র্যাবের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সারোয়ার আলমের একটি ফেইসবুক স্ট্যাটাস ভাইরাল হয়েছে। বুধবার তিনি ফেইসবুকে ওই স্ট্যাটাস দেন। শুক্রবার পর্যন্ত তা দুই হাজার শেয়ার হয়। স্ট্যাটাসে লাইক পড়েছে ১৪ হাজার আর মন্তব্য তিন হাজারের বেশি।
সারোয়ার আলম স্ট্যাটাসে লেখেন, ‘সততা, নিষ্ঠা আর শত চ্যালেঞ্জকে হাসিমূখে আলিঙ্গন করে দেশ ও মানুষের জন্য কাজ করা কি ক্ষমতার অপব্যবহার?’
এর আগে বুধবার ভ্রাম্যমাণ আদালতে শিশুদের দণ্ড দেওয়া অবৈধ ঘোষণা করে হাইকোর্ট।
গত বছরের ৩ মে থেকে ১০ অগাস্ট পর্যন্ত র্যাবের ভ্রম্যমাণ আদালতে ১২১ শিশুকে দণ্ড দেওয়া হয়। যাদের রাখা হয় শিশু উন্নয়ন কেন্দ্রে। এরপর ৩১ অক্টোবার যশোর ও টঙ্গীর শিশু উন্নয়ন কেন্দ্রে থাকা ১২ বছরের কম বয়সী শিশুদের অবিলম্বে মুক্তি দেওয়ার নির্দেশ দেয় হাইকোর্ট।
সে দিন স্বরাষ্ট্র, আইন, জনপ্রশাসন,সমাজকল্যাণ,নারী ও শিশু, র্যাবের মহাপরিচালক, টঙ্গী-যশোর শিশু উন্নয়ন কেন্দ্রের তত্ত্বাবধায়ক, সমাজসেবা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক,র্যাব সদর দপ্তরের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সারওয়ার আলম, র্যাব-৩ টিকাটুলীর নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. আক্তারুজ্জামান, র্যাব-৪ মিরপুর-১–এর আইন কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নিজাম উদ্দিন আহমেদসহ বিবাদিদের রুলের জবাব দিতে বলা হয়।
এরপর বুধবার ভ্রাম্যমাণ আদালতে শিশুদের দণ্ড দেওয়া অবৈধ ঘোষণা করা হয়।
আদালতের রায়ে বলা হয়, রায়ে বলা হয়েছে, শিশুদের এভাবে ভ্রাম্যমাণ আদালতে দণ্ড দেওয়া কেবল অবৈধ আর বেআইনিই নয়, ‘চূড়ান্ত মাত্রার অমানবিকতা’।
রায়ে আরো বলা হয়, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের মামলার বিচার হবে সংশ্লিষ্ট ট্রাইব্যুনালে। সেখানে বিচারক হবেন কমপক্ষে অতিরিক্ত জেলা জজ পদমর্যাদার একজন বিচারক। কিন্তু ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করছেন একজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট বা মহানগর ম্যাজিস্ট্রেট। ১২১ শিশুর মধ্যে কোনো কোনো শিশুকে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে ভ্রাম্যমাণ আদালতে দেওয়া দণ্ড দেওয়া হয়েছে। এই সাজা দেওয়ার মাধ্যমে এক ধরনের প্যারালাল বিচারিক ব্যবস্থা দাঁড় করানো হয়েছে; যা প্রচলিত আইন এবং সংবিধানের মৌলিক কাঠামোর পরিপন্থি।
Leave a Reply