1. mostafa0192@gmail.com : admin2024 :
  2. arswaponbd6@gmail.com : বার্তা বিভাগ : বার্তা বিভাগ
বৃহস্পতিবার, ১০ জুলাই ২০২৫, ১০:৩৯ অপরাহ্ন

লতা, সন্ধ্যার পর পরপারে পড়ি জমালেন বাপ্পী লাহিড়ী

রিপোর্টারের নাম
  • আপডেট টাইম : বুধবার, ১৬ ফেব্রুয়ারি, ২০২২
  • ৪১০ বার পঠিত

নিজস্ব প্রতিবেদক

ভারতের সঙ্গীত জগতের উজ্জ্বল নক্ষত্র লতা মঙ্গেশকর, সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়ের পর এবার পরপারে পড়ি জমালেন আরেক তারকা গায়ক ও সংগীত পরিচালক বাপ্পী লাহিড়ী। মঙ্গলবার মধ্যরাতে মুম্বাইয়ের একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা গেছেন। মৃত্যূকালে তার বয়স হয়েছিল ৬৯ বছর।

বুধবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) ভারতের গণমাধ্যম এনডিটিভি ও সংবাদ সংস্থা পিটিআই মৃত্যুর খবর জানিয়েছে।

খবরে বলা হয়, গত বছর এপ্রিলে করোনা আক্রান্ত হয়ে মুম্বাইয়ের ব্রিচ ক্যান্ডি হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন। কিছুদিন পর সুস্থ হয়ে বাড়ি ফেরেন তিনি।

পূণরায় অসুস্থ হলে গত প্রায় এক মাস ধরে হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়ে সোমবারই বাড়ি ফিরেছিলেন তিনি। হাসপাতাল থেকে বাড়ি ফেরার পরদিনই (মঙ্গলবার) তার শারীরিক অবস্থা খারাপ হয়। এরপর একজন চিকিৎসককে তাকে দেখতে আসতে বলা হয়। পরে ওই চিকিৎসকের পরামর্শে তাকে আবার হাসপাতালে নেওয়া হয়।

১৯৭০ থেকে ৮০-এর দশকে হিন্দি ছায়াছবির জগতে অন্যতম জনপ্রিয় নাম বাপ্পি লাহিড়ির। হিন্দিতে ‘ডিস্কো ডান্সার’, ‘চলতে চলতে’, ‘শরাবি’, বাংলায় অমর সঙ্গী, আশা ও ভালোবাসা, আমার তুমি, অমর প্রেম প্রভৃতি ছবিতে সুর দিয়েছেন। গেয়েছেন একাধিক গান।

এই ফেব্রুয়ারি মাসেই এ নিয়ে সঙ্গীতের তিন মহাতারকা হারাল ভারত। গত ৬ ফেব্রুয়ারি মুম্বাইয়ের ব্রিচ ক্যান্ডি হাসপাতালে মারা যান লতা মঙ্গেশকর।

করোনায় আক্রান্ত হওয়ার পর গত ১১ জানুয়ারি লতাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। নিউমোনিয়াতেও আক্রান্ত ছিলেন তিনি। প্রথম থেকে তাকে আইসিইউতে রাখা হয়েছিল। গত ৩০ জানুয়ারি শিল্পীর করোনা নেগেটিভ রিপোর্ট আসে। কিন্তু বয়সজনিত নানা সমস্যার কারণে তাকে হাসপাতালেই থাকতে হয়। পরে ৬ ফেব্রুয়ারি মারা যান তিনি।

আর গতকাল রাত ৮টার দিকে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন বাংলা গানের স্বর্ণালী যুগের নন্দিত কণ্ঠশিল্পী সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়। জানা যায়, শৌচাগারে পড়ে গিয়ে ব্যথা পান সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়। এরপর শুরু হয় শ্বাসকষ্টের সমস্যা। দুটি ফুসফুসেই সংক্রমণ ধরা পড়েছিল নন্দিত গায়িকার। চিকিৎসকরা নিবিড়ভাবে চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তাকে বাঁচানো সম্ভব হয়নি।

কিশোর কুমার ছিলেন বাপ্পির সম্পর্কে মামা। বাবা অপরেশ লাহিড়ি ও মা বাঁশরী লাহিড়ি— দুজনেই সঙ্গীত জগতের মানুষ। ফলে একমাত্র সন্তান বাপ্পি ছেলেবেলা থেকেই গানের প্রতি আকৃষ্ট ছিলেন। মা, বাবার কাছেই পান প্রথম গানের তালিম। মা-বাবা নাম দিয়েছিলেন অলোকেশ, কিন্তু জনপ্রিয়তা পান বাপ্পি নামে।

১৯৫২ সালের ২৭ নভেম্বর জলপাইগুড়িতে জন্মগ্রহণ করেন বাপ্পি। তারপর দীর্ঘদিন বাংলা ও হিন্দি ছবির গান গেয়েছেন। সুর দিয়েছেন। শরীরে প্রচুর সোনার গয়না পরতে ভালোবাসতেন। বলতেন, ‘আমার ভগবানের নাম সোনা!’ ছিল গায়কির নিজস্ব কায়দা, যা তাকে হিন্দি ছবির জগতে অনন্য় পরিচিতি দিয়েছিল। পেয়েছেন একাধিক পুরস্কার এবং সম্মান।

বাপ্পি লাহিড়ি রাজনীতিতেও নেমেছিলেন। বিজেপিতে যোগ দিয়ে পশ্চিমবঙ্গের শ্রীরামপুর কেন্দ্র থেকে ভোটেও লড়েছিলেন

নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর..
© All rights reserved © 2019 Jonaki Media and Communication Limited
Design By Khan IT Host