গাজীপুরের শ্রীপুরে গভীর রাতে সিঁধ কেটে অটোচালককে হত্যা করে দূর্বৃত্তরা। ১০ এপ্রিল রাতে উপজেলার বাঁশবাড়ি গ্রামে এ হত্যাকান্ডের ঘটনা ঘটে। হত্যাকান্ডের একদিন পর তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার করে শ্রীপুর থানা পুলিশ ঘাতকদের সনাক্ত করে। পরে ১১ এপ্রিল অভিযান চালিয়ে ময়মনসিংহের ধোবাউড়া ও ভালুকায় থেকে তিন ঘাতককে গ্রেফতার করে। উদ্ধার করা হয় ছিনতাই করা অটোরিকশা ।
গ্রেফতারকৃতরা হলো, সিরাজগঞ্জ জেলার শাহজাদপুর উপজেলার নায়ায়নদাহ্ গ্রামের শুক্কুর আলীর ছেলে আব্দুর রহিম (৩৪), গাজীপুর জেলার শ্রীপুর উপজেলার গাজীপুর ইউনিয়নের বাঁশবাড়ি গ্রামের মৃত ফরহাদ আলীর ছেলে মো: রুহুল আমিন (২৪) ও ময়মনসিংহ জেলার ধোবাউড়া উপজেলার চন্দ্রকোনা গ্রামের মো: ফারুক আহাম্মদের ছেলে মো: শরিফ আহমেদ (৩৫)। গ্রেফতারকৃতরা প্রাথমিক ভাবে হত্যার কথা স্বীকার করেছে।
মঙ্গলবার বিকেলে সাংবাদিক সম্মেলনের মাধ্যমে বিষয়টি নিশ্চিত করে ঘটনার লোমহর্ষক বর্ণনা দেন জেলা কালিয়াকৈর সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার আজমির হোসেন।
পুলিশের ওই কর্মকর্তা বলেন, হত্যার পরপরই স্থানীয় ভাবে সোর্স নিয়োগ করি। তথ্য প্রযুক্তির মাধ্যমে চিহ্নিত অপরাধী রুহুল আমিনের অবস্থান নির্ণয় করি। তাকে আটকের মাধ্যমে অন্যদের আটক করি। আটকদের দেয়া তথ্য মতে সিঁধ কেটে ঘরে প্রবেশ করে অটোরিকশা চুরির সময় অটোরিকশা চালক মো: আনোয়ার হোসেনের ঘুম ভেঙে যায়। এসময় অভিযুক্ত রুহুল আমিনকে চিনে ফেলে আনোয়ার। এসময় আসামীরা তাকে গলায় রশি দিয়ে শ্বাসরুদ্ধ করে হত্যা করে।
তিনি আরও জানান, রাত এগারোটা দিকে সিঁধ কেটে প্রবেশ করে ঘাতকরা। অটোরিকশা চালককে খুন করে অটোরিকশা নিয়ে চলে যায়। পরে অভিযান চালিয়ে ভালুকা উপজেলার হবিরবাড়ি ইউনিয়নের আমতলী থেকে ছিনতাইকৃত অটোরিকশা উদ্ধার করে।
উল্লেখ্য রবিবার (১০ এপ্রিল) রাতে উপজেলার বাঁশবাড়ি গ্রামে গভীর রাতে অজ্ঞাত ঘাকতরা অটোচালক আনোয়ার হোসেনকে গলায় রশি পেঁচিয়ে হত্যা করে। এ ঘটনায় নিহতের ছেলে বাদী হয়ে থানায় মামলা করেন। ঘটনার ২৪ ঘন্টার মধ্যে পুলিশ ক্লুলেজ হত্যাকান্ডের তিন ঘাতককে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়।
Leave a Reply