রায়পুরা (নরসিংদী) প্রতিনিধি :
নরসিংদীর রায়পুরায় ডাকাতির প্রস্তুতি কালে এক ডাকাতকে আটক করে গণ ধোলাই দিয়ে পুলিশে দিয়েছে স্থানীয় জনতা।
আজ মঙ্গলবার বেলা ১১ টায় রায়পুরা থানায় আটককৃতকে সোপর্দ করে স্থানীয় জনতা।
এর আগে ভোর রাতে উপজেলার চরআড়ালিয়া ইউনিয়নের বাঘাইকান্দি এলাকায় ডাকাতি করতে এসে জনতার হাতে আটক হন। তার সাথে থাকা ১২-১৫ জন ডাকাত নৌকা যোগে পালিয়ে যায়।
আটককৃত ডাকাত রহমান (৪৫) উপজেলার চর আড়ালিয়া ইউনিয়নের বাঘাইকান্দি গ্রামের মঙ্গল মিয়ার ছেলে। তার সাথে থাকা সঙ্গীরা পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়। সাথে থাকা বাকী ডাকাতগুলোর নাম ঠিকানা জানা যায় নি।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, বাঘাইকান্দি এলাকায় বাবুল মিয়ার বাড়িতে ভিতরে ঢুকার প্রস্তুতিকালে শব্দ শুনার সঙ্গে সঙ্গে ডাকাত ডাকাত চিৎকার দিলে বাড়ির মানুষ বাহির হয়ে ডাকাত দলকে ধাওয়া করে। এক পর্যায়ে ডাকাত দলগুলো ককটেল কাটিয়ে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। চিৎকার শুনে গ্রামবাসীরা ডাকাত দলকে ধাওয়া করে। একপর্যায়ে রহমান অস্ত্র পানিতে ফেলে দেন। পরে ওই ডাকাতকে স্থানীয় জনতা আটক করে। কিন্তু বাকী ডাকাতগুলো নৌকা যোগে পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়।
বাবুল মিয়ার বলেন, ভোর আনুমানিক ৩-৪ সময় লোকজনের শব্দ শুনে ঘর থেকে বের হয়ে দেখি ১৫-১৭ জনের ডাকাত দল। ডাক চিৎকারে এলাকবাসী এসে রহমানকে আটক করে। বাকিরা নৌকা যোগে পালিয়ে যায়। তাদের সাথে দেশিয় অস্ত্র গুলাবারুদ ছিলো।
ইউপি সদস্য জালাল মিয়া মেম্বার জানান, ডাকাত আতংকে গ্রামবাসী রাত জেগে পাহারায় থাকে। ভোরে বাবুল মিয়াসহ লোকজনের চিৎকার শুনে গ্রামবাসীরা ডাকাত দলকে ধাওয়া করে। একপর্যায়ে ডাকাত দল ককটেল কাটিয়ে আতংক সৃষ্টি করে। ডাকাত রহমানকে স্থানীয় জনতা আটক করার আগেই অস্ত্র পানিতে ফেলে দেন। কিন্তু বাকী ডাকাতগুলো নৌকা যোগে পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়। তার বিরুদ্ধে দফেদার হত্যাসহ ডাকাতির মামলা হয়েছে। এলাকাবাসী শান্তিতে থাকতে চায়।
রায়পুরা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো আব্দুল জাব্বার বলেন, জনতা বেলা ১১টায় আটককৃত ডাকাতকে থানায় নিয়ে আসে। মামলার প্রস্তুতি চলছে। ইতিপূর্বে তার বিরুদ্ধে থানায় একাধিক মামলা হয়েছে।
Leave a Reply