1. mostafa0192@gmail.com : admin2024 :
শুক্রবার, ১১ অক্টোবর ২০২৪, ০২:০৩ পূর্বাহ্ন

হাঁপানী বা এ্যাজমা চিকিৎসা

রিপোর্টারের নাম
  • আপডেট টাইম : বৃহস্পতিবার, ৬ ফেব্রুয়ারি, ২০২০
  • ২৪৪ বার পঠিত
ডা.মুহাম্মাদ মাহতাব হোসাইন মাজেদ
হাঁপানী একটি দুরারোগ্য ব্যাধি,এ্যাজমা  হচ্ছে ক্রনিক এবং জীবনসংশয়ী মারাত্মক একটি ফুসফুসের রোগ, আমাদের দেশে হাঁপানি রোগ হিসাবে পরিচিত,এই রোগে সাধারণত কাশির সাথে বুকে ঘড়ঘড় শব্দ এবং শ্বাসকষ্ট অনুভূত হয়ে থাকে।পাক-ভারত উপমহাদেশে এটি অতি প্রাচীন রোগ।চিকিৎসা বিজ্ঞানের ইতিহাসে উনবিংশ শতাব্দীর প্রথম দিকে এই রোগটি সম্পর্কে প্রথম ধারনা পাওয়া যায়।বর্তমানে একবিংশ শতাব্দীর দ্বারপ্রান্তে এসে পর্যাপ্ত গবেষণা ও পরিক্ষা নিরীক্ষার পর ও এলোপ্যাথিতে হাঁপানীর কোন স্থায়ী চিকিৎসা আজো আবিস্কৃত হয়নি,  রোগটিকে শুধু  চিকিৎসার মাধ্যমে নিয়ন্ত্রণ রাখা যায় কিন্তু হোমিওপ্যাথি চিকিৎসার মাধ্যমে সেটিকে পূর্ণ আরোগ্য করা যায়। আজ  হাঁপানী নিয়ে কলাম লিখেছেন,বাংলাদেশের বিশিষ্ট হোমিও গবেষক ডা.এম এ মাজেদ, তার প্রবন্ধে লেখেন..  আমাদের দেশের হাঁপানির  সঠিক কোন পরিসংখান জানা না থাকলেও আমেরিকায় প্রায় ২০ মিলিয়ন মানুষ অ্যাজমায় ভুগছেন। তাদের মধ্যে ১০ মিলিয়নই (এর মধ্যে তিন মিলিয়ন শিশুও আছে) ভুগছেন অ্যালার্জিজনিত অ্যাজমায়। তাই বলা যায় আমাদের দেশেও অ্যাজমার প্রকোপ কম নয়। বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গেছে, সঠিক ও নিয়মিত চিকিৎসা ও পরিকল্পিত জীবনযাপনের মাধ্যমে এ রোগীরা অ্যাজমার তীব্রতা থেকে রক্ষা পেতে পারেন।
আবার পৃথিবীর মধ্যে বেশ কিছু দ্বীপে এই রোগের প্রকোপ খুব বেশি,যেমন -এিস্তা- দে-কুনে নামক দ্বীপ এর বাসিন্দাদের মধ্যে শতকরা প্রায় ৪৬ ভাগের ও বেশী মানুষ এই রোগের শিকার ছিল,আর একটি দ্বীপ যার নাম করিলিস্কি সেখানে ও প্রায় শতকরা ২০ থেকে ৬০ ভাগ মানুষ এই রোগে ভুগে থাকে। অনুরুপে পৃথিবীতে অনেক দেশে আছে যেখানে এই রোগীর হার খুবই কম যেমন -জাম্বিয়া,নাইজেরিয়া,কেনিয়া ইত্যাদি।
