1. mostafa0192@gmail.com : admin2024 :
  2. arswaponbd6@gmail.com : বার্তা বিভাগ : বার্তা বিভাগ
রবিবার, ০৯ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ০৫:১৯ পূর্বাহ্ন

রায়পুরায় বেগুনের ফলন ও দাম ভালো হওয়ায় কৃষকের মুখে হাসি

মো. মোস্তফা খান, নিজস্ব প্রতিবেদক:
  • আপডেট টাইম : শনিবার, ৯ এপ্রিল, ২০২২
  • ৬০৯ বার পঠিত

নিজস্ব প্রতিবেদক:

নরসিংদীর রায়পুরায় বেগুনের বাম্পার ফলন ও বাজারে ভালো মূল্য পাওয়ায় কৃষকের মুখে হাসি ফুটে উঠেছে।
এদিকে রমজানের শুরুতে বেগুনের বাজার দর দ্বিগুন বেড়ে যাওয়ায় সাধারণ নিম্নবিত্ত ও মধ্যবিত্ত পরিবারের সদস্যদের ক্রয় ক্ষমতার বাইরে চলে যায়। অপরদিকে রমজানে বেগুনের চাহিদা বেশি থাকায় নিরুপায় হয়ে সাধ্যমতো চড়া দামেই বেগুন ক্রয় করছেন কিছু সংখ্যক সুবিধাভোগী ক্রেতারা।

রমজানে ইফতারে বেগুন দিয়ে বেগুনি তৈরী করার ফলে এ মাসে বেগুনের চাহিদাটা অন্যান্য সময়ের থেকে বেশি দেখা যায়। জাত ও আকার ভেঁদে বাজারে বেগুন পৃথক মুল্যে বিক্রি করছেন কৃষক ও খুচরা বিক্রেতারা। রমজানের আগে যে বেগুনের পায়কারী প্রতি মন ছিলো সাত’শ টাকা তা বর্তমানে রমজানের সময় চাহিদা বাড়ায় কৃষকদের কাছ থেকে ১ হাজার ৮শ টাকায় ক্রয় করতে হচ্ছে। পরিবহন ও বিভিন্ন খ্যাতে খরচ করে বেগুন অন্যত্রে পাঠিয়ে কোনমতে পুঁজি পাচ্ছেন বলে জানান পাইকারী ব্যবসায়ীরা।

জঙ্গি শিবপুর বাজার ও উপজেলার বিভিন্ন বাজার ঘুরে জানা গেছে, আকার ও যাত ভেদে বেগুনের মূল্য নির্ধারণ করে বিক্রি করছেন কৃষক ও পাইকাররা। বাজারগুলোতে লম্বা বেগুন ও গোল (ডোফা) জাতের বেগুন পর্যাপ্ত পরিমানে পাওয়া যাচ্ছে। বর্তমানে বাজারে লম্বা বেগুনের খুচরা কেজি ৬০-৮০ টাকা।
পায়কারী বিক্রেতা বিল্লাল হোসেন জানান, তিনি এবার লম্বা বেগুন প্রতি মন ২ হাজার টাকায় এবং গোল (ডোফা জাত) বেগুন প্রতি মন ১ হাজার ৫শ থেকে ৬শ টাকায় ক্রয় করেছেন। কৃষকরা বাজারে বেগুন নিয়ে আসলে সরাসরি কৃষকদের গাড়ি থেকে বেগুন ক্রয় করছেন তারা।

তিনি আরোও জানান, রমজানের আগে লম্বা বেগুনগুলো প্রতি মন পাইকারী দর ছিলো ৬শ টাকা। রমজান আসায় বাজারে এর দাম বেড়ে হয়েছে ১ হাজার ৫শ টাকা মন । ক্রয়কৃত বেগুনগুলো তিনি চট্টগ্রামের রিয়াজ উদ্দিন বাজারে সাপ্লাই দিচ্ছেন বলে জানান তিনি। বেগুনগুলো চট্টগ্রামে পাঠাতে পরিবহন ও লেবার খরচ সহ তাদের প্রতি কেজিতে ১৫ টাকা খরচ হয় এবং সব মিলিয়ে বাজারে বেগুনের চাহিদা থাকায় লোকসান গুনতে হচ্ছেনা বলেও জানান তিনি।
কৃষক কবির আফ্রাদ বলেন, তিনি এবার ১২ শতাংশ জমিতে বেগুনের চাষ করেছেন এতে তার খরচ হয় আনুমানিক ১৫ হাজার টাকা। বাজারে লম্বা বেগুন ১ হাজার ৬শ থেকে ৮শ টাকা এবং গোল বেগুন ১ হাজার ৪শ টাকায় বিক্রয় করতে হচ্ছে। রমজানে বেগুনের চাহিদা থাকায় প্রতি মনে ৬-৭শ টাকা বেড়েছে।

রায়পুরা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোস্তাফিজুর রহমান জানান, উপজেলায় চলতি অর্থবছরে প্রায় ১শ ৫০ হেক্টর জমিতে বেগুনের চাষ হয়েছে। আবাদকৃত জমি থেকে আনুমানিক প্রায় ৩ হাজার টন ফসল তুলা যাবে। কৃষিসম্প্রসারণ অধিদপ্তর কৃষকদের অত্যাধিক আগ্রহের ও ভালো মুনাফা পাওয়ায় বেগুন চাষ বৃদ্ধি পাচ্ছে। আশা করি এ আগ্রহ ভবিষ্যতেও থাকবে।

নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর..
© All rights reserved © 2019 Jonaki Media and Communication Limited
Design By Khan IT Host