শেখ মানিক, শিবপুর:
নরসিংদীর শিবপুরে বিয়ের প্রলোভনে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে এক নারীকে গণধর্ষণ করেছে প্রেমিক রূপী এক নরপশু ও তার দুই সহযোগি। গত মঙ্গলবার রাতে উপজেলার কুন্দারপাড়া এলাকার একটি ধান খেতে এ গণধর্ষণের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনার গতকাল বুধবার রাতে ভিকটিম বাদী হয়ে শিবপুর মডেল থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে গণধর্ষণের মামলা করেছেন। এ ঘটনায় রাতেই শিবপুর থানা পুলিশ উপজেলার বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে অভিযুক্ত দুই ধর্ষককে গ্রেপ্তার করেছে।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন, রায়পুরা উপজেলার সাহেরচর এলাকার মোমরেজ খানের ছেলে প্রেমিক ধর্ষক আক্তার হোসেন (৩০) এবং অপরজন একই এলাকার জামির আলীর ছেলে রহিম খান (৩২)। অপর অভিযুক্ত ধর্ষক মোমেন ওরফে মোনায়েম খান (২৬) পলাতক রয়েছেন।
মামলার বিবরণে জানা গেছে, স্বামী পরিত্যক্তা এক সন্তানের জননী ওই নারী জীবীকার তাগিদে নরসিংদী সদর উপজেলার একটি মোমবাতি ফ্যাক্টরীতে কাজ করেন। ওই ফ্যাক্টরীতে কাজ করতে গিয়ে পরিচয় হয় সালমা আক্তার নামে তার এক সহকর্মীর। পরিচয়ের সূত্র ধরে সালমার ভাই অভিযুক্ত ধর্ষক আক্তার হোসেনের সাথে মোবাইল ফোনে প্রায়ই কথোপকথন হতো, এক পর্যায়ে দুজনের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে । মঙ্গলবার বিয়ে করার কথা বলে ভিকটিমকে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে আসেন প্রেমিক আক্তার হোসেন। ভিকটিমকে সাথে নিয়ে আক্তার হোসেন তার দুই সহযোগী সিএনজি যোগে বিভিন্ন স্থানে ঘুরাফেরা করে কালক্ষেপন করতে থাকে। পরে কুন্দারপাড়ার একটি নির্জন স্থানের ধান খেতে নিয়ে হত্যার হুমকি দিয়ে পালাক্রমে ধর্ষণ করে তাকে ফেলে রেখে পালিয়ে যায় আক্তার তার দুই সহযোগি। এ ঘটনার বুধবার রাতে আক্তার হোসেনসহ তিনজনের নাম উল্লেখ করে মামলা দায়ের করেন গণধর্ষণের শিকার ওই নারী। মামমলা নথিভুক্ত করে রাতেই অভিযুক্তদের ধরতে নামে থানা পুলিশ। পুলিশ দুইজনকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হলে এখন অপর একজন পলাতক রয়েছে।
শিবপুর মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আবুল কালাম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, নির্যাতিতা ওই নারীকে ডাক্তারী পরীক্ষার জন্য বৃহস্পতিবার দুপুরে নরসিংদী সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। পলাতক অভিযুক্তকেও গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
Leave a Reply