হাঁপানী এমন একটি দুরারোগ্য ব্যাধি যাতে একবার আক্রান্ত হলে দুঃসহ যন্ত্রণা নিয়ে রোগীকে সারা জীবন কাটাতে হয়,হাঁপানী রোগে আক্রান্ত ব্যক্তি কখনো সামাজিক বা পারিবারিক আনন্দ উল্লাসে যোগদান করতে পারে না,পারে না কোন পরিশ্রমের কাজে অংশ নিতে, তাকে অনেক সময় গৃহবন্দী অবস্থা দিন কাটাতে হয়। অধিকাংশ রোগীর ক্ষেএেই ঠান্ডা আবহাওয়া অত্যন্ত বিপজ্জনক। বর্ষার ঠান্ডায়, শীতের ঠান্ডায় রোগ বৃদ্ধি পায়। বিশেষ করে ব্রংকিয়াল হাঁপানী শীতকালে বাড়ে। শীতের ঠান্ডা রোগীর অসহ্য। শীতকালে নাকে একটুখানি ঠান্ডা বাতাস বা কুয়াশা প্রবেশ করলেই প্রথমে হাঁচি নাকঝরা ও পরে শ্বাসকষ্ট দেয়া দেয়।বর্ষা কালে দু এক ফোটা বৃষ্টির পানি গায়ে পড়লে, খোলা জানালার পাশে রাতে ঘুমালে, ভেজা বাতাসে ভ্রমণ করলে রোগ লক্ষণ বৃদ্ধি পায়
★এ্যাজমার ২ প্রকারঃ-
* একিউট এ্যাজমাঃ-তীব্রতা অনুসারে এ্যাজমা-  তীব্র হাঁপানি এতে ফুসফুসের বায়ুবাহী নালীসমূহ আকস্মিকভাবে সংকুচিত হয় ও শ্বাস প্রশ্বাসে কষ্টের সৃষ্টি করে।
 * ক্রনিক এ্যাজমাঃ-দীর্ঘমেয়াদী হাঁপানি এতে ঘন ঘন এ্যাজমায় আক্রান্ত হয় এবং রোগ নিয়ন্ত্রণে ও প্রতিরোধে চিকিৎসার প্রয়োজন পড়ে।
★কারণ -* এলার্জিক এ্যাজমা  সাধারণত কোন এলার্জেন বা এন্টিজেন নিঃশ্বাসের মাধ্যমে ফুসফুসে ঢুকলে আমাদের ইমিউন সিস্টেম-এর বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলে। যেমন- ফুলের রেণু, বিভিন্ন প্রাণীর লোম, মাইট ও ধুলাবালি ইত্যাদি। ফলশ্রুতিতে স্বাভাবিক শ্বাস-প্রশ্বাস বাধাগ্রস্ত হয় ও হাপানী দেখা দেয়। একে এটোপিক এ্যাজমা বা এলার্জিক এ্যাজমাও বলা হয়।
* নন এলার্জিক এ্যাজমা এ ধরনের এ্যাজমা এলার্জি ঘটিত নয় বরং ধূমপান, রাসায়নিক দ্রব্য, জীবাণুর সংক্রমণ, মানসিক চাপ, অট্টহাসি, অধিক ব্যায়াম, এস্পিরিন জাতীয় ঔষধ সেবন, খাদ্য সংরক্ষণকারী উপাদান, পারফিউম, অত্যাধিক ঠান্ডা, গরম, আর্দ্র ও শুষ্ক বাতাসের কারণে দেখা দেয়।
★বিভিন্ন প্রকারের এ্যাজমাঃ-
* মিশ্র এ্যাজমাঃ-এক্ষেত্রে রোগী পূর্বোক্ত এলার্জিক ও নন-এলার্জিক দু’ধরনের এ্যাজমাতেই ভোগেন। কিছু কিছু ক্ষেত্রে প্রকোপ বেড়ে যায়।
* রাত্রিকালীন এ্যাজমাঃ-এ ধরনের হাঁপানি রাতের বেলা, বিশেষতঃ রাত ২ টা থেকে ৪ টার মধ্যে আক্রমণ করে। রোগীর শারীরিক দুর্বলতার জন্য রাতে তাড়াতাড়ি ঘুমিয়ে পড়ে। এমনকি দিনের বেলায় স্বল্পকালীন নিদ্রা যায়। রাত্রিকালীন এ্যাজমা গুরুত্বের সহিত নেয়া উচিত কারণ এ ক্ষেত্রে রেসপিরেটরী এরেস্ট হয়ে রোগীর মৃত্যু ঘটে।
* ব্রঙ্কিয়াল এ্যাজমাঃ-এটি মূলত: এক ধরনের এলার্জিক রিএ্যাকশন যাতে শ্বাসকষ্ট ও বুকে সাঁই সাঁই শব্দ হয়। শ্বাসনালীর চারপাশের পেশী ও মিউকাস মেমব্রেনসমূহের সংকোচন দেখা দেয়। শ্বাসনালীর সংক্রমণ, বায়ুবাহিত এলার্জেন, খাদ্যের এলার্জেন ও অত্যধিক মানসিক চাপ এর প্রধান কারণ।* কার্ডিয়াক এ্যাজমাঃ-
