নিজস্ব প্রতিবেদক
নানা ধরনের হয়রানি ও উপজেলার এক শ্রেণির অসাধু কর্মকর্তাদের রমরমা বাণিজ্যের কারণে স্থগিত করা হয়েছে শিক্ষার্থীদের ইউনিক আইডি কার্ডের তথ্য সংগ্রহের কার্যক্রম।
বুধবার (২৬ মে) বাংলাদেশ শিক্ষা তথ্য ও পরিসংখ্যান ব্যুরোর (ব্যানবেইস) অধীনে এস্টাবলিশমেন্ট অব ইন্টিগ্রেটেড এডুকেশন ইনফরমেশন ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম (আইইএমএস) প্রকল্প পরিচালক প্রফেসর মো. শামছুল আলম স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, কোভিড-১৯ পরিস্থিতির কারণে শিক্ষার্থীদের ইউনিক আইডি প্রদান সংক্রান্ত বিষয়ে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে হাজির করার মাধ্যমে তথ্য ছক সরবরাহ এবং শিক্ষা প্রতিষ্ঠান কর্তৃক নির্ধারিত সময়ের মধ্যে অনলাইন জন্ম সনদ জমা প্রদান সংক্রান্ত নোটিশ জারির মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের মাঝে স্বাস্থ্য ঝুঁকিসহ শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের ভোগান্তির সৃষ্টি হচ্ছে।
তাই ২৬ মে থেকে আঞ্চলিক পরিচালক ও জেলা শিক্ষা অফিসের সঙ্গে অনুষ্ঠিত সভায় প্রাপ্ত মতামতের আলোকে আইইএমএস প্রকল্পের মাধ্যমে তথ্য ছক পূরণ এবং ডাটা এন্ট্রি সংক্রান্ত বিষয়ে শিক্ষকদের প্রশিক্ষণ প্রদান সমাপ্ত না হওয়া এবং শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পাঠদান কার্যক্রম শুরু না হওয়া পর্যন্ত তথ্য ছক পূরণ কার্যক্রম আপাতত স্থগিত রাখা হলো।
এতে আরও বলা হয়, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের পাঠদান কার্যক্রম শুরুর পর ইউনিক আইডি প্রদান সংক্রান্ত তথ্য ছক পূরনের কার্যক্রম পর্যায়ক্রমে গ্রহণ করা যেতে পারে। তথ্য ছক পূরণের সময়সীমা পরবর্তীতে সংশ্লিষ্ট সবাইকে অবহিত করা হবে।
জানা যায়, শিক্ষার্থীদের কাছে ১৫ ধরনের তথ্য চাওয়া হয়েছে। তথ্য দিতে গিয়ে শিক্ষার্থীরা নানা ধরনের হয়রানির শিকার হচ্ছে। এক শ্রেণির কর্মকর্তা এটাকে পুঁজি করে ৫০০ থেকে ১০০০ পর্যন্ত টাকা দাবি করছেন। এ কারণে ইউনিক কার্যক্রম স্থগিত করা হয়েছে বলে জানা গেছে।
Leave a Reply