1. mostafa0192@gmail.com : admin2024 :
  2. arswaponbd6@gmail.com : বার্তা বিভাগ : বার্তা বিভাগ
শনিবার, ০৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ১০:১০ পূর্বাহ্ন

রায়পুরায় দেড় কিলোমিটার কার্পেটিং রাস্তার অভাবে দূর্ভোগ ২০ হাজার মানুষ

রিপোর্টারের নাম
  • আপডেট টাইম : সোমবার, ২০ সেপ্টেম্বর, ২০২১
  • ১৭১ বার পঠিত

নিজস্ব প্রতিবেদক:

নরসিংদীর রায়পুরায় দেড় কিলোমিটার কাঁচা মাটির রাস্তায় প্রতিদিন প্রায় ২০ হাজার মানুষের দূর্ভোগ চরম আকার ধারন করেছে।

উপজেলার আমিরগঞ্জ ইউনিয়নের করিমগঞ্জ নয়াহাটি গ্রামের মাটির কাঁচা রাস্তাটি কয়েক যুগেও উন্নয়নের ছোঁয়া লাগেনি।

উপজেলা এলজিইডি রাস্তার  আইডি নম্বর ৩৬৮৬৪৫১০৬ মোতাবেক জানা গেছে, করিমগঞ্জ নয়াহাটি গ্রামের পূর্ব দক্ষিণে নলবাটা- হাসনাবাদ বাজার কার্পেটিং রাস্তা এবং পশ্চিম উওর প্রান্তে ঢাকা -নরসিংদী -রায়পুরা রাজু কার্পেটিং রাস্তা রয়েছে।

শুধু মাত্র দেড় কিলোমিটার কাঁচা মাটির রাস্তার দুই প্রান্তে দুটি গুরুত্বপূর্ণ  পাকা কার্পেটিং রাস্তা হলেও  করিমগঞ্জ নয়াহাটি গ্রামের মাটির রাস্তাটি এখনও কাঁচা।

রাস্তাটি কার্পেটিং না থাকায় যানবাহন চলাচল সহ  সাধারণ মানুষের চলাচল অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। প্রতিদিন নানা দূর্ঘটনার শিকার হচ্ছেন চলাচলকারী  অটোরিকশা মিশুক, সিএনজি ও ছাত্র ছাত্রীরা।

গ্রামের উপর দিয়ে আমিরগজ ইউনিয়নের  ১, ৭, ৮ ও ৯ নং ওয়ার্ডের ৮ টি গ্রামের শত শত মানুষ প্রতিদিন জেলা শহর সহ দেশের বিভিন্ন বিভাগীয় শহরে যাতায়াত করে।

কিন্ত মাত্র দেড় কিলোমিটার রাস্তা কার্পেটিং না থাকায় চলতে পারছেনা যানবাহন। ফলে এই এলাকার কৃষকদের উৎপাদন  পণ্য শহরের গেইট বাজার সহ দেশের বিভিন্ন বিভাগীয় শহরে যাতায়াত করতে বিঘ্ন ঘটছে। জেলা সদরের সীমান্তবর্তী গ্রাম হওয়ায় প্রতিদিন এই রাস্তা দিয়ে শিল্প কারখানার শতশত শ্রমিক ও দূধ সহ শবজি নিয়ে কৃষকরা সকাল বিকাল চলাচল করে। রাস্তাটি কার্পেটিং না থাকায় পায়ে হেটে মাথায় করে পন্য বাজারজাত করতে হয়।

গ্রামটিতে রয়েছে,  সাড়ে তিন হাজার ভোটারের ১ নং ওয়ার্ডের একটি জাতীয়  ও স্থানীয় নির্বাচনের ভোট কেন্দ্র,  একটি কলেজ পর্যায়ের আলিম মাদরাসা,  একটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, একটি হাফিজিয়া মাদরাসা এতিমখানা, দুইটি জামে মসজিদ সহ একাধিক সামাজিক সংগঠন।

এছাড়াও এই রাস্তায় প্রতিদিন নরসিংদী সরকারি  কলেজ সহ শহরে অবস্থিত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ছাত্র ছাত্রীরা যাতায়াত করছে। গ্রামের পাশে কমিউনিটি ক্লিনিক সহ জেলা সদরের বিভিন্ন হাসপাতালে রোগীরা  পায়ে হেটে চলাচল করছে। ফলে মুমুর্শ রোগীরা জরুরিকাজে এম্বুলেন্স দিয়ে যাতায়াত করতে পারে না।

৮ গ্রামের ২০ হাজার মানুষের জেলা সদরে যোগাযোগের একমাত্র প্রধান ফাঁড়ি রাস্তা এটি। ফলে গুরুত্বপূর্ন এই রাস্তাটি কার্পেটিং  না হওয়ায় প্রতিদিন শতশত মানুষ নানাভাবে দূর্ঘটনা সহ চলাচলে কষ্ট হচ্ছে।

রায়পুরা উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান হাজী আঃ মোমেন বলেন, রাস্তাটি গুরুত্বপূর্ণ।  এলাকার কৃষক, শিল্প- কারখানার শ্রমিকরা কাজে যাতায়াতের জন্য, শিক্ষার্থীদের স্কুল কলেজে আসা-যাওয়া করতে হয়। সামান্য বৃষ্টিতে রাস্তাটি পিচ্ছিল কাদায় খানাখন্দের গর্তে পানি জমে থাকে। রাস্তাটির দক্ষিণ মাথায় খালের উপর কালভার্টের ২০০ গজ রাস্তার পাশে খাল থাকায় কাঁচা মাটির রাস্তা ভেঙে গেছে।  খালের পাশে গাইড ওয়াল না থাকায় রাস্তাটি ঝুকিপূর্ন।

১৯৯১ সালে রাস্তায় মাটি ভরাট করা হয় এবং বিএনপির সাবেক এমপি আবদুল আলী মৃধার বাড়ি পাশের গ্রাম। ২০১৫ সালে বর্তমান সংসদ সদস্য রাজিউদ্দিন আহমেদ রাজুর মাধ্যমে খালের উপর একটি কালভার্ট নির্মান করা হয়। কিন্তু কাঁচা মাটির রাস্তায় কার্পেটিং করা হয়নি।

মহান মুক্তিযুদ্ধে এ গ্রামের অবদান রয়েছে। আপন দুই ভাই  মোরশেদ আলম ও এরশাদ মিয়া এই গ্রামে বসবাস করেন। তাদের দাবী  বর্তমান সরকার উন্নয়নশীল সরকার রাস্তাটি পাকা করণ করা হোক।

উপজেলা পরিষদের সংরক্ষিত নারী সদস্য খালেদা পারভীন বলেন, আমার গ্রামের এই রাস্তাটি মানুষের চলাচল অনুপযোগী হয়ে পড়েছে।  শ্রমিক, কৃষক ও শিক্ষার্থী সহ ৮ টি গ্রামের মানুষের চলাচল করে প্রতিদিন এই রাস্তায়। স্থানীয় সরকার মন্ত্রী সচিব ও এমপি মহোদয়ের সুদৃষ্টি কামনা করছি।

ভারপ্রাপ্ত ইউপি চেয়ারম্যান কবির আহমদ বলেন, রাস্তাটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ।  কিন্ত আমাদের বাজেট নাই। জেলা পরিষদ ও এলজিইডি এর মাধ্যমে বাস্তবায়নযোগ্য। আমি সরকারের কাছে দাবী জানাই রাস্তাটি কার্পেটিং করা হোক।

নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর..
© All rights reserved © 2019 Jonaki Media and Communication Limited
Design By Khan IT Host