রাজশাহী প্রতিনিধি

পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) ড. বেনজীর আহমেদ বলেছেন, দেশের অভ্যান্তরিন শান্তি শৃঙ্খলা রক্ষা, অপরাধ নিয়ন্ত্রন, সন্ত্রাস দমন, মাদকের অপব্যবহার বিস্তার রোধে কার্য্যকর ভুমিকা পালন করতে হবে। সন্ত্রাস ও জঙ্গীবাদ দমনে বাংলাদেশ পুলিশের পেশাদারিত্ব সাহসিকতা আজ প্রশংসিত।

সোমবার সকালে রাজশাহীর সারদায় বাংলাদেশ পুলিশ একাডেমিতে ৩৮তম ক্যাডেট এসআই ব্যাচের প্রশিক্ষণ সমাপনী কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

আইজিপি বলেন, জনগণের সাংবিধানিক ও আইনগত অধিকার প্রতিষ্ঠায় সরকার বিভিন্ন আইনকে সংস্কারের মাধ্যমে যুগোপযোগী করেছে। জনগণকে আইনি সহায়তা দেয়ার ক্ষেত্রে তথ্যের ভিত্তিতে পুলিশ সদস্যদের দ্রুত ব্যবস্থা নিতে হবে। পুলিশের প্রতিটি সদস্যকে নারী, শিশু, বৃদ্ধ ও প্রতিবন্ধীসহ সব সেবাপ্রত্যাশী জনগণের প্রতি সংবেদনশীল আচরণ করতে হবে।

দেশের অভ্যন্তরীণ শান্তি-শৃঙ্খলা রক্ষায় পুলিশ আন্তরিকতার সঙ্গে কাজ করে যাচ্ছে উল্লেখ করে বেনজীর আহমেদ বলেন,অপরাধ ও কৌশল মোকাবেলায় আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহারে সক্ষমতা অর্জন একটি মাইল ফলক। ফরেনসিক, ডিজিটাল ফরেনসিক, ডিএনএ পরীক্ষা, আইপিডিআর এনালাইসিস, সাইবার ক্রাইম, ফিন্যানসিয়াল ক্রাইম, ভিকটিম সাপোর্ট সেন্টার, নারী ও শিশু ডেক্স, বিট পুলিশিং, জাতীয় জরুরী সেবা ৯৯৯ আরো অন্যান্যকার্য্যক্রম চালু রয়েছে।

চারঘাট উপজেলার সারদায় বাংলাদেশ পুলিশ একাডেমীতে ৩৮তম ক্যাডেট উপ-পরিদর্শক (এসআই) ব্যাচের প্রশিক্ষণ সমাপনী কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে আইজিপি আরও বলেন, প্যানডেমিক পরিস্থিতিতে দায়িত্বের বাইরে গিয়েও জনগনের পাশে দাঁড়িয়েছে পুলিশ। যখন আত্মীয়স্বজন চলে গেছে, তখন পুলিশ বাহিনীর সদস্যরাই মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছে। তাই পুলিশ বাহিনী আজ জনগনের ভালোবাসায় পরিনত হয়েছে। ফলে মানুষের ভালোবাসা ও আস্থা ধরে রাখতে ন্যায়, নিষ্ঠা ও সততার সঙ্গে কাজ করার বিকল্প নেই।

এর আগে আইজিপি ৩৮তম এসআই ব্যাচের সমাপনী কুচকাওয়াজ পরিদর্শন করেন। এক বছর মেয়াদি এই প্রশিক্ষণে নতুন নিয়োগ পাওয়া ৫৭ জন নারীসহ ১ হাজার ২৩১ জন এসআই অংশ নেন। এদের মধ্যে থেকে প্রশিক্ষণে শ্রেষ্ঠত্ব অর্জনকারী পাঁচজনের হাতে ক্রেস্ট তুলে দেন আইজিপি।

এ সময় পুলিশ একাডেমির অধ্যক্ষ খন্দকার গোলাম ফারুক, পুনাক এর সভানেত্রী বেগম জীশান মীর্জাসহ অন্যান্য ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।