সবুজ আন্দোলন পরিচালনা পরিষদের চেয়ারম্যান বাপ্পি সরদার বলেছেন, জলবায়ু সংকটের কারণে শুধু বাংলাদেশ নয় সারাবিশ্বে আজ ভয়াবহ বিপর্যয় দেখা দিয়েছে। চীনে যে করোনো ভাইরাসের বিস্তার ঘটেছে এর পিছনেও জলবায়ু বিপর্যয় একটি বড় কারণ। এজন্য এখনই যদি আমরা সচেতন না হই তাহলে অদূর ভবিষ্যতে আমাদের দেশেও এ রকম ভয়াবহ ও প্রাণঘাতি রোগের বিস্তার ঘটতে পারে।
মঙ্গলবার ( ০৪ ফেব্রুয়ারি) সামাজিক সংগঠন ‘সবুজ আন্দোলন’র উদ্যোগে রাজধানীর পুরানা পল্টন মোড়ে ‘জলবায়ু সংকট, বায়ু দূষণ ও করোনা ভাইরাস সম্পর্কে সচেতনতা তৈরির লক্ষ্যে বিনামূল্যে মাস্ক ও লিফলেট বিতরণ কর্মসূচী’ পালনকালে সভাপতির বক্তব্যে তিনি এ সব কথা বলেন।
এ সময় সংহতি প্রকাশ করে আরো বক্তব্য রাখেন সিপিবির সম্পাদক রুহিন হোসেন প্রিন্স, সবুজ আন্দোলন পরিচালনা পরিষদের মহাসচিব এম মিজানুর রহমান, বাংলাদেশ ন্যাপের মহাসচিব এম গোলাম মোস্তফা ভুঁইয়া, পাটশালার পরিচালক চাষী মামুন, জাগপার প্রেসিডিয়াম সদস্য আসাদুর রহমান খান, লেবার পার্টির মহাসচিব আব্দুল্লাহ আল মামুন, সবুজ আন্দোলনের কার্যনির্বাহী কমিটির সভাপতি অ্যাডভোকেট আবু বকর ছিদ্দিক, সহ-সভাপতি ড. রুহুল আমিন চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ, ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির কল্যাণ সম্পাদক খালিদ সাইফুল্লাহ, আমার বার্তার বার্তা সম্পাদক এম. শাহজাহান, সবুজ আন্দোলনের নারী ও শিশু বিষয়ক সম্পাদক রিমা সরদার প্রমুখ।
বাপ্পি সরদার আরো বলেন, জলবায়ু সংকট আজ প্রকট আকার ধারণ করেছে। ঢাকা শহর প্রতিনিয়ত বায়ু দূষণের শীর্ষে অবস্থান করছে। এ কারণে ফুসফুসে সংক্রমণসহ নানারোগে আক্রান্ত হচ্ছে মানুষ। প্রতিবছর ডেঙ্গু, চিকুনগুনিয়ার মতো রোগের বিস্তার ঘটছে। এতে মানুষের চিকিৎসা ব্যয়সহ আনুসঙ্গিক ক্ষেত্রে খরচ বেড়ে যাচ্ছে। এ অবস্থা থেকে পরিত্রাণে আমাদের সবাইকে সচেতন হতে হবে। সরকার ও রাজনৈতিক দলগুলোকে এ ব্যাপারে সুনির্দিষ্ট কর্মসূচী নিয়ে এগিয়ে আসতে হবে। না হলে খুব শিগগিরই দেশে ভয়াবহ বিপর্যয় দেখা দিতে পারে।
কর্মসূচী পালনকালে সবুজ আন্দোলনের পক্ষ থেকে সুনির্দিষ্ট কিছু প্রস্তাবনা পেশ করা হয়। এগুলো হল- ১.অনতিবিলম্বে বাংলাদেশসহ সারা পৃথিবীর কয়লা ভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র বন্ধ করতে হবে, ২.বায়ু দূষণ কমাতে রাজধানীসহ দেশের সব শহরে দিনে দুইবার রাস্তা ঝাড়– দেওয়া ও সপ্তাহে একবার রাস্তা পানি দিয়ে ধৌওয়ার ব্যবস্থা করতে হবে, ৩. ঢাকা শহরের চারপাশের নদী ও সরকারি পতিত জায়গাগুলোকে দখলমুক্ত রাখতে বৃক্ষরোপন কর্মসূচী বাস্তবায়ন করতে হবে,
৪. জনগনের স্বাস্থ্যঝুঁকি কমাতে আলাদাভাবে কার্যকরী সেল গঠন করতে হবে এবং এজন্য প্রত্যেক পরিবার থেকে প্রতিমাসে ২০ টাকা হারে ট্যাক্স ধার্য্য করতে হবে। এই প্রকল্পটি ৫ থেকে ১০ বছরের কমূসূচী বলে বিবেচিত হবে, ৫. ফুটপাতকে দখলমুক্ত রাখতে গাছ লাগাতে হবে।
Leave a Reply