হৃদপিন্ড যখন তার স্বাভাবিক রক্ত সংবহন হারিয়ে ফেলে তখন পালমোনারি ইডিমা বা ফুসফুসে পানি জমে বায়ুনালীকে সংকুচিত করে ফেলে এবং হাঁপানি সৃষ্টি হয়। এটি অত্যন্ত মারাত্মক। ঘুমানোর কয়েক ঘণ্টা পর এটি আক্রমণ করে কারণ শুয়ে থাকলেই ফুসফুসে পানি জমে। শ্বাসকষ্টে রোগীর ঘুম ভেঙ্গে যায় এবং কিছুক্ষণ বসে থাকার পর ধীরে ধীরে স্বাভাবিক হয়।
* ব্যায়ামজনিত এ্যাজমাঃ-এ ধরনের এ্যাজমা ব্যায়ামকালীন সময়ে অথবা ব্যায়ামের কিছুক্ষণ পর থেকে শুরু হয়। বিশেষতঃ শীতকালে এ ধরণের সমস্যা বেশি হয়।
* পেশাগত এ্যাজমাঃ-অকুপেশনাল বা ইন্ডাস্ট্রিয়াল এ্যাজমা সাধারণত: চাকরি নেবার কয়েক মাস থেকে শুরু করে কয়েক বছরের মধ্যে দেখা দেয়। সাধারণত কর্মস্থল ত্যাগ করার সাথে সাথে বা ছুটিতে থাকাকালীন সময়ে লক্ষণসমূহ কমে যায়। ‘স’ মিলের গুড়া, রাসায়নিক ধোঁয়া, সর্বদা ধুলাবালিযুক্ত পরিবেশ, সিমেন্ট কারখানা, গার্মেন্টস ফ্যাক্টরী, আটা ও মসলার মিল, রাইস মিল, জুট মিল, স্পিনিং মিল, রংয়ের কারখানা, রাসায়নিক সার কারখানা, ফটোকপি মেশিন, ড্রাইভিং, পোল্ট্রি ফার্ম, বেডিং স্টোর ইত্যাদিতে কর্মরত শ্রমিকরা এ ধরনের হাপানিতে বেশি আক্রান্ত হন।
* মওসুমি এ্যাজমাঃ-মওসুমি এ্যাজমা সাধারণত: বিশেষ ঋতুতে দেখা দেয়। যেমন- কারো কারো গরমে এ্যাজমা বাড়ে, কারো ক্ষেত্রে নির্দিষ্ট ফুল বাগানে এ্যাজমা বাড়ে। গাছ, ঘাস, ফুলের রেণু ইত্যাদিতেও এ্যাজমা বাড়ে।
* নীরব এ্যাজমাঃ-এ ধরনের হাঁপানির আক্রমণ অত্যন্ত  ভয়াবহ ও জীবনের জন্য হুমকি স্বরূপ। কোনরূপ পূর্ব লক্ষণ ছাড়াই বা বুকে হালকা শব্দ করেই আক্রমণ করে।
* কফ ভেরিয়েন্ট এ্যাজমাঃ-এ ধরনের এ্যাজমা দীর্ঘমেয়াদী ও বিরক্তিকর কাশিযুক্ত হয়ে থাকে।
★এ্যাজমা রোগীর প্রাথমিক লক্ষণঃ-
 *বুকে সাঁই সাঁই বা বাঁশির মত শব্দ হওয়া, *শ্বাস কষ্ট হওয়া,*বুকে চাপ অনুভব করা,
 *দীর্ঘ মেয়াদী কাশিতে ভুগতে থাকা, *ব্যায়াম করলে শ্বাসকষ্ট বেড়ে যাওয়া,★সাধারন লক্ষণসমূহঃ*শীতকালে শ্বাসকষ্ট বেড়ে যাওয়া
* ঘন ঘন শ্বাস-প্রশ্বাস নেওয়া, * কাশির সাথে কফ নির্গত হওয়া,* গলায় খুসখুস করা ও শুষ্কতা অনুভব করা,* রাতে কাশি বেড়ে যাওয়া
 *নাড়ীর গতি দ্রুত হওয়া,*কথা বলতে সমস্যা হওয়া,*সর্বদা দুর্বলতা অনুভব করা,*দেহ নীল বর্ণ ধারণ করা।
