নিজস্ব প্রতিনিধি:
সারাদেশে বেড়ে চলেছে সাংবাদিক নির্যাতন। এরই ধারাবাহিকতায় নরসিংদীর রায়পুরা উপজেলায় কর্মরত বিভিন্ন প্রিন্ট, ইলেকট্রিক ও অনলাইন মিডিয়ার সংবাদকর্মীদের সমন্বয়ে আত্মপ্রকাশ হয়েছে “সাংবাদিক নির্যাতন প্রতিরোধ কমিটি”।
আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে কর্মরত সাংবাদিকদের ঐক্যমতে ভিত্তিতে দৈনিক আমাদের সময়ের প্রতিনিধি মেহেদী হাসান রিপনকে আহবায়ক ও দৈনিক ইত্তেফাকের প্রতিনিধি মোস্তাফা খানকে সদস্য সচিব করে ৫১ সদস্য বিশিষ্ট সাংবাদিক নির্যাতন প্রতিরোধ কমিটি ঘোষণা করা হয়।
এসময় উপস্থিত ছিলেন, রায়পুরা প্রেসক্লাবের সভাপতি মাহবুবুল আলম লিটন, সাবেক সভাপতি বশির আহমেদ মোল্লা, , বর্তমান সহ-সভাপতি রফিকুল হক রফিক, সাধারণ সম্পাদক এম নূর উদ্দিন আহমেদ, রায়পুরা সাংবাদিক ফোরামের সিনিয়র সহ-সভাপতি সাধন দাস, সাধারণ সম্পাদক হারুন অর রশিদ, প্রেসক্লাবের যুগ্মসাধারণ সম্পাদক মনিরুজ্জামান মনির, কোষাধ্যক্ষ অজয় সাহা, রায়পুরা সাংবাদিক ফোরামের সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল কাদির, প্রেসক্লাবের সদস্য ফরিদ মিয়া, তন্ময় সাহা, ফজলুল হক চেীধুরী খোকা প্রমূখ।
সদ্য ঘোঘিত আহবায়ক কমিটির প্রথম কার্যক্রম হিসেবে রায়পুরায় ইউপি চেয়াম্যান ও তার সমর্থক কর্তৃক এস এ টিভি নরসিংদী জেলা প্রতিনিধি সজল ভুইয়ার উপর হামলার বিষয়টি সামনে নিয়ে আসা হয়।
এসময় সর্বসম্মতিক্রমে সাংবাদিক সজল ভূঁইয়ার ওপর হামলার ঘটনায় আমিরগঞ্জ ইউপি চেয়ারম্যান নাসির উদ্দিন খানসহ ২০ জনের বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলায় এখনও কেউ গ্রেপ্তার না হওয়ায় তিনদিনের কর্মসূচী ঘোষণা করেন সাংবাদিক নির্যাতন প্রতিরোধ কমিটি।
এই কমিটির ঘোষিত কর্মসূচীগুলো হলো শুক্রবার (১মে) হামলার ঘটনায় জড়িতদের ৪৮ ঘন্টার মধ্যে গ্রেপ্তারের দাবিতে উপজেলা প্রশাসন বরাবর স্মারকলিপি প্রদান। রবিবার (৩মে) প্রতিবাদ সভা। বুধবার (৫ মে) মানববন্ধনসহ প্রয়োজনে পরবর্তীতে আরো কঠোর কর্মসূচী গ্রহণ করার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।
জানা যায়, গত ২৩ এপ্রিল চাল চুরি এবং ১০ টাকা কেজি দরে চাল বিক্রিতে নানা অনিয়মের বিষয়ে প্রতিবেদন করতে আমিরগঞ্জ যান বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল এশিয়ার টিভির জোষ্ঠ প্রতিবেদক বাতেন বিল্পব। তারঁ পূর্বপরিচিতি হওয়ায় ওই প্রতিবেদকের তথ্য সংগ্রহে সহযোগিতা করতে আসেন সজল ভূঁইয়া। ওই সময় আমিরগঞ্জ ইউপি চেয়ারম্যান নাসির উদ্দিন খানের নিদের্শে ১০-১২জন কর্মী-সমর্থক মিলে সজল ভূঁইয়াকে মাইক্রোবাস থেকে টেনে হিঁচড়ে নামিয়ে এনে মারধর করতে থাকেন। এ সময় লাঠি, বইঠা ও রড দিয়ে তাঁর নাকে-মুখে-বুকে-পিঠে এলোপাতাড়ি পিটিয়ে রক্তাক্ত করা হয়। পরে তাকে উদ্ধার করে প্রথমে নরসিংদী সদর হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। সদর হাসপাতালে কিছুদিন চিকিৎসা নেওয়ার পর তার স্বাস্থ্যের অবনতি দেখা দিলে তাকে ঢাকায় প্রেরণ করা হয়। বর্তমানে তিনি চিকিৎসাধীন আছেন।
এদিকে এ ঘটনার চারদির পর সোমবার (২৭ এপ্রিল) সাংবাদিক সজল ভূঁইয়া বাদী হয়ে রায়পুরা থানায় আমিরগঞ্জ ইউপি চেয়ারম্যান নাসির উদ্দিন খানসহ ২০ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন। কিন্তু এঘটনায় আজ বৃহস্পতিবার বিকাল ৫ টা পর্যন্ত এজাহারভুক্ত কোন আসামীকে গ্রেপ্তার করতে পারেননি রায়পুরা থানার পুলিশ
এ ব্যাপারে রায়পুরা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মহসিনুল কাদিরের মুঠোফোনটি বন্ধ থাকা তার বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়।
পরে কথা হয় রায়পুরা থানার সেকেন্ড অফিসার দেব দুলালের সাথে। তিনি জানান, সাংবাদিক সজল ভূঁইয়ার দায়ের করা মামলায় কাউকে গ্রেপ্তার করা যায়নি। তবে আসামীদের ধরতে নিয়মিত অভিযান অব্যাহত আছে।
Leave a Reply