জয়পুরহাট জেলা প্রতিনিধিঃ
জয়পুরহাটের কালাইয়ে শামছদ্দিন হত্যা মামলার আসামি জামিনে মুক্তি পাওয়ার পরে নিহতের বাড়িতে পেট্রোল ঢেলে আগুন দিয়ে নিহতের পরিবারের সদস্যদের পুড়িয়ে হত্যা চেষ্টা করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। শুক্রবার দিবাগত গভীর রাতে কালাই উপজেলা মাত্রাই কুসুমসারা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
মাহবুবুর রহমান নিহত শামছদ্দিনের বড় ছেলে ও পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা বলেন, ‘বাড়িতে যখন দাউ দাউ করে আগুন জ্বলছিল। তখন আমাদের আত্মচিৎকারে প্রতিবেশীরা এগিয়ে এসে ফায়ার সার্ভিসকে খবর দিলে ফায়ার সার্ভিসের সহযোগিতায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হয়। আমাদের নিরাপত্তা নেই, আমার বাবাকে হত্যা করেছে, এখন বিভিন্ন ভাবে আমাদের ক্ষতি করা থেকে শুরু করে হত্যারও চেষ্টা করছে। দ্রুত তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি পরিবারের ।’
শামছদ্দিন হত্যার মামলার প্রধান আসামী সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘এ ঘটনার সাথে আমি বা আমরা কেউ জড়িত নয়। আমাদের বিরুদ্ধে মামলা করলে কিছু করার নেই। আমরা আইনের মাধ্যমে মোকাবেলা করবো।’
নিহত শামছদ্দিনের পরিবার জানায়, ২০১৯ সালের ৩০ আগস্ট রাত সাড়ে ৮টার দিকে স্থানীয় একটি প্রাথমিক স্কুলের বেড়া দেওয়াকে কেন্দ্র করে উপজেলা আওয়ামী সেচ্ছাসেবকলীগের সদস্য ও স্থানীয় ওয়ার্ড কমিটির সভাপতি মাহবুবুর রহমান মাবুদের বাবা শামছদ্দিনকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করা হয়। এ হত্যায় স্থানীয় ১৩ জনের নামে আসামী ও অজ্ঞাত আরও ১৫-২০ জনকে আসামী করে কালাই থানায় মামলা করা হয়। মামলার কয়েক মাস পর আসামীরা বিভিন্ন সময়ে জামিনে মুক্তি পায়। তারপর থেকে নিহতের পরিবারকে নানা ভাবে হুমকি দিয়ে আসছিল ওই মামলার আসামীরা। এরই জের ধরে শুক্রবার দিবাগত রাত দেড়টার দিকে একদল দুর্বৃত্ত বাড়ির ভেতরে প্রবেশ করে ঘরের দরজায় ছিকল দিয়ে জানালা ভেঙ্গে পেট্রোল ঢেলে আগুন দেয়। এতে দুটি ঘরের আসবাবপত্র সহ সব পুড়ে যায়। তাৎক্ষণিক পরিবারের সদস্যদের চিৎকারে স্থানীয়রা এগিয়ে এসে ফায়ার সার্ভিসকে খবর দিলে––– স্থানীয়রা ও ফায়ার সার্ভিসের সহযোগিতায় আগুন নেভানো হয়।
কালাই থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আব্দুল মালেক বলেন, ‘মাত্রাই এলাকায় একটি বাড়িতে অগ্নিসংযোগের ঘটনার খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। আমাদের কাছে এখনো কোন প্রকার লিখিত অভিযোগ আসেনি, অভিযোগ পেলেই প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
Leave a Reply