নরসিংদী প্রতিনিধি :
নরসিংদীর রায়পুরায় সিএনজির সিরিয়ার দেওয়াকে কেন্দ্র করে সন্ত্রাসী হামলায় আহত নূরুল কাজী মৃত্যূরসাথে পাঞ্জা লড়ে ৫৪দিন পরে না ফেরার দেশে পাড়ি জমিয়েছে। রবিবার বিকেলে সে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মূত্যূবরন করেন।এদিকে ছোট ভাইকে পিটিয়ে আহত করায় বড় ভাই শাহাদাৎ কাজী থানায় মামলা দায়ের করায় তা তুলে নিতে প্রাণনাশে হুমকি দিয়ে যাচ্ছে আসামী পক্ষ।
শাহাদাৎ কাজী জানান, তার ছোট ভাই নূরুল (৩২) কাজী পেশায় একজন সিএনজি চালক। সিএনজির সিরিয়াল দেওয়াকে কেন্দ্র করে মোবারক হোসেনের সাথে অনেকদিন থেকেই বিরোধ ও মনমালিন্য চলে আসছিল। এর জের ধরে গত ২ মার্চ সোমবার বিকেলে অনুমান নূরুল কাজী সিএনজি ক্রয় করতে নরসিংদীর উদ্দেশ্যে বাসা থেকে বের হয়। সে হাসনাবাদ সাদ্দামের মুদিও দোকানের সামনে পৌছলে পূর্ব পরিকল্পিতভাবে আসামী মোবারক হোসেন, সেলিম ও আ: মোতালিবসহ অজ্ঞাত ৪/৫ জন রামদা, কিরিচ, লোহার রড নিয়ে তার উপর অতর্কিত হামলা চালায়। হামলাকারীরা তাকে উপর্যুপরি রামদা দিয়ে কোপ লোহার রড দিয়ে এলোপাতি পিটালে থাকলে সে গুরুতর আহত হয়। এসময় সে ডাকচিৎকার শুরু করলে আশপাশের লোকজন এগিয়ে আসতে দেখে হামলাকারীরা পালিয়ে যায়। পরে তাকে উদ্ধার করে নরসিংদী সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল নিয়ে যাবার পরামর্শ দেয়। দীর্ঘ ১ মাস ২৪ দিন অর্থ্যাৎ ৫৪দিন চিকিৎসাধীন থাকার পর রবিবার বিকেলে সে মৃত্যূবরণ করে।
এদিকে নূরুল কাজীর উপর হামলার ঘটনায় বড় শাহাদাৎ কাজী মোবারক হোসেনকে প্রধান আসামী এবং সেলিম ও আ: মোতালিবসহ অজ্ঞাত ৪/৫ জনকে আসামী করে রায়পুরা থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। এ ঘটনা থানা পুলিশ প্রধান আসামী মোবারক হোসেনকে গ্রেফতার করলেও বাকীরা থাকে ধরা ছোয়ার বাহিরে। থানায় মামলা দায়েরের পর থেকে মামলা তুলে নিতে শাহাদাৎ কাজীকে বার বার প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে যাচ্ছে আসামীপক্ষ।
মামলার বাদী শাহাদাৎ কাজী জানান, মামলার প্রধান আসামী মোবারক হোসেন (৪৫) কারাবন্দি থাকলেও বাকি আসামীদের আজও গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ। তারা মামলা তুলে নিতে বিভিন্ন সময় আমাকে হুমকি-দমকিসহ মেরে ফেলার ভয়। দিখিয়ে যাচ্ছে।আজ আমার ভাই মৃত্যূবরণ করেছে,আমাদেরকেও যে কোন সময় মেরে ফেলতে পারে।তাই আমরা পরিবার পরিজন নিতে আতংকের মাঝে আছি। আমি বাকী আসামীদেরকেও দ্রুত আইনের আওতায় আনার জন্য প্রশাসনের কাছে জোড় দাবী জানাচ্ছি।
এ ব্যাপারে রায়পুরা থানার সেকেন্ড অফিসার দেব দুলালকে ফোন দিয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি এ বিষয়ে পুরোপুরি বলতে পারবো না, তবে শুনেছি আহত নূরুল ঢাকার একটি হাপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন। বিস্তারিত ওসি স্যার ভালো বলতে পারবেন।
রায়পুরা থানার ওসি মহসিনুল কাদিরের মোবাইলে ফোন করলে তিনি লাইন কেটে দেওয়ার তার সাথে কথা বলা সম্ভব হয়নি।
Leave a Reply