এস.এম ইসাহক আলী রাজু, নাটোর জেলা প্রতিনিধি:
বঙ্গবন্ধুর দিক নির্দেশনায় ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধে মুক্তিযোদ্ধারা জীবন বাজি রেখে দেশের জন্য যুদ্ধ করেছিলেন। মুক্তিযোদ্ধারা এদেশ স্বাধীন না করলে আজও এদেশের মানুষকে পাকিস্তানের গোলামী করতে হতো। বড় কর্মকর্তা, এমপি, মন্ত্রী তো দুরের কথা একজন কর্মচারীও হতে পারতাম না।
উপস্থিত মুক্তিযোদ্ধাদের উদেশ্যে অনুষ্ঠানের প্রধান আতিথি নাটোর-৪ আসনের সাংসদ ও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা অধ্যাপক মোঃ আব্দুল কুদ্দুস এসব কথা বলেন।
এসময় তিনি আরো বলেন, সকল মুক্তিযোদ্ধা, শিক্ষক অবিভাবকসহ উপস্থিত সকল শ্রেণি পেশার মানুষকে মহান স্বাধিনতার চেতনা ও বঙ্গবন্ধুর আবদানকে প্রত্যেক পরিবারের ছেলে মেয়েসহ নতুন প্রজন্মকে অবহিত করে দেশের উন্নয়ন ও অগ্রগতিতে জননেত্রী শেখ হাসিনার অবদান তুলে ধরার আহবান জানান।
সোমবার (২১ মার্চ) বিকেলে গুরুদাসপুর উপজেলা চত্বরে মুক্তির উৎসব ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সমাবেশ ও আনন্দ র্যালি অনুষ্ঠিত হয়। সমাবেশ শুরুর আগে গুরুদাসপুরের বীর মুক্তিযোদ্ধারা লাল সবুজের গেন্জি, ক্যাপ ও জাতীয় পতাকা হাতে মিনি ট্রাকে করে উপজেলা চত্বর থেকে পৌর শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করেন। শেষে স্মৃতি সৌধের পাদদেশে বীর মুক্তি যোদ্ধাদের বিরত্ব গাঁধা কাহিনী শোনার পর এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
গুরুদাসপুর উপজেলা প্রশাসন কতৃক আয়োজিত সমাবেশ ও আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ তমাল হোসেন।
এসময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মোঃ আলাল শেখ, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যা রোকাসানা আকতার লিপি উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. আবু রাসেল, উপজেলা মুক্তিযোদ্ধাগণসহ নানা শেণি পেশার মানুষ।
এছাড়া মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য এই বিশেষ আয়োজন করায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানান মুক্তিযোদ্ধারা এবং গুরুদাসপুর উপজেলা প্রশাসনকেও সুন্দর আয়োজনের জন্য ধন্যবাদ জানান।
Leave a Reply