যশোরের কোতয়ালীর শংকরপুরে শাওন ওরফে টুনি শাওন হত্যা মামলার আসামী অভিরাজ শেখ ফিরোজ ওরফে গোল্ডেন ফিরোজ (২১) কে তার সহযোগি মোঃ নোবেল হোসেন (১৯) সহ আটক করেছে ডিবি ও পুলিশ। এ সময় অস্ত্র ও গুলি উদ্ধার করা হয়।
অভিরাজ শেখ ফিরোজ ওরঠে গোল্ডেন ফিরোজ যশোর জেলার কোতয়ালী থানার শংকরপুর গোলপাতা মসজিদ এলাকার আলী আজিম শেখের ছেলে ও সহযোগি মোঃ নোবেল হোসেন শংকরপুর বটতলা মসজিদ এলাকার মোঃ বাবুল হোসেনের ছেলে।
প্রেস বিজ্ঞপ্তির বিবরণে জানা যায়, গত ২২ জুলাই ২১ তারিখ রাত অনুমান ১০.৩০ ঘটিকার সময় যশোর কোতয়ালী মডেল থানাধীন শংকরপুর জমাদ্দারপাড়া ছোটনের মোড়ে জনশুন্য কমিউনিটি পুলিশিং অফিসে শংকরপুর জমাদ্দার পাড়ার আব্দুল হালিম শেখের ছোট ছেলে চাঁদাবাজ সন্ত্রাসী শাওন ওরেফ টুনি শাওনকে অজ্ঞাতনামা লোকেরা ধারালো অস্ত্রদ্বারা বুকে, পিঠে, গলায় ষ্ট্যাপ করে ফেলে চলে যায়। রক্তাক্ত আহত উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত ডাক্তার মৃত ঘোষনা করে। এই ঘটনা সংক্রান্তে নিহতের পিতা আব্দুল হালিম শেখ ৭/৮ জনকে সন্দেহ করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
মামলাটি চাঞ্চল্যকর ও ক্লুলেস হওয়ায় জেলার ভারপ্রাপ্ত পুলিশ সুপার রহস্য উদঘাটন ও দ্রত আসামী গ্রেফতারের জন্য থানা পুলিশ ও ডিবি পুলিশকে কঠোর নির্দেশনা প্রদান করলে জেলা গোয়েন্দা শাখার সহযোগীতায় ইতিপূর্বে ইয়াছিন হাসান রানাসহ ০৬ জন আসামীকে গ্রেফতার করা হয় এবং ইয়াসিন হাসান রানার স্বীকারোক্তি মোতাবেক হত্যাকাজে ব্যবহৃত চাকু জব্দ করে মামলার রহস্য উদঘাটন করা হয়।
পুলিশ সুপার প্রলয় কুমার জোয়ারদারের দিক-নির্দেশনায় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ডিএসবি) অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন/ক্রাইম) যশোর “ক” সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বেলাল হোসাইন গনদের তত্তাবধানে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা পুলিশ পরিদর্শক রোকিবুজ্জামান নেতৃত্বে একটি চৌকশ ডিবি’র টিম ও থানা পুলিশ যৌথভাবে ০৬ আগস্ট ২১ তারিখ রাত ২৩.৩০ ঘটিকায় বাগেরহাট জেলার ফকিরহাট থানাধীন আট্টীকী এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে এজাহারভুক্ত আসামী কুখ্যাত সন্ত্রাসী অস্ত্রধারী গোল্ডেন ফিরোজকে গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতারকৃত গোল্ডেন ফিরোজের স্বীকারোক্তি মোতাবেক কোতয়ালী মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ এর নেতৃত্বে ডিবি পুলিশ ও থানা পুলিশ যৌথভাবে শংকরপুর টার্মিনাল এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে আসামীর দেখানো মতে “যশোর কোতয়ালী মডেল থানাধীন যশোর-খুলনা মহাসড়কে নতুন বাস টার্মিনালের পশ্চিমপাশের্ আসামী দিপুর বাসা সংলগ্ন “মায়ের দোয়া ইঞ্জিনিয়ারিং ওয়ার্কসপ” এর পিছনে জনৈক বানি’র মায়ের পুকুরের উত্তর কোনে বাঁশের বেড়ার সাথে রশি দ্বারা বাঁধা পলিথিনের বেগ পানির মধ্যে ঢুবানো থেকে উত্তোলন করে ০১টি ওয়ান শ্যুটারগান, ১ রাউন্ড গুলি, ২টি বার্মিজ চাকু উদ্ধার করা হয়।
উদ্ধারকৃত অবৈধ অস্ত্রগুলি সংক্রান্তে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা পুলিশ পরিদর্শক রোকিবুজ্জামান বাদী হয়ে পৃথক মামলা রুজু করেন।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, বিগত ১ বছর পূর্বে টুনি শাওন ও তার সহযোগিরা অনিক ওরফে অনিকে ছুরিকাঘাত, আকাশ ও ভাই রনিকে মারধর, শংকরপুর টার্মিনালে চুরির ঘটনা সহ ৪/৫ টি কারনে শেখ শাওন ওরফে টুনি শাওনকে হত্যা করা হয়েছে।
Leave a Reply