মো:নাসির— ভাবমূর্তি নিয়ে আওয়ামী যুবলীগের যখন সংকট মুহূর্ত তখন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ও যুবলীগের সাবেক ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মীজানুর রহমান একটি টিভি টকশোতে বলেছিলেন ‘যুবলীগের ভাবমূর্তি পুনরায় ফিরিয়ে আনার জন্য যদি তাকে দায়িত্ব দেয়া হয় তবে তিনি চেয়ারম্যানের দায়িত্ব নেবেন।’
শেষ পর্যন্ত মীজানুর রহমান স্যার দায়িত্ব না পেলেও মাননীয় প্রধানমন্ত্রী স্যারের থিউরীতে …(ফেসবুক থেকে নেওয়া ) একজন ক্লিন ইমেজের
অধ্যাপককেই যুবলীগের ভাবমূর্তি উদ্বারের দায়িত্ব দিলেন।
যুবলীগের দায়িত্ব নেয়ার বিষয়টি সামনে আসার পর তা নিয়ে বেশ কয়েকটি গণমাধ্যমে তিনি বলেছিলেন, ‘সমাজের ভালো মানুষগুলো যদি রাজনীতিতে না আসেন তবে সমাজের ভালো মানুষদের তাৎক্ষনিক শাস্তি হচ্ছে রাজনীতিতে আসা চোর বাটপারদের দ্বারা শাসিত হবেন। মীজান স্যার সেসময় খুব জোরের সাথেই বলেছিলেন আমাদের এই ধারণা থেকে বের হয়ে আসতে হবে যে রাজনীতি খারাপ মানুষদের জায়গা। তবে হ্যাঁ, রাজনৈতিক নানা কারনে এখানে গুটি কয়েক ক্যাসিনো ব্যবসায়ী কিংবা টেন্ডারবাজ স্থান পেয়েছে। সেজন্য ঢালাওভাবে যারাই রাজনীতি করেন তাদেরকে খারাপ বললে তো এখানে ভদ্র মানুষেরা আসবেন না। আমাকে দায়িত্ব দেয়া হলে প্রথমেই আমি যুবলীগের হারানো ভাবমূর্তি ফিরিয়ে আনব এবং এ ভুল ভাঙ্গাব যে রাজনীতি ভালো মানুষের স্থান। তো কয়েকদিন আগে যুবলীগের কমিটি হলো। সেখানে দায়িতাব দেয়া হলো শেখ ফজলে শামস পরশ কে। যিনি একজন বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক। তিনি এসেই প্রথমে বিডিনিউজ ২৪ এর সাংবাদিক Kazi Mobarak Hossain কে দেয়া সাক্ষাৎকারে বললেন, ‘আই হেইট পলিটিস’ এই ধারণা থেকে যুব সমাজকে বের করে আনতে কাজ করবেন। তিনি বলেছেন ‘আমার চেষ্টা থাকবে, যুব সমাজ যেন ‘আই হেইট পলিটিক্স কালচার’ থেকে বেরিয়ে এসে ‘জয় বাংলা জয় বঙ্গবন্ধু’ বলে নিজেকে দেশের কাজে নিয়োজিত রাখে।’
যারা সেসময় মীজান স্যারের সমালোচনা করেছিলেন তারা নিশ্চই স্যারের দূরদর্শিতার বিষয়টি বুঝে গেছেন। মীজান স্যার দায়িত্ব পাননি হয়তো বয়সের কারনে। কিন্তু তার মতোই একজন অধ্যাপক দায়িত্ব পেয়েছেন। আর তার মুখ থেকে এখন যে কথা গুলো বের হচ্ছে তা পূর্বেই মীজান স্যার বলেছেন।তিনি আরো বলেন মার্জিত, শিক্ষিত লোকরা রাজনীতিতে না এলে অযোগ্যরাই তাদের শাসক হয়ে বসবে। যোগ্যদের জন্য এটি প্রাকৃতিক শাস্তি।
Leave a Reply