দুর্নীতির অভিযোগে দুদকের করা মামলায় সাবেক বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী আবদুল লতিফ সিদ্দিকীকে হাইকোর্টের দেওয়া ছয় মাসের জামিন বহাল রেখেছেন আপিল বিভাগ।
হাইকোর্টের জামিন আদেশের বিরুদ্ধে দুদকের করা লিভ টু আপিল রোববার খারিজ করে দিয়েছে প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন চার বিচারপতির আপিল বেঞ্চ।
আজ আদালতে লতিফ সিদ্দিকীর পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মনসুরুল হক চৌধুরী ও শাহ মঞ্জুরুল হক। আর দুদকের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী খুরশীদ আলম খান।
আজকের এ আদেশের ফলে লতিফ সিদ্দিকীকে হাইকোর্টের দেওয়া জামিন বহাল রইল এবং তার মুক্তিতে আইনগত কোনো বাধা নেই বলে জানিয়েছেন তার আইনজীবীরা।
এর আগে বিচারপতি ওবায়দুল হাসান ও বিচারপতি এ কে এম জহিরুল হকের হাইকোর্ট বেঞ্চ গত ৪ নভেম্বর লতিফ সিদ্দিকীকে ছয় মাসের জামিন দেয়। সেই সাথে রুল জারি করেন। এরপর হাইকোর্টের ওই আদেশ স্থগিত চেয়ে আপিল বিভাগে আবেদন করে দুদক।
টাঙ্গাইল-৪ আসনের সাবেক সাংসদ লতিফ সিদ্দিকী ২০০৯ থেকে ২০১৩ সাল পর্যন্ত পাট ও বস্ত্র মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী ছিলেন। ওই সময় তিনি দুর্নীতি করেছেন অভিযোগ করে ২০১৭ সালের ১৭ অক্টোবর বগুড়ার আদমদীঘি থানায় মামলা করেন দুদকের সহকারী পরিচালক মো. আমিনুল ইসলাম।
সেই মামলায় বলা হয়, মন্ত্রী থাকাকালে লতিফ ক্ষমতার অপব্যবহার করে বাংলাদেশ জুট করপোরেশনের অধীনে থাকা বগুড়ার আদমদীঘির রানীনগর ক্রয় কেন্দ্রের ২ দশমিক ৩৮ একর জমি দরপত্রের বিজ্ঞপ্তি ছাড়াই বেগম জাহানারা রশিদ নামে এক নারীর কছে বিক্রির নির্দেশ দেন, তাতে সরকারের ৪০ লাখ ৬৯ হাজার ২১ টাকার আর্থিক ক্ষতি হয়। এ মামলায় বেগম জাহানারা রশিদকেও আসামি করা হয়। এবং মামলার তদন্ত শেষে গতবছরের ১৮ ফেব্রুয়ারি আদালতে অভিযোগপত্র দেয় দুদক।
এরপর গত ২০ জুন লতিফ সিদ্দিকী এ মামলায় বগুড়ার জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন চাইলে বিচারক তা নাকচ করে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। এরপর জামিন চেয়ে হাইকোর্টে আবেদন করেন লতিফ সিদ্দিকী।
Leave a Reply