নরসিংদীর রায়পুরায় ব্যাটারি চালিত ইজিবাইক চালক মো হামিদ মিয়ার (৫৫) নামে অর্ধগলিত মরদেহ উদ্ধার করে থানা পুলিশ।
আজ শনিবার সকালে রায়পুরা-নরসিংদী মহাসড়কের পাশে মির্জানগর ইউনিয়নের পূর্বকান্দি এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
নিহত মো হামিদ মিয়া উপজেলার উত্তর বাখরনগর ইউনিয়নের বাহাদুরপুর গ্রামের মৃত চাঁন মিয়ার ছেলে। তিনি পেশায় ব্যাটারিচালিত বিভারটেক চালক। তার সংসারে স্ত্রী দুই ছেলে ও তিন মেয়ে রয়েছে।
পুলিশ ও স্বজনদের সূত্রে জানা গেছে, স্থানীয় কয়েকজন ডুবার পাশদিয়ে হেঁটে যাওয়ার সময় নাকে দুর্গন্ধ পেয়ে ডুবায় চোখ পরলে অর্ধগলিত মরদেহ দেখতে পান। পরে স্থানীয়রা ৯৯৯ নাম্বারে কল দেয়। খবর পেয়ে রায়পুরা থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে মরদেহটি উদ্ধার করে। পরে ঘটস্থল পরিদর্শন করেন রায়পুরা থাবার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো আজিজুর রহমান, নরসিংদী পিবিআই এর পরিদর্শক জামাল উদ্দিন খানসহ পুলিশের উর্দতন কর্মকর্তারা।
জানা যায়, গত ৩০মে ওই চালক ব্যাটারি চালিত ভিবাটেক নিয়ে সকালে বাড়ি থেকে বেড় হন। রাতে তিনি বাড়ি না ফেড়ায় স্বজনরা বিভিন্ন স্থানে ও আত্মীয়ের বাড়িতে খুঁজা-খুজি করে না পেয়ে গত বুধবার ১ জুন রায়পুরা থানায় নিখোঁজের সাধারণ ডাইরি করে স্বজনরা। এ ঘটনার খবর পেয়ে নিহতের স্বজনরা ঘটনাস্থলে এসে পড়নে থাকা জামা-কাপড় দেখে মরদেহটি সনাক্ত করেন। পুলিশ মরদেহটি সুরতহাল সম্পুর্ণ করে দুপুরে ময়নাতদন্তের জন্য নরসিংদী সদর হাসপাতালে মর্গে প্রেরণ করেন। ব্যাটারিচালিত ইজিবাইক চালকের এখন পর্যন্ত কোনো সন্ধান পাওয়া যায় নি।
নিহতের স্বজন ইদ্রিস আলী জানান, সে আগে ভাড়া রিকশা চালাতো। তার চলার সুবিধার্থে গত ৬ মাস আগে আমিওই তাকে ব্যাটারিচালিত বাইক কিনে দেই। প্রতিদিনের নেয় সোমবার সকালে বাড়ি থেকে বের হয়ে আর ফিরেনাই। খুঁজে না পেয়ে অনেকের নিকট জিজ্ঞেস করলে রাত ১১ টায় শ্রীরামপুর রেলগেইটে দেখতে পান। ধারনা করা হয়েছে তাকে মেরে ভিবাটেকটি চিন্তায় করে নিয়ে যায় দোষকৃতিকারীরা।
রায়পুরা থানার উপপরিদর্শক বিল্লাল হোসেন জানান, স্থানীয়রা মরদেহটি দেখে ৯৯৯ খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে এসে অর্ধগলিত মরদেহটি উদ্ধার করে মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় পরবর্তী আইন পদক্ষেপ নেয়া হবে।
Leave a Reply