রাজারহাট(কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধি ঃ
কুড়িগ্রামের রাজারহাটে একাদশ শ্রেণির এক ছাত্রী অপহরণ হওয়ার ঘটনায় থানায় মামলা দায়ের হয়েছে। গত ৭দিনেও পুলিশ অপহৃতাকে উদ্ধার কিংবা অপহরণের সঙ্গে জড়িত কাউকে আটক করতে পারেনি।
অপহৃতার পরিবার ও পুলিশ জানায়, উপজেলার ঘড়িয়ালডাঙ্গা ইউনিয়নের কিশামত নাখেন্দা গ্রামের অমল চন্দ্র রায়ের কন্যা ও রাজারহাট সরকারি মীর ইসমাইল হোসেন কলেজের একাদশ শ্রেণির ছাত্রী প্রতিমা রানী (১৭)কে অজ্ঞাত এক যুবক প্রেমের প্রস্তাব দিয়ে আসছিল। কিন্তু এতে ওই কলেজ ছাত্রী সাড়া না দেয়ায় গত ১ জানুয়ারী সকালে প্রতিমা রানী কলেজ আসার পথিমধ্যে থেকে অপহরণকারীরা তাকে তুলে নিয়ে যায়। সারাদিন মেয়ে বাড়ীতে না ফেরায় পরিবারের লোকজন কলেজ কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি অবহিত করে বিভিন্ন স্থানে খোঁজ-খবর নেয়। তারপরও তাকে পাওয়া যায়নি। কিন্তু অপহরণ হওয়ার ৩দিন পর মোবাইল নম্বর ০১৭৯৬৮২২৭৪১ থেকে মেয়ের বাবার কাছে একটি ফোন কল আসে। মোবাইলে ওই ব্যক্তি জিতু চন্দ্র রায় বলে জানিয়ে প্রতিমা রানীকে নিয়ে যাওয়ার কথা স্বীকার করেছে। তবে তার পূর্ণাঙ্গ ঠিকানা না জানিয়ে ফোনটি কেটে দিয়ে বন্ধ করে রাখে। মেয়েকে খুঁজে না পেয়ে বাধ্য হয়ে ৬ জানুয়ারী সোমবার রাতে কলেজের অধ্যক্ষ সফিকুল ইসলাম রানার সহযোগীতায় মেয়ের পিতা অমল চন্দ্র বাদী হয়ে রাজারহাট থানায় একটি অপহরণ মামলা দায়ের করে। অমল চন্দ্র রায় বলেন, একমাত্র মেয়ের শোকে তার মা ললিতা রানীসহ নিজে কাতর হয়ে খাওয়া-দাওয়া ছেড়ে দিয়েছে। তারা অসুস্থ্য হয়ে পড়েছে।
ওই ইউনিয়নের চেয়ারম্যান রবীন্দ্রনাথ কর্মকার জানান, প্রতিমা রানী অপহৃত হওয়ার বিষয়টি তার বাবা নিশ্চিত করেছেন।
এ ব্যাপারে ৭ জানুয়ারী মঙ্গলবার রাজারহাট থানার অফিসার ইনচার্জ কৃষ্ণ কুমার সরকার ঘটনার সত্যতা স্বীকার বলেন, মামলা রুজু হওয়ার পর অপহরণ বার্তা বিভিন্ন থানায় প্রেরণ করা হয়েছে। অপহৃতাকে উদ্ধারের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।
Leave a Reply