আরিফুর রহমান স্বপন, লাকসাম, কুমিল্লাঃ
কুমিল্লার লাকসামের একটি বেসরকারি হাসপাতালের আইসলোশানে চিকিৎসাধীন থাকা করোনা আক্রান্ত এক রোগী গোপনে পালিয়ে গেলেন বাড়ি। করোনা আক্রান্ত ওই ব্যক্তি বাড়িতে যাওয়ায় অন্যান্যরা সংক্রমিত হওয়ার ঝুঁকিতে পড়ে। ফলে স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা এবং আতঙ্ক দেখা দেয়। খবর পেয়ে ইউপি চেয়ারম্যান ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ ওই হোম আইসোলেশনে রেখে বাড়িটি লকডাউন (অবরুদ্ধ) করে দেন।
এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, লাকসামের একটি বেসরকারি হাসপাতালের ল্যাব সহকারীর করোনা ধরা পড়লে তাকে ওই হাসপাতালের আইসলোশানে রেখে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছিল। ওই ল্যাব সহকারীর বাড়ি পাশবর্তী নাঙ্গলকোট উপজেলার আদ্রা (দক্ষিণ) ইউনিয়নের চাটিতলা গ্রামে। চিকিৎসাধীন অবস্থায় আক্রান্ত ওই ব্যক্তি গত বুধবার (২৭ মে) কৌশলে হাসপাতাল থেকে পালিয়ে গোপনে বাড়ি চলে যান। ঘটনা জানতে পেরে গ্রামবাসী বিষয়টি উপজেলা প্রশাসনকে অবহিত করেন।
পরে প্রশাসন স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানকে করোনা আক্রান্ত ওই ব্যক্তির বাড়িটি লকডাউনের নির্দেশ দেন। উপজেলা প্রশাসনের নির্দেশনা মোতাবেক গতকাল ওই ইউপি চেয়ারম্যান তাঁর পরিষদের সদস্য জামাল হোসেন এবং চাটিতলা কমিউনিটি ক্লিনিকের স্বাস্থ্যকর্মী জসিম উদ্দিনকে নিয়ে গ্রাম পুলিশের সহযোগিতায় বাড়িটি লকডাউন করে দেন।
স্বাস্থ্যকর্মী জসিম উদ্দিন জানান, বিষয়টি জানার পর রোগীর বাড়ি গিয়ে তাকে তার পরিবার এবং বাড়ির অন্যান্য লোকদের কাছ থেকে সম্পূর্ণ আলাদা করে হোম আইসোলেশনে রাখার পদক্ষেপ গ্রহণ করি। তিনি আরও জানান, ওই বাড়িতে আরও ২০টি পরিবারের রয়েছে। তারাও সংক্রমিত হতে পারে। তাই তাদেরও নমুনা সংগ্রহ করা প্রয়োজন। আদ্রা দক্ষিণ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. আবদুল ওহাব জানান, খবর পেয়ে করোনা আক্রান্ত ব্যক্তির বাড়ি লকডাউন করা হয়েছে। তবে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে কোনো চিকিৎসা কর্মকর্তা সেখানে যায়নি। তাদের যে কোনো প্রয়োজনীয় সহযোগিতায় ইউনিয়ন পরিষদ পাশে থাকবে।
এই ব্যাপারে নাঙ্গলকোট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) লামইয়া সাইফুল বিষয়টির সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, উপজেলা প্রশাসন প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করছেন। তিনি করোনা সংক্রমণ থেকে রক্ষা পেতে সকলকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার পরামর্শ দেন।
Leave a Reply