আরিফুর রহমান স্বপন, লাকসাম (কুমিল্লা) প্রতিনিধিঃ
কুমিল্লার লাকসামে টহল পুলিশের উপর হামলার ঘটনায় ৫ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
পুলিশ জানায়, বুধবার রাত দশটার দিকে উপজেলার লাকসাম পূর্ব ইউনিয়নের নরপাটি বাজারে ব্যবসায়ী লোকমান হোসেনের বেকারি দোকানে তার ছেলে রাশেদকে (২০) পূর্ব বিরোধের জের ধরে স্থানীয় কিছু লোকজন আটকে রেখে দোকান ঘেরাও করে রাখে। দোকান থেকে বের হওয়া মাত্র তাকে মারধর করা হবে এমন সংবাদ পেয়ে পুলিশের রাত্রিকালীন একটি টহলদল এস আই সহিদুল ইসলাম মোল্লার নেতৃত্বে কনেস্টবল স্বপন মিয়া ও শরাফত হোসেন ঘটনাস্থলে গিয়ে ওই বেকারি থেকে রাশেদকে উদ্ধার করে বাড়ি পাঠিয়ে দেয়ার সময় রাশেদকে ঘেরাও করা উশৃঙ্খল লোকজন পুশিশের উপর হামলা চালায়। এসময় হামলাকারীদের ছোঁড়া ইটপাটকেলের আঘাতে এস আই সহিদুল ইসলাম মোল্লা ও কনেস্টবল স্বপন মিয়া গুরুতর আহত হয়। খবর পেয়ে থানা থেকে আরেকদল পুলিশ গিয়ে হামলাকারীদের ছত্রভঙ্গ করে দেয় এবং আহত পুলিশ সদস্যদের লাকসাম স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে।
ওই ঘটনায় পুলিশ নরপাটি পশ্চিম সাহেব পাড়া গ্রামের শহিদ উল্ল্যার ছেলে মিজানুর রহমান, আবদুর বারীর ছেলে মহি উদ্দিন, উত্তর নরপাটি গ্রামের আবদুল সোবহানের ছেলে কামাল হোসেন, সফিকুর রহমানের ছেলে জহিরুল ইসলাম এবং মৃত আলী আশ্রাফের ছেলে আবদুল কাদেরকে গ্রেফতার করেছে।
লাকসাম থানা পুলিশের অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ নিজাম উদ্দিন বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, পুলিশের উপর হামলার ঘটনায় এস আই কামাল হোসেন বাদী হয়ে এজাহার নামীয় ১৪ জনকে আসামি করে থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন এবং ৫ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। অন্যদের গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
আরিফুর রহমান স্বপন, লাকসাম, কুমিল্লা প্রতিনিধিঃ
কুমিল্লার লাকসামে মোহাম্মদ হোসেন হত্যা মামলার প্রধান আসামী রাশেদ হোসেনসহ দুইজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বুধবার রাতে লাকসাম থানা পুলিশ নোয়াখালী জেলার সোনাইমুড়ি থেকে তাদেরকে গ্রেফতার করে। চাঞ্চল্যকর ওই হত্যা মামলার দুই আসামী গ্রেফতার হওয়ায় এলাকায় স্বস্তি ফিরে এসেছে।
জানা যায়, উপজেলার শ্রীয়াং গ্রামে সম্পত্তি সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে গত ১৬ জুলাই ভোরে ওই গ্রামের রাশেদ হোসেনসহ ৩০/৩৫জন সন্ত্রাসী প্রতিপক্ষের বাড়িতে ঘুমন্ত অবস্থায় থাকা মানুষের উপর টেটা, বল্লম, চাকুসহ দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে হামলা ও ভাংচুর চালায়। এসময় মোহাম্মদ হোসেন ঘর থেকে বের হলে সন্ত্রাসী রাশেদ তাকে টেটাবিদ্ধ করে হত্যা করে। ওই হামলায় মহিলাসহ কমপক্ষে ১০ জন আহত হয়।
এ ঘটনায় নিহত মোহাম্মদ উল্লাহর চাচাতো ভাই সাইফুল ইসলাম বাদি হয়ে ২৪ জনের নাম উল্লেখ করে ও অজ্ঞাতনামা আরো ৫/৬ জনের বিরুদ্ধে লাকসাম থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। হামলাকারীরা ঘটনার পরপরই আত্মগোপনে চলে যায়। মামলা দায়েরের পর থেকে পুলিশ আসামীদের গ্রেফতারে নিয়মিত অভিযান অব্যাহত রেখেছে। বুধবার (২২ জুলাই) রাতে নোয়াখালী জেলার সোনাইমুড়ি থেকে ওই হত্যা মামলার প্রধান আসামী রাশেদ হোসেন (২০) ও ৬নং আসামী শামীম হোসেন (১৯) কে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। অভিযুক্ত রাশেদ শ্রীয়াং গ্রামের শাহজাহান মিয়ার ছেলে ও শামীম একই গ্রামের অহিদুর রহমানের ছেলে।
মামলার বাদি সাইফুল ইসলাম প্রধান আসামী রাশেদ ও অন্য আসামী শামীম গ্রেফতার হওয়ায় সন্তোষ প্রকাশ করে দ্রুত অন্য আসামীদের গ্রেফতার করে দৃষ্টান্তমুলক শাস্তির দাবি জানান।
লাকসাম থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. নিজাম উদ্দিন মামলার প্রধান আসামী রাশেদসহ দুইজনকে সোনাইমুড়ি থেকে গ্রেফতারের বিষয়টি নিশ্চিত করেন বলেন, তাদেরকে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়েছে। অন্য অভিযুক্তদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।
Leave a Reply