নিজস্ব প্রতিবেদক:

বেসরকারী সংস্থা পাপড়ি অধিকার প্রকল্পের অগ্রগতি ও পরিকল্পনা বিষয়ক সভা (০৯ ফেব্রুয়ারি ২০২২) বুধবার নরসিংদীর রায়পুরা উপজেলা পরিষদের সভা কক্ষে অনুষ্ঠিত হয়।

সভাপতিত্ব করেন রায়পুরা উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ আজগর হোসেন।

সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান তাজ তাহমিনা মানিক, উপজেলা শিক্ষা অফিসার হাসান মোহাম্মদ জোনায়েদ, উপজেলা সমাজ সেবা কর্মকর্তা খলিলুর রহমান সরকার, সহকারি উপজেলা শিক্ষা অফিসার মোহাম্মদ গোলাম রহমান, রায়পুরা প্রেসক্লাবের সভাপতি মো. মোস্তফা খান, যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা সিরাজুল ইসলাম সহ প্রকল্পের স্টেক হোল্ডার, শিক্ষক প্রতিনিধি, বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির প্রতিনিধি, অভিভাবক, সমাজ সেবক ও প্রকল্পের কর্মকর্তাগণ।

প্রকল্প ফোকাল পারসন জাকিউল আলম ভূঞার সঞ্চালনায় প্রকল্প উপস্থাপন করেন সহকারি প্রকল্প সমন্বয়কারী নাজিম উদ্দিন।

উপস্থাপনায় প্রকল্পের এ পর্যন্ত লক্ষ্য ও অজর্ন, পরবর্তী কার্যক্রম সহ অবজারভেশন ও চ্যালেঞ্জ সমূহ তুলে ধরা হয়। স্বাগত বক্তব্য শিশু শিক্ষার সার্বিক অবস্থা তুলে ধরেন প্রকল্প সমন্বয়কারী মোঃ আলাউদ্দীন।

সার্বিক ব্যবস্থাপনায় ছিলেন প্রকল্প হিসাব রক্ষক ফখরুল আলম।

অধিকার প্রকল্প মার্চ ২০২২হতে শিশু শিক্ষা কার্যক্রম গতিশীল করতে চাঁনপুর ইউনিয়নে কাজ শুরু করে।

বক্তারা তাদের আলোচনায় চর এলাকায় বিদ্যমান সমস্যা সমূহ তুলে ধরেন। চর এলাকার প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষক সংকট, জন্ম নিবন্ধন জটিলতা, বিদ্যালয় বন্ধকালীন মাদ্রাসায় শিক্ষার্থী ভর্তি হওয়া, টার্গেট অনুযায়ী ভর্তি, ঝগড়ার কারণে বিদ্যালয়ে উপস্থিতি কম সহ নানা সমস্যা উঠে আসে।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. আজগর হোসেন বলেন, “চরের ঝগড়া সহ নানা বিধ সমস্যা রয়েছে, তার মধ্যে শিশু শিক্ষা একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। শিশু জন্মের ৪৫দিনের মধ্য জন্মনিবন্ধন করলে বাড়তি কোন অর্থ খরচ লাগেনা। পরবর্তীতে জন্মনিবন্ধন করতে হলে প্রয়োজনীয় কতিপয় ডকুমেন্ট লাগে। ডকুমেন্টের ঘাটতি থাকলে অনিয়ম হয়। মাদ্রাসায় জন্মনিবন্ধনের শতভাগ চর্চা নেই। নতুন নতুন ধারণা নিয়ে চরের লোকদের সাংস্কৃতিক কর্মকান্ডে অংশ গ্রহণ করানো, আইকনিক ব্যক্তিদের জীবনী থেকে শিক্ষা গ্রহণ, বর্হিবিশ্বের উন্নয়নের সাথে তাদের পরিচয় করানো সহ গতানুগতিক ধ্যান ধারণা থেকে বের করে প্রগতিশীল সমাজ গড়ে তোলা জরুরী। উপজেলা হতে সার্বিক সহযোগিতার আশা ব্যক্ত করেন এবং পাপড়িকে প্রত্যন্ত চরাঞ্চলে নিবিড় ভাবে জনগণকে সম্পৃক্ত করে কাজ করার জন্য ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন।

উপজেলা শিক্ষা অফিসার হাসান মোহাম্মদ জুনায়েদ প্রাথমিক শিক্ষাকে গতিশীল রাখতে ইতোমধ্যে কয়েকটি উল্লেখযোগ্য পদক্ষেপ নিয়েছেন এবং পুণরায় বিদ্যালয় খোলার পরে তিনি উপজেলা নির্বাহী অফিসারের সহযোগিতায় কয়েকটি পদক্ষেপ গ্রহণ করবেন। তিনি বলেন সরকারেরও সীমাবদ্ধতা রয়েছে, উপজেলা হতে ২০০ শিক্ষকের চাহিদা দিলে আমরা ৫০ জন শিক্ষক পাই যা অপ্রতুল।

প্রেসক্লাবের সভাপতি মহোদয় মো. মোস্তফা খান তার আলোচনায় চরের মূল সমস্যা জন্মনিবন্ধন, ভর্তিতে সমস্যা ও বাল্য বিবাহের চিত্র উঠে আসে।