অনলাইন ডেস্ক
এলজিআরডি মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি ও ফরিদপুরের সংসদ সদস্য ইঞ্জিনিয়ার খন্দকার মোশাররফ হোসেন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন।আজ শুক্রবার দুপুরে এ তথ্য পাওয়া গেছে।
জানা গেছে, অন্যদের পরামর্শে করোনা পরীক্ষা করিয়েছিলেন ইঞ্জিনিয়ার খন্দকার মোশাররফ হোসেন। পরে ডাক্তাররা বলেছেন করোনা পজিটিভ। বর্তমানে স্বাস্থ্যবিধি মেনে বাসাতেই চিকিৎসা নিচ্ছেন তিনি।
খন্দকার মোশাররফ হোসেন ২০০৯ সাল থেকে টানা দুই মেয়াদে সরকারের মন্ত্রিসভার সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। প্রথম মেয়াদে তিনি সরকারের প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী ছিলেন। পরের মেয়াদে তাকে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী করা হয়।
স্থানীয় সরকার ও প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি) প্রতিষ্ঠায় তাঁর অবদান সর্বজন স্বীকৃত। জাতিসংঘের আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার (আইএলও) চিফ টেকনিক্যাল কনসালট্যান্ট পদে চাকরি নিয়ে তিনি ১৯৮০ সালে সিয়েরা লিওনে যান। সেখানে কাজের মাধ্যমে এতটাই স্থানীয়দের মন জয় করেন যে, এতে দেশটির সরকার খুশি হয়ে তাঁকে সম্মানজনক নাগরিকত্ব দেন। পরে উগান্ডাতেও সাফল্যের সঙ্গে একই দায়িত্ব পালন করেন খন্দকার মোশাররফ হোসেন।
১৯৪২ সালে ফরিদপুরের ঐতিহ্যবাহী একটি মুসলিম পরিবারে মাতুলালয়ে গেরদায় খন্দকার মোশাররফ হোসেন জন্মগ্রহণ করেন। মা রত্নাগর্ভা হাসিনা মমতাজ ও বাবা বিশিষ্ট সমাজসেবক খন্দকার নুরুল হোসেন নুরু মিয়া। ১৯৬৩ সালে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক ও ১৯৭৪ সালে যুক্তরাজ্যের স্ট্রেথক্লেইড ইউনিভার্সিটি থেকে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন।
তিনি যুক্তরাজ্যে বাংলাদেশি প্রবাসীদের অধিকার সংরক্ষণের লক্ষ্যে মহারাণী এলিজাবেথের সঙ্গে দুটি ফলপ্রসূ সভায় নেতৃস্থানীয় অংশগ্রহণকারী ছিলেন।
২০০৮ সালের ২৯ ডিসেম্বর জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ফরিদপুর সদর আসন থেকে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। পরে দশম ও একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনেও নৌকা প্রতীকে নিরষ্কুশ জয় পান তিনি।
প্রসঙ্গত, খন্দকার মোশাররফ হোসেন আত্মীয়তার সূত্রে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিয়াই হন। প্রধানমন্ত্রীর একমাত্র মেয়ে সায়মা ওয়াজেদ হোসেন পুতুল খন্দকার মোশাররফের ছেলে খন্দকার মাশরুর হোসেনের মিতুর স্ত্রী।
জোনাকী টেলিভিশন/ টি ভূইয়া/০৬-১৯-২০২০ইং
Leave a Reply