মোঃ বাহার উদ্দিন, রামগড় খাগড়াছড়ি প্রতিনিধি। শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের অধীনে রামগড় বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের তিন তলা ভবন সম্প্রসারণ কাজের দ্বিতল ভবনের ছাদ নির্মাণে নিন্মমানের কংক্রিট ব্যবহারের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে দুর্নীতি দমন কমিশনের সহকারী পরিচালক আহসান উল কবীর সরেজমিনে তদন্ত করার জন্য রামগড় বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় পরিদর্শন করেছেন। এদিকে বিদ্যালয়ের অভিযোগের ভিত্তিতে রামগড় উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান এবং বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি বিশ্ব প্রদীপ কার্বারী নিম্নমানের কংক্রিট ব্যবহার করে ছাদ ঢালাই প্রমানিত হওয়ায় নির্মাণকারী ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান “মেসার্স ছামিয়া এন্টারপ্রাইজ” কতৃক নির্মিত ভবনের ছাদ ঢালাই করার সময় কাজ বন্ধ করে দেন। এ কাজের সাথে সংশ্লিষ্ট ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের সাব কন্ট্রাক্টর সোহাগ আহমদ ও সহকারী প্রকৌশলী বীজক চাকমা নিন্মমানের নির্মান সামগ্রীর কথা স্বীকার করেন।
পরবর্তীতে নতুন করে কংক্রিট ভেঙ্গে ছাদ ঢালাই কাজ সম্পন্ন করেন। এ প্রসঙ্গে দূর্নীতি দমন কমিশনের সহকারি পরিচালক সংশ্লিষ্ট বিদ্যালয় পরিচালনা পর্ষদ এর সভাপতি বিশ্ব প্রদীপ কার্বারী,প্রধান ফয়জার রহমান, শিক্ষক,প্রকোশলী, ঠিকাদারি প্রতিষ্টানের লোকজনদের সাথে মত বিনিময় করেন এবং কোন ধরনের অনিয়ম সহ্য করা হবে না বলে জানান। পরবর্তীতে রামগড় বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে দুর্নীতী বিরোধী ” মূল্যবোধ ও দেশপ্রেমের অভাবেই দূর্নীতির বিস্তার ঘটে” এ বিষয়ের উপর আকর্ষণীয় বিতর্ক প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়।
বিদ্যালয়ের সিনিয়ার শিক্ষিকা মিসেস রেখা রানী শীলের উপস্হাপনায় প্রধান শিক্ষক (ভারপ্রাপ্ত) ফয়জার রহমানের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে বিতর্কের শুভ উদ্বোধন করেন রামগড় উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান এবং বিদ্যালয় পরিচালনা পর্ষদ এর সভাপতি বিশ্ব প্রদীপ কার্বারী।বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন দূর্নীতি দমন কমিশনের সহকারী পরিচালক আহসান উল কবীর। বিশেষ অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন, যে কোন দূর্নীতির বিরুদ্ধে ১০৬ নম্বরে ফোন করে দূর্নীতির খবর জানানোর জন্য সবার প্রতি আহ্বান জানান। এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন রামগড় দূর্নীতি দমন প্রতিরোধ কমিটির সভাপতি মোঃ শাহ আলম,উপজেলা প্রেসক্লাবের সভাপতি সাংবাদিক নিজাম উদ্দীন, সাংবাদিক, শিক্ষক ও ছাত্রীবৃন্দ।
Leave a Reply