার বছরের সর্বশ্রেষ্ঠ ভাষণ।’ এবিএন
Leave a Reply