সৌদি আরবে অগ্নিদগ্ধ ছেলে দেশের বাকরুদ্ধ মা-বাবা। তাই প্রিয় সন্তানের মুখটি দেখার জন্য সরকারের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন পরিবারের সদস্যরা।
নরসিংদীর মনোহরদী উপজেলার বড়চাপা ইউনিয়নের উরুলিয়া গ্রামের আলী আকবরের ছেলে বোরহান। জীবনের ভাগ্যের চাকা ঘুরাতে প্রায় ৪ বছর পূর্বে সৌদি আরব পাড়ি দেয় বোরহান।
সৌদি আরবে রিয়াদ শহরের ইমামা কোম্পানিতে চাকুরী নেয় বোরহান। সেখানেই নিজ বাসস্থানে গুমন্ত অবস্থায় গত রবিবার (২৪ নভেম্বর) মারা যায় বোরহান।
নিহত বোরহানের চাচা আবু তাহের ছিদ্দিকী এ প্রতিনিধিকে জানান, বোরহানের পারিবারিক স্বচ্ছলতা আনতে প্রায় ৪ বছর আগে সৌদি আরবে পাড়ি দেয় বোরহান। ওখানে ৩ বছর চাকুরী শেষে ছুটি নিয়ে দেশে আসেন। দেশে এসে বিয়ে করে দুই মাস পর আবারও ফিরে যায় সৌদি।
অন্যান্য দিনের মতো গত রবিবার (২৪ নভেম্বর) রাতে প্রতিদিনের মতো কাজ শেষে বাসায় এসে রাতের খাবার শেষে সহকর্মীকে নিয়ে ঘুমিয়ে থাকেন বোরহান। কিন্তু ভাগ্যের কি নির্মম পরিহাস। এই ঘুমই হলো বোরহানের শেষে ঘুম। রাতে হঠাৎ এসির বৈদ্যুতিক সর্টসার্কিটের আগুন লেগে মুহুর্তেই পুরো ঘরে আগুনের লেলিহাল শিখা ছড়িয়ে পড়ে। মুহুর্তেই ঘুমন্ত অবস্থায়ই বোরহান উদ্দিন ও অপর সহকর্মী অগ্নিদগ্ধ হয়। কিন্তু কেউ এসে উদ্ধার করার আগেই তাদের মৃত্যু হয়।
অগ্নিদগ্ধের খবর পেয়ে বোরহানের গ্রামের প্রতিবেশী মহর আলী সৌদি ঘটনাস্থলে গিয়ে বোরহানের মরদেহ সনাক্ত করেন। বাংলাদেশে তার পরিবারকে নিহতের খবর জানান মহর আলী। এদিকে নব বিবাহিতা বোরহানের স্ত্রী লিজা স্বামীর এই অকাল মৃত্যুতে বার বার মুর্ছা যায়। স্বামীর কথা বলতে গিয়ে বলেন বিয়ের মাত্র ২মাস ঘর সংসার করেছি। এরই মধ্যে স্বামীকে আল্লাহ নিয়ে গেলো। আমি শেষবারের মতো তার মুখটা দেখতে চাই। তাই তার মরদেহটি দেশে আনার জন্য সরকারের হস্তক্ষেপ কামনা করি।
অপরদিকে প্রিয় সন্তান বোরহানকে অকালে হারিয়ে বার বার জ্ঞ্যান হারিয়ে ফেলেন বাবা-মা। প্রিয় সন্তানের মুখটি দেখতে সরকারের দ্রæত সহযোগিতা চায় সৌদি আরবে অগ্নিদগ্ধ হয়ে নিহত বোরহানের পরিবার।
Leave a Reply