শেরপুর প্রতিনিধি
শেরপুরে আমন ও বোরো ধানের মধ্যবর্তী স্বল্প মেয়াদী ‘বারি সরিষা-১৪’ আবাদের উপর মাঠ দিবস অনুষ্ঠিত হয়েছে। তেলজাতীয় ফসলের উৎপাদন বৃদ্ধি শীর্ষক প্রকল্পের অর্থায়নে বারি, শেরপুর অঞ্চলের সরেজমিন গবেষণা বিভাগ আয়োজিত বুধবার (১৯ জানুয়ারি) সদর উপজেলার কামারিয়া ইউনিয়নের তারাকান্দি এলাকার কৃষক মো. সিদ্দিকুর রহমানের সরিষা ক্ষেত সংলগ্ন মাঠে এই মাঠ দিবস অনুষ্ঠিত হয়।
মাঠ দিবসে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইন্সটিটিউটের (বারি) মহাপরিচালক ড. দেবাশীষ সরকার।
বারি, গাজীপুরের সরেজমিন গবেষণা বিভাগের মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. সহিদুজ্জামানের সভাপতিত্বে মাঠ দিবসে বক্তব্য রাখেন বারির উদ্যানতত্ত্ব গবেষণা কেন্দ্রের পরিচালক ড. অপূর্ব কান্তি চৌধুরী, তৈল বীজ গবেষণা কেন্দ্রের পরিচালক ড. মো. আব্দুল লতিফ আকন্দ, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর শেরপুরের উপপরিচালক ড. মোহিত কুমার দে, তেলজাতীয় ফসলের উৎপাদন বৃদ্ধি প্রকল্পের মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. ফেরদৌসি বেগম, বারি শেরপুর অঞ্চলের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মো. শামছুর রহমান, কৃষক মো. সিদ্দিকুর রহমান প্রমুখ।
মাঠ দিবসে প্রধান অতিথি বারির মহাপরিচালক দেবাশীষ সরকার বলেন, সরিষা একটি তেলজাতীয় মূল্যবান ফসল। এটি আবাদের মাধ্যমে কৃষক লাভবান হবেন। পাশাপাশি বিশুদ্ধ সরিষার তেল উৎপাদন ও গ্রহণের মাধ্যমে জনস্বাস্থ্য সুরক্ষিত থাকবে। যে জমিতে সরিষা আবাদ করা হয় সেই জমিতে পরবর্তী সময়ে বোরো ধান আবাদ করলে সারের পরিমাণও কম লাগে। তাই আমন ও বোরো ধানের মধ্যবর্তী সময়ে সরিষা আবাদের জন্য কৃষকদের প্রতি আহবান জানান তিনি।
বারির মহাপরিচালক আরও বলেন, সাধারণত এক বিঘা জমিতে ৫ মণ থেকে ৬ মণ সরিষা উৎপন্ন হয়। আর ওই সরিষা ভাঙালে প্রায় ৮৫ কেজি তেল পাওয়া যায়। যা অত্যন্ত লাভজনক বলে তিনি জানান।
মাঠ দিবসে সদর উপজেলার কামারিয়া ইউনিয়নের শতাধিক কৃষক-কৃষাণী অংশগ্রহণ করেন। এদিকে বুধবার বিকেলে বারি, শেরপুর অঞ্চলের সরেজমিন গবেষণা বিভাগের উদ্যোগে সদর উপজেলার খুনুয়া গ্রামে বারি মটর শুটি-৩ এর উৎপাদন ফলাফল প্রদর্শনপূর্বক আরেকটি মাঠ দিবস অনুষ্ঠিত হয়।
Leave a Reply