নিজস্ব প্রতিবেদক
স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে রায়পুরা পৌরসভা দ্বিতীয়বারের মতো বেসরকারী ফলে নির্বাচিত হলেন বর্তমান পৌর মেয়র জামাল মোল্লা। বিগত নির্বাচনে তিনি স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে নির্বাচনে জয়লাভ করেন। রবিবার (২৬ ডিসেম্বর) উৎসবমুখর পরিবেশে শান্তিপূর্ণভাবে রায়পুরা পৌর নির্বাচনে মোবাইল প্রতীক নিয়ে বিপুল ভোটের ব্যবধানে মেয়র নির্বাচিত হন স্বতন্ত্র প্রার্থী জামাল মোল্লা।মোবাইল প্রতীকে তার প্রাপ্ত ভোট সংখ্যা ৭ হাজার ৮০৪ ভোট।
নির্বাচনে মেয়র পদে ৫ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বীতা করেন। তবে লড়াইটা হয় স্বতন্ত্র প্রার্থী জামাল মোল্লার মোবাইল ও নৌকার মধ্যে।
আনন্দঘন ও উৎসবমুখর পরিবেশে রায়পুরা পৌরসভায় সকাল ৮টায় ভোট গ্রহণ শুরু হয় কোনো বিরতি ছাড়া তা চলে একটানা ৪টা পর্যন্ত। ভোটগ্রহন কেন্দ্রে কেন্দ্রে সকল প্রার্থীদের নিয়োগকৃত এজেন্টদের উপস্থিতিতে ভোট গণনা করা হয়।
রায়পুরা পৌরসভায় মেয়র পদে প্রতিদ্বন্দ্বীতা করেন ৫ জন। পাঁচজন। ৯টি সাধারণ ওয়ার্ডে কাউন্সিলর পদে
৩০ জন এবং ৩টি সংরক্ষিত মহিলা ওয়ার্ডে কাউন্সিলর পদে ৯ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বীতা করেন। রায়পুরা পৌরসভায় মোট ভোটার সংখ্যা ২৬ হাজার ৫১৫ জন। এর মধ্যে ১২৯৫০ জন পুরুষ এবং ১৩৫৬৭ জন মহিলা ভোটার। পৌর এলাকার ৯টি ওয়ার্ডে ৯টি ভোট কেন্দ্রে ভোট কক্ষের সংখ্যা ৮৩টি। নির্বাচনকে অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ করতে ৯ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট দায়িত্ব পালন করেন।
নির্বাচনে মোবাইল প্রতীক নিয়ে ৭ হাজার ৮০৪ ভোট পেয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী জামাল মোল্লা বিজয়ী হন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে নৌকা প্রতীকে আওয়ামী লীগ দলীয় প্রার্থী মো মাহবুব আলম শাহীন পেয়েছেন ৫ হাজার ২৬১ ভোট। এছাড়া অন্যান্যদের মধ্যে স্বতন্ত্র প্রার্থী মো আব্দুল কুদ্দুস(নারিকেল গাছ)পান ৪ হাজার ৭৭২ ভোট। স্বতন্ত্র প্রার্থী মো আনোয়ার হোসেন(জগ) প্রতীকে ১ হাজার ৬৯ ভোট। ইসলামি আন্দোলন বাংলাদেশ’র প্রার্থী হাতপাখা প্রতীকে ৩৯০ ভোট পান।
দুই একটি তুচ্ছ ঘটনা ছাড়া মোটামুটি শান্তিপূর্ণ ও সুষ্ঠু পরি ভোটগ্রহণ হয়। সকাল ৮টায় ভোটগ্রহণ শুরুর পর বিভিন্ন কেন্দ্রে তীব্র শীত উপেক্ষা করেই ভোটারদের উপস্থিতি ছিলো লক্ষণীয়। দীর্ঘ লাইনে দাঁড়িয়ে সারিবদ্ধ ভাবে সুন্দর পরিবেশে প্রথমবারের মতো ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) এ ভোট দিয়েছেন পৌর এলাকার ভোটাররা। প্রথমবার ইভিএমে ভোট দিতে পেরে অনেকেই খুশি।
কেন্দ্রগুলোতে পুরুষ ভোটারের চেয়ে নারী ভোটারদের উপস্থিতি ছিলো লক্ষণীয়। পৌরসভার জন্য মেয়র, সাধারণ কাউন্সিলর ও সংরক্ষিত কাউন্সিলর পদে নতুন প্রতিনিধি বেছে নিতে প্রথমবারের মতন ইভিএম এ ভোট দেন সাধারণ ভোটাররা।
করোনা সংক্রমনের বিষয় মাথায় রেখে স্বাস্থ্যবিধি মেনে ভোটগ্রহণে কথা থাকলেও সর্বক্ষেত্রেই তা উপেক্ষিত হয়েছে।
পুলিশ ও আনসার ছাড়াও নির্বাচনে বিজিবি, র্যাব আইনশৃঙ্খলা রক্ষার দায়িত্ব পালন করেন।
নাজমা আক্তার নামের একজন ভোটার ইভিএম এ ভোট দিয়ে তার অভিব্যপ্তি প্রকাশ করে জানান, ব্যালটে ভোট দেওয়ার থেকে ইভিএমে ভোট প্রদান মজা আলাদা, খুব তাড়াতাড়ি করে আমরা ভোট দিতে পেরেছি।
খন্দকার শাহ নেওয়াজ নামের অপর এক ভোটার জানান, আমাদের ভোট দিতে কোনো রকম সমস্যা হয়নি। আমরা স্বাছন্দ্য মতন ভোট দিতে পেরেছিহ কোনো বাধা ছাড়াই আমরা কেন্দ্রে এসে ভোট দিতে পেরেছি।
জেলা সিনিয়র নির্বাচন কর্মকর্তা মো মেজবাহ্ উদ্দিন জানান, সকাল আটটা থেকে শান্তিপূর্ণভাবে ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে একটানা ৪ টা পর্যন্ত ভোট গ্রহণ চলে। একটি কেন্দ্র ছাড়া কোথাও কোনও অপ্রীতিকর ঘটনার খবর পাওয়া যায়নি। সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ ভোট গ্রহণের জন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীসহ নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্যাটরা প্রস্তুত ছিলো।
Leave a Reply