1. mostafa0192@gmail.com : admin2024 :
  2. arswaponbd6@gmail.com : বার্তা বিভাগ : বার্তা বিভাগ
বৃহস্পতিবার, ১০ জুলাই ২০২৫, ১১:২৩ অপরাহ্ন

“স্বপ্নের ঠিকানা” য় মানবেতর ঈদ উদযাপন

নাসিম আজাদ
  • আপডেট টাইম : শুক্রবার, ২৩ জুলাই, ২০২১
  • ৩৪১ বার পঠিত

পলাশ (নরসিংদী) প্রতিনিধি

” আশ্রয়নের অধিকার, শেখ হাসিনার উপহার ” এই শ্লোগানকে সামনে রেখে মুজিব শতবর্ষে নরসিংদীর পলাশ উপজেলার ভিটে বাড়িহীন অসহায় হত-দরিদ্র মানুষ শেখ হাসিনার উপহারের ঘর পেয়ে মহা খুশি। তাদের কাছে যেন ঘরগুলো” স্বপ্নের ঠিকানা”। কিন্তু “স্বপ্নের ঠিকানা” য় তেমন ভালো কাটেনি কোরবানির ঈদের এই দিনটি।

বুধবার (২১ জুলাই) ঈদের দিন বিকেলে পলাশ উপজেলার জিনারদী ইউনিয়নের মাঝেরচর আশ্রায়ণ প্রকল্প ঘুরে দেখা যায়, আশ্রয়ণ প্রকল্পের নতুন ঘরে প্রথম কোরবানির ঈদ উদ্‌যাপন করছেন সুবিধাভোগীরা। প্রধানমন্ত্রী উপহার দেওয়া জমিতে বা বাড়িতে থাকা মানুষগুলোর ঈদের দিনটি ছিল অন্যান‍্য বছরগুলোর চেয়ে একটু আলাদা। নতুন বাড়িতে ঈদ উদ্‌যাপন করেছেন, নরসিংদীর পলাশ উপজেলার জিনারদী ইউনিয়নের মাঝেরচর এলাকার আশ্রয়ন প্রকল্পের বাসিন্দারা।

আশ্রয়ণ প্রকল্পের মানুষের আনন্দ বাড়িয়ে দিতে স্থানীয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে কোন উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়নি বলে জানিয়েছেন বাসিন্দারা।
রহিমা বেগম নামে আশ্রায়ণ প্রকল্পে একজন বাসিন্দা বলেন, ‘আমদের কোন ঘর ছিলোনা প্রধামন্ত্রীর দেয়া ঘরে কোরবানির ঈদ উদযাপন করতে পেরেছি। আমাদের একটি স্থায়ী ঠিকানা হয়েছ, সেই জন্য প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ধন্যবাদ।’

কাজল মিয়া ও হাবিবুর রহমান জানান, করোনার কারণে তারা কাজ হারিয়ে বেকার দির যাপন করছে। কোরবানী দেওয়া সামর্থ‍‍্য নেই তাই আমাদের গোস্তের জোগান হয়নি।
তারা বলেন, গতকাল (ঈদের আগেরদিন) স্থানীয় জিনারদী ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান প্রফেসর কামরুল ইসলাম গাজী আমাদেরকে ঈদ উপলক্ষে চাউল, ডাউল, তৈল, সেমাইসহ ঈদ সামগ্রী দিয়েছেন। তাতেই আমরা খুশী।

ফাতেমা বেগম নামে অপর এক বাসিন্দা বলেন, কোনদিন ভাবিনি নিজের ঘরে ঈদ করতে পারবো। চেয়ারম্যান কামরুল ইসলাম গাজী আমাদের দিকে খুব খেয়াল রাখে। তবে এই কোরবানির ঈদ উপলক্ষে উপজেলা প্রসাশনের পক্ষ থেকে আমাদের কোন খোঁজ খবর নেওয়া হয়নি।

সুমতো বেগম নামে আরেক বাসিন্দা জানান, সন্তানদের মুখের দিকে তাকিয়ে যারা মানুষের বাড়ি থেকে অল্প অল্প গোসত চেয়ে এনেছে তাদের একজনের বাড়ী থেকে ৫ শ’টাকা করে ২ কেজি গোসত কিনে এনেছি। তার ঘরে চাল ছিলনা বলে সে আমার কাছে ওই ২ কেজি গোসত বিক্রি করেছে। ঈদে আমাদের জন্য গোস্তের ব্যবস্থা থাকলে ভালো হতো।

এব্যপারে স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান প্রফেসর কামরুল ইসলাম গাজী জানান, ঈদের আগের দিনই তাদের জন্য কিছু ঈদ সামগ্রী দিয়েছি। গোস্তের বিষয়টি মাথা ছিলনা আগামী কোরবানির ঈদ থেকে সেটারও ব‍্যবস্থা করা হবে।

নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর..
© All rights reserved © 2019 Jonaki Media and Communication Limited
Design By Khan IT Host