বৈশ্বিক মহামারি করোনাভাইরাসের চিকিৎসা ও প্রতিরোধের কাজে ব্যবহৃত বিপুলসংখ্যক উপকরণ অবৈধভাবে চোরাচালানের মাধ্যমে মজুত করার অভিযোগে চারজনকে গ্রেফতার করেছে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) রমনা বিভাগ।
বৃহস্পতিবার (১৬ এপ্রিল) রাতে বাংলামোটরের জহুরা টাওয়ারে অবস্থিত এবিসি করপোরেশনে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করা হয়। অভিযানে নেতৃত্ব দেন রমনা জোনের সিনিয়র সহকারি পুলিশ কমিশনার এস এম শামীম।
গ্রেফতাররা হলেন-আনোয়ার হোসেন, অমিত বসাক, শোয়াইব ও শুভ।
এ সময় তাদের হেফাজত থেকে ২৭৫ পিস করোনা টেস্টিং কিট, ৯ হাজার ৫০ পিস সাধারণ মাস্ক, ১০০ পিস এন-৯৫ মাস্ক, ১৯৮ পিস পিপিই, ৯৬০ জোড়া হ্যান্ড গ্লাভস, ২৫০ জোড়া চশমা, ৯০০টি ক্যাপ, ১৪৪০টি শু-কাভার উদ্ধার করে পুলিশ।
বিষয়টি নিশ্চিত করে সিনিয়র সহকারী পুলিশ কমিশনার এস এম শামীম বলেন, ‘সন্ধ্যার পর মগবাজার মোড়ে চেকপোস্ট ডিউটি করছিলাম। তখন এক ব্যক্তি এসে অভিযোগ করেন বাংলামোটরের এক ব্যবসায়ী ২০টি মাস্কের মূল্য হিসেবে তার কাছ থেকে ৩০ হাজার টাকা রেখেছেন যদিও মাস্কগুলোর প্রকৃত মূল্য মাত্র ৩ হাজার ৬০০ টাকা। বিষয়টি আমলে নিয়ে তৎক্ষণাৎ সহকারী পুলিশ কমিশনার (পেট্রোল-রমনা) জাবেদ ইকবালসহ রমনা ও শাহবাগ থানার দুটি দল নিয়ে ঘটনাস্থল বাংলামোটরের জহুরা টাওয়ারে অবস্থিত এবিসি করপোরেশনে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করা হয়।’
তিনি বলেন, এ সময় দোকান সার্চ করতে গিয়ে বিপুল পরিমাণ করোনা প্রতিরোধী সামগ্রী পাওয়া যায়। যার মধ্যে করোনা টেস্টিং কিটও রয়েছে যা বেসরকারিভাবে পাওয়ার কথা নয়।
অভিযানে অংশ নেয়া সহকারী পুলিশ কমিশনার জাবেদ ইকবাল বলেন, ‘বিশ্বব্যাপী করোনাভাইরাস সংক্রমণে জনজীবন যখন বিপণ্ন, টেস্টিং কিট, পিপিই ও মাস্কের অভাবে ভাইরাসের চিকিৎসা সেবাদান ব্যহত হচ্ছে, ঠিক তখনই আটককৃতরা অধিক মুনাফার লোভে অতি জরুরি এসব পণ্য অবৈধভাবে গুদামজাত করে রেখেছেন।
শাহবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল হাসান জানান, করোনার জরুরি চিকিৎসাসামগ্রী অবৈধভাবে মজুত করার অভিযোগে তাদের নামে বিশেষ ক্ষমতা আইনের ২৫/২৫(বি) ধারায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। সূত্র: জাগোনিউজ
Leave a Reply