মো. মোস্তফা খান, নিজস্ব প্রতিবেদক:
রাষ্ট্র ও সমাজ ব্যবস্থা পরিচালনার জন্য যুব ও তরুণ সমাজকে এগিয়ে আসার আহবান জানালেন বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য ও ছাত্রদল কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেন শ্যামল।
শনিবার (২৮ জুন) বিকালে নরসিংদীর রায়পুরা উপজেলার বাশঁগাড়ী উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে অনুষ্ঠিত বাঁশগাড়ি সুপার কাপ ফুটবল ফাইনাল টুর্নামেন্ট এর প্রধান অতিথির বক্তব্যে ইকবাল হোসেন শ্যামল এসব কথা বলেন।
এসময় তিনি বলেন- যারা বিগত ৩টি নির্বাচনে ভোট দিতে পারেন নাই তাদের উদ্যেশে বলছি। আমার পাশে ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক আছেন। তারা দুইজন প্রবীন রাজনৈতিক ব্যক্তি হলেও আমি তাদের কাছে প্রত্যাশা করি না। আমি আপনাদের তরুন সমাজের কাছে প্রত্যাশা করি। আপনারা আপনাদের বাঁশগাড়ির সামাজিক যে সমস্যাগুলো আছে সেটি আপনারা নিজেরা উদ্যোগ নিয়ে সমাধান করেন। আগামীদিনের বাংলাদেশটা আমাদের। আগামীদিনের রায়পুরা আমাদের। আগামীদিনের বাঁশগাড়ীটা আমাদের। আগামীদিনের এ সমাজ ব্যবস্থায় আমরাই নেতৃত্ব দিবো। অতএব, শান্তিপূর্ণভাবে, সু-শৃঙ্খলভারে সমাজটাকে পরিচালনা করার স্বার্থে যুব সমাজের ভাই যারা আছেন আপনাদেরকে এগিয়ে আসতে হবে। আপনাদেরকে উদ্যোগ নিতে হবে। কারো মুখাপ্রেক্ষি হলে চলবে না। কোন নেতা, কোন বড় অফিসার বাইরে থেকে কেউ বাঁশগাড়িতে শান্তি স্থাপন করতে পারবে না। পুলিশ প্রশাসন আমাদের বন্ধু, আমাদের সহযোগিতা করবে কিন্তু আপনারা যদি শান্তি-শৃঙ্খলা না চান পুলিশ প্রশাসন সমাজে শান্তি শৃঙ্খলা আনতে পারবে না। আজকের ফুটবল খেলায় যারা অংশ গ্রহন করেছেন এবং যারা উপভোগ করেছেন অপনাদের ৮০ ভাগই তরুণ জনগোষ্টি। আপনাদেরকে এগিয়ে আসতে হবে। এ সমাজের দায়িত্ব নিতে হবে। রাষ্ট্রের দায়িত্ব নিতে হবে। আমি আপনাদের সমবয়সী আমি আপনাদের পাশে থাকবো ইনশাআল্লাহ।
বাঁশগাড়ি ইউনিয়ন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আতাউর রহমানের সভাপতিত্বে খেলায় আরো উপস্থিত ছিলেন বাশঁগাড়ী ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আব্দুল্লাহ সরকার ছন্দু মিয়া, জেলা ছাত্রদলের সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক শফিকুল ইসলাম রুবেল, যুবদল নেতা হারুন মিয়া, হান্নান মিয়া, নুর ইসলাম, উত্তর বাখর নগর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান প্রার্থী সোহাগ মিয়া, রায়পুরা উপজেলা শহিদ জিয়া পরিষদের সভাপতি রাজিব আহমেদ, ছাত্রদল নেতা আব্দুল্লাহ আল মামুন, উবাইদুল ইসলাম রুবেল সহ আরো অনেকে।
খেলায় হাবিবুর রহমান স্ট্রং একাদশকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয় চরমেঘনা ফুটবল ক্লাব।
Leave a Reply