নিজস্ব প্রতিবেদক
করোনা পরিস্থিতিতে যাদের কথা কেউ ভাবেনি, কর্মহীন ওই লোকগুলোর বোবা কান্না চারদেয়ালের মধ্যেই সীমাবদ্ধ থেকেছে। তাদের অভাব, ক্ষুধা, কষ্টের কথা বলতে পারেনি কাউকে, লজ্জায় হাত পাততে পারেনি কারো কাছে, রাতের অন্ধকারে তাদের ঘরে ঘরে গিয়ে খাদ্য ও ঈদসামগ্রী পৌছে দিলেন যুব মহিলা লীগ কেন্দ্রীয় কমিটির পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক ইশরাত সরকার ঝুনা। গত ১৪ ই মে থেকে অদ্যাবদি রাতের আঁধারে নরসিংদী শহরের বিভিন্ন মহল্লার নিম্ন মধ্যবিত্ত শ্রেণির এমন ২০০ টি পরিবারের ঘরে ঘরে নিজস্ব অর্থায়নে খাদ্য ও ঈদ উপহার পৌছে দেন যুব মহিলালীগের কেন্দ্রীয় এই নেত্রী।
তিনি গোপনে শহরের বানিয়ারছল, পশ্চিম কান্দা পাড়া, হাজীপুর, পূর্ব দত্তপাড়া, পশ্চিম দত্তপাড়া মহল্লার নিম্ন মধ্যবিত্ত শ্রেণির পরিবার গুলোর খোঁজখবর নিয়ে প্রকৃত অভাবিদের একটি তালিকা প্রস্তুত করে রাতের বেলা পর্যায়ক্রমে তাদের ঘরে খাদ্য ও ঈদ উপহার পৌছে দেন। খাদ্য ও ঈদ উপহারের মধ্য ছিল- ভাতের চাল, পোলাওয়ের চাল, ডাল, তেল,সেমাই, চিনি, আটা ও দুধ।
ঈশরাত সরকার ঝুনা রাজধানীর ঢাকার শান্তিনগর এলাকায় বসবাস করলেও তার পৈতৃক বাড়ী নরসিংদী শহরের পূর্ব দত্তপাড়া মহল্লার সরকার বাড়ী। তাই তিনি নাড়ির টানে ছুটে আসেন নরসিংদী। বৈশ্বিক এই মহামারিতে নিজের এলাকার মানুষের দু:খের অংশিদার হতে তাঁদের পাশে এসে দাঁড়ান। তাঁর হাতকে প্রসারিত করেন অসহায় পরিবারগুলোর দিকে।
যুব মহিলা লীগ কেন্দ্রীয় কমিটির পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক ইশরাত সরকার ঝুনা জানান, সমাজের নিম্ন মধ্যবিত্ত শ্রেণির মানুষগুলো যারা করোনা পরিস্থিতিতে হয়ে পড়ে কর্মহীন। অভাব থাকলেও লজ্জায় এবং আত্মসম্মান বোধ থেকে কারো কাছে হাত পাততে পারেনি, বুকে পাথর চাপা দিয়ে চারদেয়ালে বন্দী থেকে নিরবে কেঁদেছেন এমন ২০০টি পরিবারের ঘরে তার ব্যক্তিগত তহবিল থেকে গত ১৪ মে হতে তিনি এ পর্যন্ত ঈদ উপহার পৌছে দিয়েছেন। তাঁর এ কার্যক্রম এখনও চলমান রয়েছে। তাঁর এ কাজে তাকে সার্বিক সহযোগিতা করেছেন, বড় ভাই নরসিংদী পৌরসভার প্যানেল মেয়র রিপন সরকার, বড় বোন নরসিংদী জেলা পরিষদ সদস্য ও জেলা যুব মহিলা লীগের সভাপতি তৌহিদা সরকার রুনা, ছোট ভাই সোহেল সরকার, স্বামী, সন্তান, ভাবী, ছোটভাই জনি সহ পরিবারের ছোটবড় সদস্যরা।তিনি তাদের সকলের প্রতি ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করেন।
উল্লেখ্য ইশরাত সরকার ঝুনা করোনা পরিস্থিতির শুরু থেকেই (দেড় মাস যাবত) দেশ নেত্রী, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে ঢাকার শাহজাহানপুর, শান্তিনগর, খিলগাঁও, রামপুরা, কামরাংগিরচর, লালবাগ, নবাবপুর, মিরপুর, রাজারবাগ, চামেলিবাগ, ধোলাইপার, বংশাল, নাসিরাবাদ, বাসাবো মগবাজার এলাকার কর্মহীন হয়ে পরা ৩৫০ টি পরিবারের মধ্যে নিজস্ব অর্থায়নে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করে আসছেন। তার এ সহযোগিতা কার্যক্রম করোনাকালীন সময় পর্যন্ত অব্যাহত থাকবে বলে তিনি জানান।
Leave a Reply