1. mostafa0192@gmail.com : admin2024 :
বুধবার, ০৯ অক্টোবর ২০২৪, ০৭:৪৮ পূর্বাহ্ন

লাকসামে ১৯ বছর কাজ শেষে বিদায় নিলো ওয়ার্ল্ড ভিশন, কাঁদলেন এবং কাঁদালেন

রিপোর্টারের নাম
  • আপডেট টাইম : বুধবার, ১১ সেপ্টেম্বর, ২০২৪
  • ৫৫ বার পঠিত

কোহিনুর প্রীতি, লাকসাম (কুমিল্লা) প্রতিনিধি :

দীর্ঘ উনিশ বছরের কর্মযজ্ঞ শেষ করে লাকসাম থেকে বিদায় নিয়েছে ওয়ার্ল্ড ভিশন বাংলাদেশ-লাকসাম এরিয়া প্রোগ্রাম। ১১ সেপ্টেম্বর (বুধবার) সকালে লাকসাম পৌরসভা অডিটোরিয়ামে লাকসাম এরিয়া প্রোগ্রামের আয়োজনে ধন্যবাদ জ্ঞাপন ও সমাপনী অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে।

ওয়ার্ল্ড ভিশন বাংলাদেশ লাকসাম এরিয়া প্রোগ্রামের স্পন্সরশীপ ও সিস্টেম সাপোর্ট অফিসার লীজা হালদার এবং ইয়ং প্রফেশনাল ইন্টার্ন ফ্লোরা তিথী চৌধুরীর যৌথ সঞ্চালনায় ও ওয়ার্ল্ড ভিশন বাংলাদেশ ফিল্ড প্রোগ্রাম অপারেশনস (ইউআরসি) এর ডেপুটি ডিরেক্টর মঞ্জু মারিয়া পালমা’র সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন লাকসাম উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) সিফাতুন নাহার।

এতে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, ওয়ার্ল্ড ভিশন কোরিয়া এর প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা চো মিয়ং হোয়ান, ন্যাশনাল ডিরেক্টর সুরেশ বার্টলেট, সিনিয়র ডিরেক্টর অপারেশন চন্দন জাকারিয়াস গোমেজ, উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা উপন্যাস চন্দ্র দাস, কৃষি কর্মকর্তা আল আমিন, ভিডিসি প্রতিনিধি মিজানুর রহমান, আরসি প্রতিনিধি অন্তর মজুমদার, শিশু ফোরামের প্রতিনিধি তাহমিনা আক্তার, বেনেফিসিয়ারী প্রতিনিধি লিজা বেগম।

ওয়ার্ল্ড ভিশন বাংলাদেশ লাকসামে ২০০৫ সালের ১ অক্টোবর থেকে তাদের কার্যক্রম শুরু করে। দীর্ঘ উনিশ বছরের বিভিন্ন কার্যক্রম ও সফলতা তুলে ধরে বিদায় অনুষ্ঠানে একটি প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন করেন লাকসাম এপি ম্যানেজার শেলী তেরেসা কাস্তা ও মোস্তফা আমিনুল দিনার। ওয়ার্ল্ড ভিশন বাংলাদেশ লাকসাম এপির দীর্ঘ উনিশ বছরের কার্যক্রম শেষে বিদায় অনুষ্ঠানে সুবিধাভোগী মানুষগুলো আবেগ আপ্লুত হয়ে পড়েন। এসময় ওয়ার্ল্ড ভিশনের কর্মকর্তারা যেমন কাঁদলেন তেমনি অন্যদেরও কাঁদিয়ে গেলেন।

অনুষ্ঠানে বক্তারা ওয়ার্ল্ড ভিশন বাংলাদেশ লাকসাম এপির দীর্ঘ উনিশ বছরের কার্যক্রমে লাকসামের পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর ব্যাপক উন্নয়ন ও সফলতার কথা তুলে ধরে বলেন, শিক্ষা থেকে শুরু করে বাল্য বিবাহ বন্ধ, নারী নির্যাতন রোধ, স্বাস্থ্য সেনিটেশন, কৃষি উন্নয়ন, হাঁস মুরগিসহ গবাদিপশু পালন করে হাজারো পরিবার সাবলম্বি হয়েছেন। করোনা ও প্রকৃতিক দুর্যোগ বন্যায় ওয়ার্ল্ড ভিশনের অবদান ছিল প্রশংসনীয়। আজ লাকসাম থেকে ওয়ার্ল্ড ভিশন বাংলাদেশ চলে গেলেও তাদের দেয়া প্রশিক্ষণের সফতলতা নিয়ে এগিয়ে যাবে লাকসামের মানুষ। এমনটাই প্রত্যাশা সবার।

এছাড়াও লাকসামের মানুষের পাশে আবারও সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দাঁড়ানোর জন্য ওয়ার্ল্ড ভিশনকে আহবান জানান বক্তারা।

এসময় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, ওয়ার্ল্ড ভিশন বাংলাদেশ লাকসাম এপির প্রোগ্রাম অফিসার মানিক লাল সরকার, চেলচি ভেরোনিকা রেমা, ফাইন্যান্স অফিসার প্রমিতসন রিছিল, ইয়ং প্রফেশনাল ফ্যাসিলিটেটর মুক্তা রানী রায় প্রমূখ।

নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর..
© All rights reserved © 2019 Jonaki Media and Communication Limited
Design By Khan IT Host