★ এ্যাজমা রোগীকে  কিছু পরামর্শ মেনে চলতে হবেঃ-১- বিছানা ও বালিশ প্লাস্টিকের সিট দিয়ে ঢেকে নিতে হবে বা বালিশে বিশেষ ধরনের কভার লাগিয়ে নিতে হবে।২-ধুলো ঝাড়াঝাড়ি করা চলবে না।৩-ধোঁয়াযুক্ত বা খুব কড়া গন্ধওয়ালা পরিবেশে থাকা চলবে না।৩-আলো-হাওয়া যুক্ত, দূষণমুক্ত খোলামেলা পরিবেশ থাকা দরকার। কারণ স্যাঁতস্যাঁতে জায়গায় ফাঙ্গাল স্পোর অনেক সময় হাঁপানির কারণ হয়।৪- হাঁপানি রোগীর আশেপাশে ধূমপান বর্জনীয় ও মশার কয়েল জ্বালানো যাবে না।৫- অতিরিক্ত পরিশ্রমের জন্যও হাঁপানি রোগীরা শ্বাসকষ্টে আক্রান্ত হয়ে থাকেন। তাই নিজের শরীরের অবস্থা বুঝে পরিশ্রমের ঝুঁকি নেয়া উচিত।৬ -হালকা খাওয়া-দাওয়া করা উচিত যাতে হজমের কোনও অসুবিধে না হয়। কারণ, বদহজম এবং অম্বল থেকেও হাঁপানি হতে পারে। যে খাবারে এ্যালার্জি আছে তা বর্জন করে চলতে হবে।৭-প্রয়োজনে স্থান ও পেশা পরিবর্তন করতে হবে। শুধু নিয়ম মেনে চললেই এই ধরনের রোগীর শতকরা পঞ্চাশ ভাগ ভাল থাকেন।
হাঁপানি রোগীর খাদ্য ও পথ্য
★ এ্যাজমা রোগীর খাবারঃ-১-কুসুম গরম খাবার।
  ২- মওসুমি ফলমূল।৩-ছাগলের দুধ (তেজপাতা, পুদিনা ও কালোজিরা সহ)।৪- আয়োডিন যুক্ত লবণ ও সৈন্ধব লবণ।৫-মধু, স্যুপ, জুস।
  ৬-কালোজিরার তেল৭-আদা ও পুদিনার চা।
★এ্যাজমা রোগীর নিষিদ্ধঃ- ১- মিষ্টি দধি ও মিষ্টান্ন২-ফ্রিজের কোমল পানীয়৩-আইসক্রীম, ফ্রিজে রাখা খাবা ৪-ইসুবগুল ও গ্রেবী জাতীয় খাবার ৫-কচুর লতি, তিতা জাতীয় খাবার ৬-পালং শাক ও পুই শাক, মাসকলাই, মাটির নীচের সবজি যেমন-গোল আলু, মিষ্টি আলু, শালগম, মুলা, গাজর ইত্যাদি। এছাড়াও ইলিশ মাছ, গরুর গোশত, চিংড়ী মাছ ৭-পাম অয়েল, ডালডা ও ঘি।
 ৮-অধিক আয়রনযুক্ত টিউবঅয়েলের পানি।
★ এ্যাজমা  রোগী যেই সব জামা কাপড় পরিধানও ব্যবহার করবেঃ- ১-কটন জাতীয় নরম ঢিলে-ঢালা পোশাক পরিধান করতে হবে।
২-সিল্ক, সিনথেটিক, পশমি কাপড় পরিধান না করাই উত্তম।৩ পাতলা বালিশ ও নরম বিছানায় শোয়া উচিত।৪-বাসস্থান শুষ্ক ও পর্যাপ্ত সূর্যের আলো-বাতাস সম্পন্ন হওয়া উচিত।
★এ্যাজমা কারণ-তত্ত্বঃ-
অত্যন্ত শুষ্ক, উত্তপ্ত বা কলুষিত এবং জলীয় বাষ্পপূর্ণ আবহাওয়া ইহার কারণ মধ্যে গণ্য । বংশগত অর্থাৎ পূর্বপুরুষগণের এই ব্যাধি, এই রোগৎপত্তির একটি প্রধান কারণ । ধুলা, অশ্বগবাদির দেহের গন্ধ বা পুস্পের রেনুযুক্ত বায়ু অথবা খাদ্য বিশেষের সংক্ষুব্ধতাবশতঃ তদ্বারা এই রোগের উদ্ভব হইতে পারে । নাসিকামধ্যস্থ ঝিল্লির প্রদাহ, নাসিকামধ্যস্থ অর্বুদ  টনসিলের বিবৃদ্ধি, এডিনয়েড,  রোগের আক্রমণ প্রবণতা বৃদ্ধি করে ।
★হোমিওসমাধানঃহোমিওপ্যাথি মতে তিনটি রোগ-বীজ হল সব রকম অসুস্থতার কারণ। সোরা, সাইকোসি,  সিফিলিস,সোরা -সাইকোসিস বা সোরা -সাইকোসিস-সিফিলিস মিশ্রভাবে এ্যাজমা রোগের জন্য দায়ী।বর্তমান যুগের এই মিশ্র রোগ -বীজকে অনেকে টিউবারকুলার মায়াজম নামে নামকরণ করে থাকে,   এই জন্য একজন অভিজ্ঞ চিকিৎসক কে ডা.হানেমানের নির্দেশিত হোমিওপ্যাথিক নিয়মনীতি অনুসারে সঠিক রোগীলিপি করণের মাধ্যমে যদি চিকিৎসা করা যায় তাহলে  এ্যাজমা সহ  যে কোন  জটিল কঠিন রোগের চিকিৎসা ব্যক্তি স্বাতন্ত্র্য ভিওিক লক্ষণ সমষ্টি নির্ভর ও ধাতুগত ভাবে চিকিৎসা দিলে   আল্লাহর রহমতে চিকিৎসা দেয়া সম্ভব।  চিকিৎসা বিজ্ঞানে চিরন্তন সত্য বলে কিছুই নেই । কেননা একসময় আমরা শুনতাম যক্ষা হলে রক্ষা নেই , বর্তমানে শুনতে পাই যক্ষা ভাল হয়। এ সবকিছু বিজ্ঞানের অগ্রগতি ও উন্নয়নের ফসল । এজমা  চিকিৎসা হোমিওপ্যাথিতে সবচেয়ে জনপ্রিয় চিকিৎসা পদ্ধতি। সামগ্রিক উপসর্গের ভিত্তিতে ওষুধ নির্বাচনের মাধ্যমে হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা করা হয়। এটিই একমাত্র চিকিৎসা পদ্ধতি যার মাধ্যমে রোগীর কষ্টের সমস্ত চিহ্ন এবং উপসর্গগুলি দূর করে সম্পূর্ণ স্বাস্থ্যের অবস্থা পুনরুদ্ধার করা যায়। বিবিসি নিউজের ২০১৬ তথ্য মতে, দেশের প্রায় ৪০ শতাংশ রোগী হোমিওপ্যাথি চিকিৎসা গ্রহণ করে আরোগ্য লাভ করে, আবার ইদানিং অনেক নামদারি হোমিও চিকিৎসক বের হইছে,তাঁরা এজমা রোগীকে  কে পেটেন্ট টনিক, মিশ্র প্যাথি দিয়ে চিকিৎসা দিয়ে থাকে তাদের কে ডা.হানেমান শংকর জাতের হোমিওপ্যাথ বলে থাকেন,রোগীদের কে মনে রাখতে হবে, হাঁপানী  কোন সাধারণ রোগ না, তাই সঠিক চিকিৎসা পাইতে হইলে   অভিজ্ঞ চিকিৎকের পরামর্শ নিন।
লেখক,
ডা. মাহতাব হোসাইন মাজেদ
স্বাস্থ্য বিষয়ক উপদেষ্টা, হিউম্যান রাইটস রিভিউ সোসাইটি কেন্দ্রীয় কমিটি
কো-চেয়ারম্যান, হোমিওবিজ্ঞান গবেষণা ও প্রশিক্ষণ কেন্দ্র
ইমেইল,drmazed96@gmail.com
 মোবা.০১৮২২৮৬৯৩৮৯

নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর..
© All rights reserved © 2019 Jonaki Media and Communication Limited
Design By Khan IT Host